চ্যাম্পিয়্নস লিগের মঞ্চে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পাশাপাশি বুধবার রাতে আটলেটিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে বেশ কিছু রেকর্ড তৈরি করল চেলসি। ৭ বছর পর তারা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছল। ২০০৭-'০৮-এ শেষ বার বোল্টন ওয়ান্ডারার্স কোনও ব্রিটিশ ক্লাব হিসেবে ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ কোনও টুর্নামেন্টের নক আউট স্টেজ থেকে আটলেটিকো মাদ্রিদকে ছিটকে দিয়েছিল। তার পর গতকাল রাতে ফের কোনও ব্রিটিশ ক্লাবের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক আউট থেকে ছিটকে গেল স্পেনের ক্লাবটি। এ দিকে লাজিওকে হারিয়ে শেষ আটে উঠল বায়ার্ন মিউনিখও।
আটলেটিকো মাদ্রিদ এবং চেলসির লড়াই নিয়ে একটা চাপা উত্তেজনা ছিল। ২০০৭-’০৮-এর পর থেকে স্পেনের এই ক্লাবকে ইউরোপের কোনও টুর্নামেন্টে নক আউট পর্বে কখনও হারাতে পারেনি কোনও ব্রিটিশ ক্লাব। নিঃসন্দেহে বাড়তি চ্যালেঞ্জ ছিল টমাস টুখেলের ছেলেদের। প্রথম লেগে আটলেটিকোকে ১-০ হারিয়েছিল চেলসি। বুধবার রাতে তারা ২-০ জয় ছিনিয়ে নেয় দশ জনের আটলেটিকো দলের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, ম্যাচের ৮১ মিনিটে আটলেটিকোর স্তেফান সেভিক লালকার্ড দেখেন। চেলসির হয়ে গোল দু’টি করেছেন হাকিম জিয়াচ (৩৪ মিনিট) এবং এমারসন পলমিয়েরি (৯৪ মিনিট)। টমাস টুখেল দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এই নিয়ে টানা ১৩ ম্যাচ অপরাজিত রয়েছে চেলসি।
চেলসির পাশাপাশি এ দিন বায়ার্ন মিউনিখ ২-১ হারান লাজিওকে। দুই লেগ মিলিয়ে ৬-২-এ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে গত বারের চ্যাম্পিয়নরা। প্রথম লেগে লাজিও-কে ৪-১ হারানোর পর দ্বিতীয় লেগে নামার আগে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ছিল বায়ার্ন। তবে বুধবার রাতে লাজিও মরিয়া হয়ে ঝাঁপিয়েছিল। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। বায়ার্নের দাপটের কাছে এঁটে দিতে পারেনি তারা। বায়ার্নের হয়ে গোল করেন রবার্ট লেভানদোস্কি ও এরিক ম্যাক্সিম। লাজিও-র হয়ে একমাত্র গোলটি মার্কো পারোলোর। ইতিমধ্যেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে পোর্তো, বরুসশিয়া ডর্টমুন্ড,, পিএসজি, লিভারপুল, রিয়াল মাদ্রিদ এবং ম্যাঞ্চেস্টার সিটি।