বাংলা নিউজ >
ছবিঘর >
₹ 365 Cr attached in WB Recruitment Scam: বাংলায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৩৬৫ কোটি বাজেয়াপ্ত করল ইডি!
₹ 365 Cr attached in WB Recruitment Scam: বাংলায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৩৬৫ কোটি বাজেয়াপ্ত করল ইডি! Updated: 13 Apr 2024, 06:44 AM IST Abhijit Chowdhury বাংলায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে টাকার পাহাড় দেখেছে বাংলা। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দু'টি ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকার নগদ উদ্ধার হয়েছিল। তবে সেখানেই নাকি শেষ নয়। এই দুর্নীতি মামলায় মোট ৩৬৫ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। 1/5 সম্প্রতি একটি বিবৃতিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক দুর্নীতিত মামলায় তারা মোট ৩৬৫ কোটি টাকার স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। এই মামলায় প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ শাসকদলের মোট তিনজন বিধায়ক গ্রেফতার হয়েছেন আজও পর্যন্ত। এছাড়াও আরও একাধিক তৃণমূল নেতা এখন হাজতে। তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এই মামলায় জেরা করা হয়েছে। 2/5 উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৩ জুলাই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থকে গ্রেফতার করে ইডি। গ্রেফতার করা হয় তাঁর বান্ধবী অর্পিতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। প্রথমে টালিগঞ্জে অর্পিতার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে ২১ কোটি টাকারও বেশি নগদ উদ্ধার করেছিল ইডি। এরপরে অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকেও টাকা উদ্ধার করা হয়। পাওয়া যায় ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। এত নগদ দেখে চোখ কপালে উঠেছিল বঙ্গবাসীর। তবে এখানেই শেষ হয়নি দুর্নীতির টাকার হিসেব। 3/5 এদিকে পার্থ, অর্পিতার পরও এই শিক্ষক নিয়োগ দুর্তীতি মামলায় রাজ্যের আরও হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের জালে জড়িয়েছেন। মানিক ভট্টাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, প্রাক্তন এসএসসি উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, প্রাক্তন সচিব অশোক সাহা, প্রাক্তন তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষ সহ একাধিক জন এই মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন হাজতে। এর মধ্যে থেকে কুন্তল ঘোষের এক চিঠি থেকে এই মামলায় নাম জড়িয়েছিল তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। 4/5 অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের সরকরি স্কুলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ওপর থেকে নীচ তলা পর্যন্ত আস্ত একটা দুর্নীতির 'টাওয়ার' খাড়া করেছিলেন প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন। এর মধ্যে রাজনীতিক থেকে শুরু করে আধিকারিকরা ছিলেন। তদন্তে নেমে এই সব অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। দুর্নীতির টাকাতেই এই সব সম্পত্তি কেনা হয়েছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে। 5/5 এই আবহে ইডি জানিয়েছে, এই মামলায় বাজেয়াপ্ত হওয়া মোট ৩৬৫ কোটির সম্পত্তির মধ্যে বাজেয়াপ্ত হওয়া অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ২৩০.৬ কোটি টাকার। এর মধ্যে রয়েছে মিডলম্যান প্রসন্ন কুমার রায়ের নামে থাকা একটি ফ্ল্যাট, প্রাক্তন এসএসসি উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহার নামে থাকা একটি প্লট, তাঁদের নামে থাকা কোম্পানির সম্পত্তি।