টেনিস স্যান্ডগ্রেনের শটটা নেটে আছড়ে পড়ার পর ধারাভাষ্যকাররা বলে উঠলেন, 'ফেডেরার পেরেছেন'। সত্যিই, তিনি বলেই পারেন। সাত-সাতটা ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের আশা জিইয়ে রাখলেন রজার ফেডেরার। উঠলেন সেমিফাইনালে। ম্যাচের ফল ৬-৩, ২-৬, ২-৬, ৭-৮ (১০-৬), ৬-৩।
রড লেভার এরিনার ঢোকার আগে দর্শকরাও ভেবেছিলেন, সহজেই জিতবেন ফেডেরার। ঠিক সেভাবেই প্রথম সেটে সবকিছু চলল। জিতলেন ৬-৩ গেমে। কিন্তু দ্বিতীয় সেট থেকেই প্রবলভাবে খেলায় ফিরে আসেন স্যান্ডগ্রেন। আর কোথায় যেন হারিয়ে যান সুইস তারকা। অনায়াসে ৬-২ গেমে দ্বিতীয় সেট জেতেন আমেরিকান খেলোয়াড়।
তৃতীয় সেটেও নিজের কর্তৃত্ব বজায় রাখেন স্যান্ডগ্রেন। ৩-০ গেমে এগিয়ে থাকার সময় মেডিকেল টাইম-আউট নেন ফেডেরার। কিছুক্ষণ পর ফিরলেও তৃতীয় সেটে আর ফিরতে পারেননি তিনি। বরং সহজেই ৬-২ গেমে তৃতীয় সেট পকেটে পুরে নেন স্যান্ডগ্রেন।
২০০৯ সালের পর প্রথম আমেরিকান হিসেবে তখন মেলবোর্নে সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্ন দেখছেন স্যান্ডগ্রেন। তবে ফেডেরার ফিরে আসতে পারেন বলে বিশ্বাস ছিল সবারই। চতুর্থ সেটের শেষের দিকে সেই ভাবনায় ধাক্কা খায়। রড লেভার এরিনাতে উপস্থিত দর্শকদের অধিকাংশ নিশ্চয় ধরে নিয়েছিলেন, ফেডেরার-বিদায় নিশ্চিন্ত। সেখান সাতটি ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচিয়ে ম্যাচে খেলা ম্যাচ টাইব্রেকারে নিয়ে যান ফেডেক্স। টাইব্রেকারে জিতে ম্যাচে থাকেন তিনি।
পঞ্চম সেটের সপ্তম গেমে স্যান্ডগ্রেনের সার্ভিস ভাঙেন ফেডেরার। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ৬-৩ গেমে পঞ্চম সেট জেতেন সুইস তারকা। ম্যাচ জেতার পর ফেডেরার বলেন, 'কখনও কখনও আপনাকে ভাগ্যবান হতে হয়। আমি প্রচন্ড ভাগ্যবান ছিলাম। এটা আমার প্রাপ্য নয়। তাও আমি এখানে দাঁড়িয়ে আছি। আমি খুব খুশি।'
এদিনের জয়ের পর একাধিক রেকর্ড গড়লেন সুইস তারকা। গ্র্যান্ডস্ল্যামে জয়ের নিরিখে উইলম্বনডনকে ছাপিয়ে গেলেন তিনি। উইলম্বনডনে ১০১ টি ম্যাচ জিতেছেন ফেডেরার। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ফেডেরারে জয়ের সংখ্যা দাঁড়াল ১০২। পাশাপাশি, কেন রোজওয়ালের (৪২ বছর ৬৮ দিন) পর বয়স্কতম হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালে উঠলেন ফেডেরার।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।