গ্রুপ ‘এইচ’র মেগা মোকাবিলায় ঘরের মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে জুভেন্তাসের মুখোমুখি হয়েছিল চেলসি। জুভেকে কার্যত খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৬ নিজেদের জায়গা পাকা করল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচটি ৪-০ গোলে জেতে চেলসি।
নিজেদের প্রথম চার ম্যাচ জিতে আগেই পরবর্তী রাউন্ডের টিকিট পেয়ে গিয়েছে জুভে। এদিন গ্রুপ শীর্ষে নিজেদের স্থান পাকা করাই ম্যাক্স আলেগ্রির দলের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। সে গুড়ে বালি। ম্যাচের প্রথম থেকে দাপট দেখাতে শুরু করে চেলসি। অ্যান্টোনিও রুডিগারের অ্যাসিস্ট থেকে ২৫ মিনিটের মাথায় স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে এ মরশুমে সর্বোচ্চ পঞ্চম গোলটি করেন ডিফেন্ডার ট্রেভর চালোবা। হ্যান্ডবল সন্দেহে গোলটি চেক করা হলেও বাতিল করা হয়নি। এই গোলের পর সঙ্গে সঙ্গেই চিপে প্রাক্তন চেলসি স্ট্রাইকার আলভারো মোরাতার জুভেকে সমতায় ফিরেনোর প্রয়াস দুরন্তভাবে গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করে দেন থিয়াগো সিলভা। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধে সেরা ফর্মে থাকা চেলসি ফুলব্যাক রিস জেমস কোণের দুরন্ত ব্যবহার করে দারুণভাবে বল জালে জড়িয়ে দেন। তাঁর তিন মিনিটের ব্যবধানে ৫৮ মিনিটের মাথায় ক্যালাম হডসন-ওডোয়ও গোল করে চেলসির তরফে ব্যবধান ৩-০ করেন। এতক্ষণে যে ম্যাচ হাতের বাইরে চলে গিয়েছে তা স্পষ্টই বুঝে যায় জুভে। তারা তো গোল করতে পারেই নি, বরং ম্যাচের এক্সট্রা টাইমে হাকিম জিয়েকের পাস থেকে টিমো ওয়ার্নার গোল করে স্কোরলাইন ৪-০ করেন।
জুভে গোলরক্ষক ওয়েইচেক সেজনি না থাকলেও আরও বড় ব্যবধানে হারতে হতো জুভেকে। তিনি অসাধারণ জেমস, বেন চিলওয়েলদের বিরুদ্ধে দারুণ কয়েকটি সেভ করেন। এই জয়ের ও গ্রুপের অন্য ম্যাচে মালমোর সঙ্গে জেনিট সেন্ট পিটাসবার্গ ১-১ ড্র করার ফলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চেলসি পরের রাউন্ডে চলে যায়। জুভেরও একই পয়েন্ট থাকলেও তারা গোলপার্থক্যে দ্বিতীয় স্থানে চেলসির পরে রয়েছে। জেনিট রয়েছে চার পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মরশুমের প্রথম পয়েন্ট পাওয়া মালমো চারে রয়েছে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।