আবারও চিটফান্ড কাণ্ডে জড়িয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল নাম। রোজভ্যালি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্লাবের হিসাবরক্ষক দেবদাস সমাজদারকে দু'বার ডেকে পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)। দুটি চিঠিও যায় লাল-হলুদ তাঁবুতে। শনিবার বিষয়টি সামনে আসতেই শতবর্ষে ইস্টবেঙ্গল বিড়ম্বনায় পড়ার পাশাপাশি ক্লাব এবং বিনিয়োগকারীর মধ্যেও টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করেছে ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারী সংস্থা।
সূত্রের খবর, গত ২৯ ডিসেম্বর লাল-হলুদ কর্তা দেবদাসকে চিঠি পাঠিয়েছিল সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই চিঠির কোনও জবাব দেননি দেবদাস। কোনও উত্তর না পাওয়ায় ৫ জানুয়ারি ইস্টবেঙ্গল সভাপতি প্রণব দাশগুপ্তকে আবারও একটি চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কয়েকটি নথি ব্যাখ্যার জন্য ৭ জানুয়ারি সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটের মধ্যে কোনও প্রতিনিধিকে সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দিতে হবে। ক্লাবের একটি অংশের দাবি, সিবিআইয়ের চিঠির উত্তর দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসতেই ইস্টবেঙ্গলের নয়া বিনিয়োগকারী সংস্থার তরফে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। বিশেষত গাঁটছড়া বাঁধার প্রথম বছরেই চিটফান্ড কাণ্ডে আবারও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় একেবারেই সন্তুষ্ট নন বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তারা। তেমনই এক কর্তা জানান, ফুটবলের স্বার্থে ইস্টবেঙ্গলে বিনিয়োগ করা হয়েছে। সেখানে চিটফান্ডের মতো বিষয়ে লাল-হলুদ ক্লাবের জড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি একেবারেই ভালো বার্তা বহন করছে না। সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন এবং রোজভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডুর সদস্যপদের মতো চিটফান্ড কাণ্ডে জড়িত ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের ক্লাব থেকে সরানোর দাবি তুলেছেন তিনি।
তবে চিটফান্ড কাণ্ডে এই প্রথম ইস্টবেঙ্গলের নাম জড়াল না। ইতিমধ্যে ২০১৫ সালে সারদা কাণ্ডে কয়েকমাস জেলে বন্দি ছিলেন লাল-হলুদের অন্যতম শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। কিন্তু তখন ক্লাবে নয়া বিনিয়োগকারী ছিল না। ফলে এবার টানাপোড়েন কোন খাতে এগিয়ে যায়, সেদিকে নজর আছে ময়দানের।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।