Covid-19: করোনা আক্রান্তের তালিকায় নতুন সংযোজন প্রাক্তন ম্যান ইউ তারকা

চাইনিজ সুপার লিগে শানডং লুনেংয়ের জার্সি গায়ে চাপানো বেলজিয়ান তারকার শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি প্রমাণিত। তিনি এই মুহূর্তে জিনানের হাসপাতালে ভর্তি।

চিনে গিয়ে করোনা আক্রান্ত ফেলাইনি। ছবি- রয়টার্স।

চিন থেকে শুরু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। তবে চাইনিজ সুপার লিগের কোনও ফুটবলারের এতদিন Covid-19'এ আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলেনি। পরিস্থিতি যখন নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করতে শুরু করেছে চিন, ঠিক তখনই নতুন করে সংক্রমণের খবর এল তারকা ফুটবলারের শরীরে। যদিও তিনি ক্লাবে যোগ দিতে সদ্য পা দিয়েছেন ওদেশে।

মূলত স্পেন ও ইতালির একাধিক প্রথম সারির ফুটবলারের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছিল এতদিন। এবার সেই তালিকায় নিজের নাম লেখালেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের প্রাক্তন তারকা মারুয়ান ফেলাইনি।

চাইনিজ সুপার লিগে শানডং লুনেংয়ের জার্সি গায়ে চাপানো বেলজিয়ান তারকার শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি প্রমাণিত। তিনি এই মুহূর্তে জিনানের হাসপাতালে ভর্তি। ৩২ বছর বয়সি মিডফিল্ডার গত বছর ওল্ড ট্র্যাফোর্ড থেকে আস্তানা গুটিয়ে নেন এবং যোগ দেন চাইনিজ সুপার লিগে।

সরকারি নির্দেশে চিনে এই মুহূর্তে সব ধরণের খেলাধুলার আসর বন্ধ থাকলেও ক্লাবে যোগ দিতে ওদেশে পৌঁছন ফেলাইনি। ট্রেনে সওয়ারি হয়ে জিনানে পা দেওয়ার পরেই নিয়ম মাফিক ডাক্তারী পরীক্ষার মুখে পড়তে হয় বেলজিয়ান তারকাকে। মেডিক্যাল চেকআপের সময়েই তাঁর করোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। যদিও কোনও উপসর্গ দেখা দেয়নি ফেলাইনির শরীরে। তিনিই চাইনিজ সুপার লিগের প্রথম ফুটবলার, যাঁর শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেল।

ইনস্টাগ্রামে নিজের করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়ে ফেলাইনি লেখেন, 'প্রিয় বন্ধুরা, আমি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা, তা পরীক্ষা করিয়েছিলাম এবং আমার পরীক্ষার রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে। এই মুহূর্তে আমি চিনে রয়েছি এবং হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। আপনাদের আশ্বস্ত করছি যে, আমি একেবারে ঠিক রয়েছি। আমার সমস্ত অনুরাগী, মেডিক্যাল স্টাফ ও ক্লাবকে ধন্যবাদ যথাযথ পরিচর্যা ও যত্ন নেওয়ার জন্য।আমি চিকিৎসা প্রটোকল মেনে চলব এবং যত তাড়াতিড়ি সম্ভব খেলায় ফেরার চেষ্টা করব। দয়া করে সকলে নিরাপদে থাকবেন।'