ঋদ্ধিকে বাদ দিয়ে টেস্টে নতুন মুখ চাইছেন, T20-তে ফেরাচ্ছেন কার্তিককে, এমন দ্বিচারিতা কেন দ্রাবিড়দের? উঠছে প্রশ্ন

ঋদ্ধিমান সাহাও ৩৭ বছরের, দীনেশ কার্তিকও ৩৭-এর। কার্তিক জাতীয় দলে ফিরছেন, বয়স হয়েছে বলে বাদ ঋদ্ধি। এমন দ্বিচারিতা নিয়ে সাহার আক্ষেপ, ‘আমাকে বোধহয় দেখতে খারাপ’।

ঋদ্ধিমান সাহা ও দীনেশ কার্তিক। ছবি- টুইটার।

টি-২০ ক্রিকেটকে সচরাচর তরুণদের খেলা হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। অন্যদিকে টেস্টে দাম পায় অভিজ্ঞতা। যদিও ফর্ম ভালো থাকলে বয়স কোনও ক্ষেত্রেই বাধা হওয়ার কথা নয়। ভারতের বর্তমান টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে বোধহয় বিষয়টা একটু ভিন্নভাবে বিবেচিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে টি-২০'তে তরুণদের বসিয়ে সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে অভিজ্ঞদের। অন্যদিকে টেস্টে অভিজ্ঞ তারকাকে সরিয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে তারুণ্যে।

আপাতদৃষ্টিতে রাহুল দ্রাবিড়ের কোচিংয়ে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের দু'টি সিদ্ধান্তকে পাশাপাশি রাখলে পরস্পরবিরোধী ভাবনা-চিন্তা চোখে পড়তে পারে। বিষয়টাকে দ্বিচারিতা বলেও মনে হতে পারে, যখন প্রশ্ন ওঠে যে, ৩৭ বছর বয়সে যদি দীনেশ কার্তিক টি-২০ ক্রিকেটে ফিরতে পারেন, তখন ভালো খেলা সত্ত্বেও শুধুমাত্র বয়সের কারণে ঋদ্ধিমান সাহা কেন বাদ? তিনিও তো ৩৭ বছরের।

ঋষভ পন্ত সব ফর্ম্যাটেই ভারতের প্রথম পছন্দের উইকেটকিপার। ইশান কিষাণ নিয়মিত ঘোরাফেরা করছেন টিম ইন্ডিয়ার আঙিনায়। সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটে সঞ্জু স্যামসন কড়া নাড়ছেন জাতীয় দলের আঙিনায়। এমনকি লোকেশ রাহুলও টি-২০ ক্রিকেটে অনায়াসে উইকেটকিপিং করতে পারেন। তা সত্ত্বেও কার্তিককে আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে দলে ফেরান জাতীয় নির্বাচকরা এবং টিম ম্যানেজমেন্টের পূর্ণ সমর্থন পান দীনেশ।

ফর্মের নিরিখে কার্তিকের জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। তবে টেস্টে দল থেকে ঋদ্ধিকে বরখাস্তের চিঠি ধরিয়ে দেওয়ার পিছনে রাহুল দ্রাবিড়দের যুক্তি কতটা যথাযথ, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিতে বাধ্য। টেস্টে উইকেটকিপার হিসেবে এখনও নিশ্ছিদ্র নন ঋষভ। কেএস ভরত ছাড়া জাতীয় দলে ঢোকার দাবিদারও নেই কেউ।

সব দেখে শুনে হতাশ শোনায় ঋদ্ধিকেও। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, ‘আমাকে হয়ত দেখতে ভালো নয়। সেকারণেই পারফর্ম করেও সুযোগ পাই না। ব্যাটিং-কিপিং কোথাও সমস্যা নেই, একথা স্বীকার করেও জানিয়ে দেওয়া হয় যে, টিম ম্যানেজমেন্ট নতুন মুখ চাইছে।’