ঋদ্ধিমান সাহা অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য। তবে বাংলা ক্রিকেটে ঋদ্ধিযুগ একেবারে শেষ না হলেও শেষপর্বে বলা যায়। বিশেষ করে জাতীয় দলের দরজা বন্ধ হয়ে গেলে রাজ্য দলের হয়ে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে ঋদ্ধিমান খুব বেশিদিন মাঠে নামবেন বলে মনে হয় না। এই অবস্থায় বাংলা পরবর্তী প্রজন্মের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান পেয়ে গেল বলা যায়।
১৯ বছরের অভিষেক পোড়েল সিনিয়র ক্রিকেটে অভিষেক মরশুমেই যে রকম ধারাবাহিকতা দেখাচ্ছেন, তাতে তাঁকে ঘিরে স্বপ্ন দেখতে পারে বাংলা ক্রিকেট।
অনূর্ধ্ব-১৯ কোচবিহার ট্রফিতে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন অভিষেক। সেই সুবাদেই সিনয়র দলে ঢুকে পড়েন তিনি। রঞ্জ ট্রফি দিয়ে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয় তাঁর। গ্রুপ লিগের তিনটি ম্যাচে সাকুল্যে ১৮৫ রান সংগ্রহ করেন নবাগত উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। হাফ-সেঞ্চুরি করেন ২টি।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, অভিষেক মোটেও ঠুকঠুকে মেজাজের নয়। বরং রীতিমতো আগ্রাসী মেজাজে বোলারদের শাসন করতে পছন্দ করেন। বরোদার বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচের দুই ইনিংসে যথাক্রমে ২১ ও অপরাজিত ৫৩ রান করেন পোড়েল। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে করেন ৭৩ ও ০ রান। চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ ম্যাচে অভিষেকের সংগ্রহ ০ ও ৩৮ রান।
স্বাভাবিকভাবেই ঋদ্ধি না খেলায় ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে অভিষেকই ছিলেন বাংলার প্রথম পছন্দের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। এখনও কিপিংয়ের দায়িত্ব পালন করতে না হলেও ব্যাট হাতে ফের জ্বলে উঠলেন অভিষেক। ১১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১১১ বলে ৬৮ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি।
আরও পড়ুন:- Ranji Trophy: আউট নিয়ে সংশয়, ডাবল সেঞ্চুরির দোরগোড়া থেকে ফিরতে হল সুদীপ ঘরামিকে
যেরকম ব্যাট করছিলেন, তাতে শতরান কেবল সময়ের অপেক্ষা বলে মনে হচ্ছিল। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। ঠিক যেভাবে সুদীপ ঘরামিকে লেগ-স্টাম্পের বাইরের বলে কট-বিহাইন্ড ঘোষণা করেন আম্পায়ার, এক্ষেত্রে অভিষেককেও আউট হতে হয় একইভাবে। বল অভিষেকের থাই প্যাডে লেগেছিল বলে মন করছেন বিশেষজ্ঞরা। অভিষেক নিজেও অম্পায়ারের সিদ্ধান্তে খুশি ছিলেন না।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।