প্রথম সেট তখন অ্যান্ডি মারে সবে জিতেছেন, সেই সময়ে শৌচাগারে গিয়েছিলেন স্টিফানোস সিসিপাস। এর পর দ্বিতীয় সেট জেতেন সিসিপাস। তৃতীয় সেটে ফের ঘুরে দাঁড়ান মারে। তখন আবার চোটের জন্য ফের ‘টাইম আউট’ নিয়েছিলেন গ্রিসের তারকা প্লেয়ার। আর এতেই মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি মারে। চতুর্থ সেটে মারের সার্ভিস সিসিপাস ব্রেক করলে কোর্টের মধ্যে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগড়ে দিতে দেখা যায় মারেকে।
ম্যাচের পরেও এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মারে। সোজাসুজি সিসিপাসকে আক্রমণ করে বলেন, শৌচাগারে গিয়ে সিসিপাস প্রায় ৮ মিনিট সময় নষ্ট করেছেন। তার পর চোটের অজুহাতে সময় নষ্ট করেছেন। এতেই নাকি মারের ছন্দপতন হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘ওঁর প্রতি আমি শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেললাম। শৌচাগারে বিরতি দেওয়ার নিয়ম পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন।’
মারে এই নিয়ে ম্যাচ চলাকালীনই কোর্টের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এমন কী চেয়ার আম্পায়ার নিকো হেল ওয়ের্থের কাছে এই নিয়ে তিনি অভিযোগও জানান। ম্যাচ সুপারভাইজার গ্যারি আর্মস্ট্রংকেও এই নিয়ে অভিযোগ করেন মারে। তাঁর দাবি, তিনি কখনও এত সময় লাগাননি শৌচাগারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অবশ্য কিছুই লাভ হয়নি। ইউএস ওপেনের প্রথম রাউন্ড থেকেই ছিটকে যেতে হয়েছে মারেকে।
এমনিতেই কোমরের চোটের অস্ত্রোপচার হওয়ার পর থেকেই অ্যান্ডি মারে নিজের ছন্দের ধারেকাছেও নেই। উইম্বলডনের তৃতীয় রাউন্ডে দশম বাছাই ডেনিস শাপোভালভের কাছে স্ট্রেট সেটে হেরে ছিটকে গিয়েছিলেন। আর ইউএস ওপেনের প্রথম রাউন্ডেই স্টিফানোস সিসিপাসের কাছে হেরে ছিটকে গেলেন মারে।
প্রাক্তন এক নম্বর টেনিস প্লেয়ার কিন্তু লড়াই করেছিলেন। তবে শেষ রক্ষা করতে পারেননি। ১ ঘণ্টা ৪৮ মিনিটের লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসেন গ্রিসের তারকা টেনিস প্লেয়ার। প্রথম সেটেই সিসিপাসকে কোণঠাঁসা করে দিয়েছিলেন মারে। কিন্তু দ্বিতীয় সেটে ঘুরে দাঁড়ান গ্রিসের তারকা প্লেয়ার। তৃতীয় সেটে ফের সিসিপাসকে চাপে ফেলেন মারে। কিন্তু চতুর্থ এবং পঞ্চম সেটে এক তরফা খেলে ম্যাচ জিতে নেন সিসিপাস। নিটফল, ৬-২, ৬-৭ (৭-৯), ৬-৩, ৩-৬, ৪-৬-এ ম্যাচটি হেরে যান মারে।
ম্যাচের পর মারে বলেছেন, ‘সিসিপাস যে ভাবে অনেকটা সময় বাইরে কাটিয়েছে, সেটা অত্যন্ত বিরক্তিকর। ম্যাচ হেরে গিয়েছি বলে এ কথা বলছি, তা কিন্তু নয়। জিতলেও একই কথা বলতাম।’ এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেছেন, ‘আমি মনে করি, বার বার বিরতি আমার খেলার ছন্দ পতন ঘটিয়েছে।’
তবে মারের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন সিসিপাস। তাঁর দাবি, তিনি নিয়ম মেনেই ‘টাইম আউট’ নিয়েছিলেন। কারণ নিয়ম অনুযায়ী পাঁচ সেটের ম্যাচে দু'বার ব্রেক নেওয়াই যায়। সে ক্ষেত্রে নিয়ম, সেট শেষ হওয়ার পরেই এই বিরতি নেওয়া যেতে পারে। সিসিপাস জানিয়েছেন, ‘আমি শৌচাগারে জামা বদল করেছিলাম। তার জন্য কিছুটা সময় লেগেছে।’
২০১২ সালে ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন প্লেয়ার প্রথম রাউন্ডেই হেরে যাওয়ায় রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়েছিলেন ব্রিটিশরা। এ দিকে ভরসা জোগালেন সিসিপাস। ফ্রেঞ্চ ওপেনে রানার্স উইম্বলডনের প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। স্ট্রেট সেটে তাঁকে হারিয়েছিলেন আমেরিকার ফ্রান্সিস টিয়াফো। তবে মরশুমের শেষ গ্র্যান্ডস্লামে নিজের সেরাটা নিংড়ে দিতে বদ্ধপরিকর গ্রিসের তারকা প্লেয়ার।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।