বিশ্বকাপ জিততে চাইলে ঘনঘন বিশ্রামের রোগ ছাড়তে হবে রোহিতদের, স্পষ্ট বার্তা সানির

অস্ট্রেলিয়াতে টি-২০ বিশ্বকাপের পরেই ভারত, নিউজিল্যান্ডে টি-২০ এবং ওয়ানডে সিরিজ খেলতে গিয়েছিল। সেই সফরে ভারতের সিনিয়র এবং অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিয়েছিল বিসিসিআই।

রোহিত শর্মা ও সুনীল গাভাসকর

শুভব্রত মুখার্জি: ২০২৩ সালে ভারতেই বসতে চলেছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর। দীর্ঘদিন ধরে ক্রিকেটে সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটে ভারতের ট্রফি খর অব্যাহত। ২০২১ সালে টি-২০ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার পরে ২০২২ টি-২০ বিশ্বকাপেও তাঁরা সেমিফাইনালে হেরে ছিটকে গিয়েছে। ফলে অধরা থেকে গিয়েছিল তাঁদের টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ। বিরাট কোহলি, রহিত শর্মারা দেশের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিততে যে মরিয়া তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এমন আবহেই ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপাকে পাখির চোখ করা রোহিতদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিলেন কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকর। তাঁর মতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিততে হলে এত ঘনঘন বিশ্রাম নেওয়া যাবে না। ধারাবাহিকভাবে খেলতে হবে।

গাভাসকর জানিয়েছেন 'আমি আশা করব দলে ঘনঘন পরিবর্তন করা হবে না। আমি পাশাপাশি এটাও আশা করব যে খুব ঘনঘন এইভাবে বিশ্রামও দেওয়া হবে না। কারণ ঘনঘন বিশ্রাম দেওয়া হলে দলটা সেট হতে সময় নেয়। একে অপরের সঙ্গে বোঝাপড়া গড়ে উঠতে সময় লাগে। এই অবস্থায় বিশ্বকাপে আমরা চলে গিয়েছিলাম। ফলে আমাদের বোঝাপড়া গড়ে উঠতে সময় লেগেছে। বিশ্বকাপে কিন্তু একটা ম্যাচ ও হারা চলে না। এইভাবে গেলে সেই সম্ভাবনা থাকে। ফলে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যাতে করে দলের মূল ক্রিকেটাররা সবসময়তে খেলে।'

তিনি আরও যোগ করেন 'হ্যাঁ এটা ঠিক মাঝে মধ্যে একজন বা দুজন দলে ঢুকবে বা বেরবে। যখন একজন অতিরিক্ত বোলার বা ব্যাটার প্রয়োজন হবে তখন এটা হবে। তবে দলের 'কোর' গ্রুপকে প্রতিটা ম্যাচেই খেলতে হবে। কোনও বিশ্রাম নেওয়া চলবে না। মনে রাখতে হবে তুমি ভারতের হয়ে খেলছ। বিশ্বকাপটা তুমি জিততে চাও। আর সেই কারণে প্রতি ম্যাচে দলের মধ্যে বোঝাপড়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।'

প্রসঙ্গত অস্ট্রেলিয়াতে টি-২০ বিশ্বকাপের পরেই ভারত, নিউজিল্যান্ডে টি-২০ এবং ওয়ানডে সিরিজ খেলতে গিয়েছিল। সেই সফরে ভারতের সিনিয়র এবং অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিয়েছিল বিসিসিআই। দলের সঙ্গে এই সফরে যাননি রোহিত শর্মা বিরাট কোহলি, কেএল রাহুল, রবিচন্দ্রন অশ্বিনরা। এমনকি দলের হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় ও এই সফরে যাননি। তাঁর জায়গায় দলের হেড কোচের দায়িত্ব সামলান এনসিএ প্রধান ভিভিএস লক্ষ্মণ। দ্রাবিড়কে ও এই বিশ্রাম নেওয়া নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। আইপিএলের সময়তে প্রায় আড়াই মাস তো সিনিয়র দলের হেড কোচ বিশ্রাম পান। তাহলে এই বিশ্রামের যৌক্তিকতা কোথায়? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেক বিশেষজ্ঞ।