দ্রাবিড়, লক্ষণের সঙ্গে কথা বলে শিখরের ভবিষ্যৎ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে BCCI

ভারতের ওডিআই দলে শিখর ধাওয়ানের অস্তিত্ব নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হল। কারণ ইশানের পারফরমেন্স যা ওডিআই বিশ্বকাপের আগে কোনঠাঁশা করল ধাওয়ানকে।

শিখর ধাওয়ান। ছবি-পিটিআই (PTI)

একটা সময় ভারতীয় দলে নিয়মিত ওপেন করতে দেখা যেত শিখর ধাওয়ানকে। কিন্তু এখন আর তাঁকে সেই ভাবে দেখা যায় না। ধাওয়ানের একদিনের ক্রিকেটে ভাগ্য এখন ঝুলে রয়েছে নির্বাচক কমিটির হাতে। সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের হতাশা জনক পারফরমেন্সের পর পুরনো নির্বাচক কমিটি ভেঙে ফেলেছে বিসিসিআই। নতুন নির্বাচন কমিটি এখনও গঠন হয়নি। তবে শিখর ধাওয়ান পরবর্তী একদিনের ক্রিকেটে সুযোগ পাবেন কিনা তা নিয়ে জল্পনা চলছেই। 

বর্তমানে রানের খরা চলছে শিখরের ব্যাটে। শেষ ৯ টি ওডিআইয়ের মধ্যে আটটিতেই খারাপ পারফরমেন্স করেছেন ধাওয়ান। পাওয়ার প্লেতে তাঁর মন্থর ব্যাটিং ভুগিয়েছে দলকে। অন্যদিকে তার কঠিন প্রতিপক্ষ ইশান কিষান ও শুভমন গিল এর পারফরমেন্স চাপে ফেলেছে ধাওয়ানকে।

শোনা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ক্রিকেটারদের পারফরমেন্সে কেন এমন হচ্ছে তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা করবে। এবং আগামী ওডিআই বিশ্বকাপের রোডম্যাপ নিয়ে প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় ও এনসিএ প্রধান বিবিএস লক্ষণের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বোর্ড কর্তারা।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালীন সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, টিমের রান না পাওয়া সিনিয়রদের ধীরে ধীরে বাদ দেওয়া হবে। পিটিআইকে বোর্ডের এক সিনিয়র কর্তা জানিয়েছেন, ‘নতুন নির্বাচক কমিটি নিযুক্ত হওয়ার পরেই শিখরের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় এবং অধিনায়ক রোহিত শর্মার পরামর্শকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।’

শিখর ধাওয়ান ভারতের হয়ে ১৬৭টি আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। রান করেছেন ৬৭৯৩। বর্তমানে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির পরে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। তাঁকে বাদ দেওয়া মোটেই সহজ হবে না বলে মনে করছে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ মহল।

শিখর ধাওয়ানের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে তার স্ট্রাইক রেট। ১০০ প্লাস স্টাইক রেট থেকে হতাশাজনক ভাবে ৭৫ নেমে এসেছে যা ভাবাবে নির্বাচক মন্ডলীকে। অন্যদিকে ইশান কিষানের ডাবল সেঞ্চুরির পর আরও কঠিন হয়ে পড়েছে ধাওয়ানের দলে ফেরা।

বিসিসিআই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ধাওয়ানকে জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কা এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ ছয়টি ওয়ানডে সুযোগ দেওয়া হবে। তারপরে মার্চের শেষে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডেতেও সুযোগ দেওয়া হবে।