অভিনয়, স্বল্প পোশাক দিয়ে অসংখ্য পুরুষের রাতের ঘুম কাড়লেও নিজের বিবাহিত জীবনে অসুখী ছিলেন। দু'টি বিয়েতেই শান্তি পাননি!
1/6 জিনাত আমনের জীবনে প্রেম কখনই সোজা পথে আসেনি। বলিউড এই ডিভা পরদায় যত খোলামেলা পোশাকে দেখা দিয়েছিলেন, ততটাই খোলামেলা ছিল তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও। দু'বার বিয়ে করেন তিনি। তবে একটা বিয়েও সুখের হয়নি। সিমি গরেওয়ালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডিম্পল একবার জানিয়েছিলেন, শুধুমাত্র বাচ্চা নেওয়ার জন্য দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন তিনি।
2/6 ১৯৭৮ সালে কাজ করেছিলেন রাজ কাপুরের ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’ ছবিতে। সেখানে স্বল্পবসনা জিনাতকে দেখে উত্তাল হয়েছিল দেশ। চর্চা, সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছিলেন নায়িকা। ‘হীরালাল পান্নালাল’, ‘চোর কে ঘর চোর’, ‘কুরবানি’, ‘দোস্তানা’, ‘ডন’-এর মতো ছবিতে কাজ করে বলিউডে নিজের পাকাপোক্ত জায়গা তৈরি করেছিলেন। আর এসবের মাঝেই জিনাত প্রেমে পড়েন সঞ্জয় খানের। বয়সে অনেকটাই বড় সঞ্জয়ের গলায় মালা দিতে দু'বারও ভাবেননি।
3/6 তবে সে বিয়ে একেবারেই সুখের ছিল না! বরং, এক বছরেই শেষ হয়ে যায় জিনাতে প্রথম দাম্পত্য। জিনাতকে সন্দেহ করতেন সঞ্জয়। মারধর করতেন বলেও অভিযোগ। শোনা যায়, ১৯৮০ সাল নাগাদ হোটেলের বন্ধ ঘরে জিনাতকে অকথ্য মারধর করেন সঞ্জয়। নায়িকার চিৎকার শুনে দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করেন সেই হোটেলের কর্মীরা। এমনকী, ওই ঘটনাতেই নাকি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাঁর ডান চোখের দৃষ্টিশক্তি।
4/6 অভিনেতা মাজহার খানকে জিনাত বিয়ে করেন ১৯৮৫ সালে। তবে সেই বিয়েতেও তিনি ছিলেন শারীরক ও মানসিকভাবে নির্যাতিতা। মাদকাসক্ত মাজহার রোজ অশান্তি করত। তবে, মাজহারের মৃত্যু পর্যন্ত তিনি দ্বিতীয় স্বামীর সাথে ছিলেন। এমনকী, শেষ সময়ে অসুস্থ মাজহারের দেখাশোনাও করেন তিনি।
5/6 যদিও সিমি গরেওয়ালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জিনাত জানিয়েছিলেন, বাচ্চা নিতে হবে বলেই তিনি বিয়ে করেছিলেন মাজহারকে। কারণ সেই সময় তাঁর মনে হয়েছিল এবার বাচ্চা নিতেই হবে। নয়তো জীবনে সেই সময় আর কিছুর অভাব তাঁর ছিল না। জিনাত আর মাজহারের দুই পুত্র সন্তান হয়।
6/6 পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও প্রাক্তন ক্রিকেটার ইমরান খানের সাথেও নাকি সম্পর্ক ছিল জিনাত আমনের। যদিও এই নিয়ে কখনও কথা বলেননি অভিনেত্রী। তবে, লাহোরে একবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জিনাত জানিয়েছিলেন, ‘এসব পুরনো কথা। ভুলে যাওয়া উচিত।’