বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Loan Repayment: ঋণ শোধ না করে কেউ মারা গেলে বকেয়া মেটাবে কে?
Loan Repayment: ঋণ শোধ না করে কেউ মারা গেলে বকেয়া মেটাবে কে? Updated: 20 Nov 2022, 05:20 PM IST Abhijit Chowdhury বিগত কয়েক বছরে কোভিডের জেরে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন দেশে। এদের মধ্যে অনেকেই পরিবারের অকমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি ছিলেন। আবার অনেকেই পরিবারের জন্য বা নিজের প্রয়োজনে ঋণ নিয়েছিলেন ব্যাঙ্ক থেকে। তা সে ব্যক্তিগত হোক, গৃহঋণ হোক কি গাড়ি কেনার জন্য... সেই ঋণ পরিশোধ করার আগেই মারা গিয়েছেন অনেক ঋণগ্রহীতা। এই আবহে মৃত ব্যক্তির হয়ে বকেয়া ঋণ কে মেটাবে? 1/5 মৃত ঋণগ্রহীতা গৃহঋণ বিমা করে থাকলে বিমা কোম্পানি ঋণের বকেয়া পরিশোধ করে থাকে। ধরা যাক মৃত ঋণগ্রহীতা গৃহ ঋণের বিপরীতে ১ কোটি টাকার বিমা কভারেজ নিয়েছিলেন। এদিকে গৃহঋণ বাবদ মৃত ব্যক্তির বকেয়া রয়েছে ৫০ লক্ষ টাকা। তাহলে বিমা সংস্থা ৫০ লাখ টাকায় বকেয়া মেটাবে। এবং মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা দেবে। 2/5 এদিকে বিমা না করানো থাকলে ঋণগ্রহীতার মৃত্যুর পর ঋণের গ্যারান্টার এবং আইনি উত্তরাধিকারীর থেকে বকেয়া আদায় করতে পারে ব্যাঙ্ক। ঋণগ্রহীতার মৃত্যুর ক্ষেত্রে, ঋণ পরিশোধের প্রক্রিয়া সহজ করে এবং প্রাথমিকভাবে ইমএমআই মেটাতে কিছুটা বেশি সময় দিয়ে থাকে গ্যারান্টার বা আইনি উত্তরাধিকারীকে। 3/5 তাছাড়া SARFAESI আইন অনুযায়ী, বকেয়া না মেটানো হলে ঋণদাতা ব্যাঙ্ক সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির দখল নিতে পারে। বকেয়া পুনরুদ্ধার করার জন্য সম্পত্তিটি নিলাম করতে পারে ব্যাঙ্ক। তবে সম্পত্তি দখল করার আগে ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলি পরিবার বা আইনি উত্তরাধিকারীকে বকেয়া মেটাতে পর্যাপ্ত সময় দেয়। ঋণশোধের সময়সীমার থেকে ৯০ দিন পার হলেই সম্পত্তির দখল নেওয়া যায়। 4/5 এদিকে গাড়ি কেনার জন্য যদি কেউ ঋণ নিয়ে থাকেন এবং তা শোধ করার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়, তাহলে সেই ঋণ শোধ করার দায় ঋণগ্রহীতার পরিবার বা আইনি উত্তরাধিকারীর। তবে যদি বকেয়া শোধ না করা হয়, ব্যাঙ্ক গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে তা নিলামে তুলতে পারে। 5/5 এদিকে ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে পরিবার বা আইনি উত্তরাধিকারী থেকেই বকেয়া নিতে পারে ব্যাঙ্ক। তবে যদি ঋণগ্রহীতার পরিবার ঋণ শোধ করতে অক্ষম হয়, সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক মর্টগেজ থাকা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে। তবে যদি কোনও মর্টগেজ না থেকে থাকে তাহলে সেই শোধ না হওয়া ঋণকে ‘নন পার্ফর্মিং অ্যাসেট’ হিসেবে গণ্য করা হয়।