ভয়াবহ শৈত্যপ্রবাহে কাবু উত্তর আমেরিকা। কয়েক কোটি মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় প্রবল ঠান্ডায় দিন কাটাচ্ছেন। প্রলব তুষার ঝড়ে এখনও পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। কানাডা ও আমেরিকার বিভিন্ন এলাকার তাপমাত্রা শুক্রবার থেকেই মাইনাস ৪৮ ডিগ্রি ছুঁয়েছে।
1/5 আমেরিকার টেক্সাস থেকে কানাডার কেবেক পর্যন্ত কয়েক হাজার কিলোমিটার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে তুষারঝড়। এই শৈত্যঝড়কে ‘বম্ব সাইক্লোন’ নাম দেওয়া হয়েছে। প্রায় ২০ কোটি মানুষ প্রভাবিত হয়েছে এই ঝড়ে। আমেরিকায় ১৫ লক্ষ মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় কাটায় ক্রিসমাস ইভ। শুক্রবার থেকে কার্যত অন্ধকারে ডুবে রয়েছে আমেরিকার একাংশ।
2/5 এই শৈত্যঝড়ের সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে আমেরিকা এবং কানাডার সীমান্তবর্তী এলাকা। বম্ব সাইক্লোনের জেরে মিনেসোটা, আইওয়া, বাফেলো, নিউ ইয়র্ক, উইসকনসিন, মিশিগানে দৃশ্যমানতা শূন্যে নেমে গিয়েছে। নিউ ইয়র্ক, নিউ ইংল্যান্ড ও নিউ জার্সির উপকূলবর্তী এলাকায় বন্যা হচ্ছে।
3/5 বরফে ঢেকে গিয়েছে আমেরিকা ও কানাডার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। উত্তর মেরু থেকে ঝোড়ো হাওয়া প্রবেশ করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। মন্টানায় কাল থেকে তাপমাত্রা মাইনাস ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। আমেরিকা জুড়ে কয়েক হাজার উড়ান বাতিল করা হয়েছে এই শৈত্যঝড়ের জেরে। ক্রমাগত তুষারপাত হচ্ছে বহু জায়গায়। পরিস্থিতি এমনই যে জরুরি পরিষেবাও স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে আমেরিকার অনেক শহরেই। নিউ ইয়র্ক, জর্জিয়া, কেন্টাকি, ওকলাহোমা, নর্থ ক্যারোলাইনা, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় সতর্কতা জারি রয়েছে।
4/5 এদিকে অত্যাধিক ঠান্ডার পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনাতেও আমেরিকায় প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। ওহায়োতে দৃশ্যমানতা কম থাকার জেরে ৫০টি গাড়ি পরস্পরকে ধাক্কা মেরেছিল। এই দুর্ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া কানসাস ও নেব্রাস্কাতেও সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। সেই পৃথক ঘটনাগুলিতেও চারজন প্রাণ হারান।
5/5 এই আবহে অনেক প্রদেশেই গাড়ি চালাতে বারণ করা হয়েছে। তুষারপাতে বন্ধ একাধিক সড়ক। এই পরিস্থিতিতে কেউ মাঝরাস্তায় গাড়িতে আটকে গিয়ে থাকলে তাকে গাড়ি ছেড়ে বের হতে বারণ করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া মানুষদের নিরাপদ জায়দায় সরিয়ে নিয়ে যেতে ন্যাশনাল গার্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শৈত্যঝড়ে বিধ্বস্ত আমেরিকার প্রশাসন বলতে পারছে না যে কবে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।