শুভব্রত মুখার্জি: বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ন দল নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সদ্য শেষ হওয়া সিরিজ ইংল্যান্ড দল জিতেছে ৩-০ ফলে। কিউয়িদের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে জনি বেয়ারস্টোর। বলা ভালো গোটা সিরিজে ব্যাট হাতে স্বপ্নের ফর্মে ছিলেন তিনি। গত ম্যাচে শতরান করে ইংল্যান্ড দলকে জেতানোর পরবর্তীতে তৃতীয় টেস্টের শেষ দিনেও ব্যাট হাতে খেললেন এক মারকাটারি ইনিংস। অর্ধশতরান করে নিউজিল্যান্ড দলের বিরুদ্ধে হোয়াইটওয়াশ সম্পন্ন করলেন তিনি। আর এই ইনিংসের মধ্যে দিয়ে অল্পের জন্য স্পর্শ করতে পারলেন না স্যার ইয়ান বোথামকে। ইংল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধশতরান করলেন তিনি।
জনি বেয়ারস্টো ইংল্যান্ড বোলারদের পিটিয়ে মাত্র ৩০ বলে করলেন অর্ধশতরান। আর স্যার ইয়ান বোথাম করেছিলেন ২৮ বলে অর্ধশতরান। ১৯৮১ সালে ভারতের বিরুদ্ধে এই নজির গড়েছিলেন বোথাম। ২০২২ সালে মাত্র ২ বলের জন্য সেই নজির স্পর্শ করা হল না বেয়ারস্টোর। এদিন দিনের শুরুতেই 'থ্রি লায়ন্সরা' হারায় ওলি পোপকে। আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে মাত্র ১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। ৮২ রান করে পোপ আউট হয়ার পরে ক্রিজে আসেন বেয়ারস্টো।
চতুর্থ ইনিংসে ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৯৬ রান। পঞ্চম দিনে বৃষ্টির কারণে বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকার পরে শুরু হয়। পোপ আউট হওয়ার পরে রুটকে সঙ্গী করে ব্যাট হাতে তান্ডব শুরু করেন বেয়ারস্টো। ৪৪ বলে অপরাজিত ৭১ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন। অর্ধশতরান সম্পন্ন করেন মাত্র ৩০ বলে। রুট ৮৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
∆ আসুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক ইংল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসে দ্রুততম অর্ধশতরানকারীদের:
১) ইয়ান বোথাম বনাম ভারত ১৯৮১ সাল, ২৮ বলে।
২) জনি বেয়ারস্টো বনাম নিউজিল্যান্ড ২০২২ সাল, ৩০ বলে।
৩) ইয়ান বোথাম বনাম নিউজিল্যান্ড ১৯৮৬ সাল, ৩২ বলে।
৪) অ্যান্ড্রু ফ্লিটফ বনাম নিউজিল্যান্ড ২০০২ সাল, ৩৩ বলে।
৫) স্টুয়ার্ট ব্রড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০২০ সাল, ৩৩ বলে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।