1/6 শাস্ত্র মতে মা লক্ষ্মীর কৃপা পেতে একাধিক গাছ বাড়িতে রাখলে আর্থিক কষ্ট দূরে সরে যায়। তবে , সেই গাছকে ভালভাবে যত্নে রাখলে তবেই দূর হয় আর্থিক কষ্ট, সংসারে আসে সুখ সমৃদ্ধি। তুলসী ছাড়াও একাধিক গাছ শুকিয়ে গেলে তা বিপদের সংকেত মনে করা হয়।
2/6 এই গাছগুলিতে নিত্য জলদানের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বাস্তুশাস্ত্র মতে। দেখে নেওয়া যাক, আর্থিক কোন কোন গাছ বাড়িতে শুকিয়ে যেতে থাকলে তা আর্থিক কষ্ট বয়ে আনে।
3/6 তুলসী- মনে করা হয়, তুলসী গাছে সামান্য খেয়াল না রাখলেই মা লক্ষ্মী রুষ্ট হন। আর মা লক্ষ্মীর রুষ্ট হওয়ার অর্থ হল সংসারে সুখ সমৃদ্ধির নাশ থেকে আর্থিক কষ্টের সূচনা। এমনই মত বাস্তুশাস্ত্রবিদদের। শাস্ত্র মতে বলা হয়, তুলসী গাছ বিষ্ণুরও খুব প্রিয়। ফলে এই গাছকে ভাল রাখতে রোজ জলদানের কথা বলা হচ্ছে। এটি শুকিয়ে গেলে ঘরে আসে অশুভ ছায়া, এমনই মত শাস্ত্রে।
4/6 মানি প্ল্যান্ট-বাস্তুশাস্ত্র মতে মানিপ্ল্যান্ট খুবই উপকারি গাছ। একে শুভ বলেও মনে করা হয়। এটি বাড়ির দক্ষিণ পূর্ব দিকে রাখুন। বাড়ির এই দিকটিতে গণেশ দেবতার বসবাস। ফল এখানে এই গাছ রাখলে সংসারে সমৃদ্ধি আসে আর গাছটিও শুকিয়ে যায় না। এমনই মনে করা হয়। এই গাছ শুকিয়ে যাওয়া সংসারের পক্ষে খুব একটা শুভ ফল দেয় না।
5/6 শমিবৃক্ষ- এই গাছ সাধারণত সবুজই থাকে। আর বাড়িতে এটি থাকলে তা গৃহস্থের আর্থিক দিক থেকে উপকার দেয়। তবে গাছটি শুকিয়ে গেলে তা অশুভ ফল দিতে থাকে। এই গাছটি শুকিয়ে গেলে শনির দোষ বা মহাদেবের রুষ্ট হওয়ার মতো সমস্যা তৈরি হয় বলে ধরে নেওয়া হয়। এতে বহু কাজে বাধা আসতে থাকে। ফলে গাছটিকে শুকিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না!
6/6 অশোক গাছ- বহু বাড়িতেই থাকে অশোক গাছ। গৃহস্থে অনেকটাই আর্থিক উন্নতির জন্য এই গাছ জরুরি। এই গাছ শুকিয়ে যেতে থাকলে বা মরে যেতে থাকলে তা শান্তিভঙ্গ হওয়ার শামিল বলে মনে করা হয়। যদি গাছ শুকিয়ে যায়, তাহলে এটিকে জলদি পাল্টে দিন।