মোহনবাগান ইতিমধ্যেই কলকাতা লিগের শুরুটা দারুণ করেছে। প্রথমে পাঠচক্র, তার পর বুধবার টালিগঞ্জ অগ্রগামীকেও কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। শুধু তাই নয়, মহামেডান স্পোর্টিংও কলকাতা লিগের শুরুটা লড়াকু ছন্দে করেছে। নিজেদের ঘরের মাঠে সিএফসি-কে উড়িয়ে দিয়েই অভিযান শুরু করেছে মহামেডান। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল হতশ্রী ফুটবল খেলে লিগের লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়ল বিনো জর্জের দল। প্রথম ম্যাচেই ড্র করে সন্তুষ্ট থাকতে হল ইস্টবেঙ্গলকে।
ম্যাচের সেরা সৌরভ
প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হলেন রেনবো সৌরভ দাশগুপ্ত। রেনবো এসি-র ডিফেন্ডার পুরো ম্যাচেই তাঁর দলের জন্য দুরন্ত পারফরম্যান্স করে লাল-হলুদকে আটকে দিয়েছেন। গোলের মুখ খুলতে দেননি।
খেলার ফল গোলশূন্য
ইস্টবেঙ্গলকে আটকে দিল রেনবো। এটা তাদের নৈতিক জয়। খেলার ফল গোলশূন্যই থাকল। দিশেহারা, হতশ্রী ফুটবল খেলল লাল-হলুদ। গোল করার লোকের অভাব স্পষ্ট। রেনবো বরং অনেক ভালো খেলেছে।
দ্বিতীয়ার্ধের নির্দিষ্ট সময়ের খেলা শেষ, ৫ মিনিট ইনজুরি টাইম
দ্বিতীয়ার্ধের নির্দিষ্ট সময়ে গোলের মুখ খুলতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। খেলার ফল এখনও গোলশূন্য। ৫ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে। রেনবো ড্র করতে পারা মানে, এটি তাদের নৈতিক জয়।
গোলের দেখা নেই
৮৪ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল ফ্রি কিক থেকে নতুনত্ব আনার চেষ্টা করে। কিন্তু সেকেন্ড পাসে আর বলটির নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব হয়নি। হতাশা বাড়ছে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদেরও। কারণ লাল-হলুদে গোলের দেখা নেই। খেলার ফল এখনও গোলশূন্য।
দুরন্ত রক্ষণ রেনবোর
৭৭ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের শুভেন্দু মান্ডিকে দুরন্ত বল্ক করে দেন ইনজামুল হক। ডিফেন্ডার একটি পয়েন্ট-ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে মান্ডির স্ট্রাইককে আটকে দেন। উচ্ছসিত রেনবো কিপার সত্যব্রত মান্না তাঁর সতীর্থকে জড়িয়ে ধরেন।
ফের সুযোগ নষ্ট লাল-হলুদের
৬৯ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন তুহিন দাস। সত্যব্রত মান্নার বল সহজেই ধরে ফেলেন। তুহিনের শটে জোর ছিল না।
হতাশাজনক ইস্টবেঙ্গল
সার্থক গোলুইয়ের বাঁ-পায়ের ক্রস রেনবো সহজেই ক্লিয়ার করে দেয়। খেলার ৬৩ মিনিট হয়ে গেল, ইস্টবেঙ্গল এখনও ম্যাড়ম্য়াড়ে। আর কবে গোল করবে লাল-হলুদ?
দুরন্ত ডিফেন্ড করলেন সৌরভ
খেলার ৫৫ মিনিটে বাঁ দিক থেকে তুহিনের ক্রস চমৎকার ভাবে ডিফেন্ড করেন সৌরভ দাশগুপ্ত। রেনবো এসি প্লেয়ারের দুরন্ত পারফরম্যান্স।
আত্মবিশ্বাসী রেনবো
খেলার ৫৪ মিনিট অতিবাহিত। রেনবোকে দ্বিতীয়ার্ধে আরও আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছে। তারা সেট পিস থেকে সমস্যা তৈরি করছে। ইস্টবেঙ্গলকে কিন্ত দিশেহারা লাগছে।
পরপর দু'টো সুযোগ নষ্ট লাল-হলুদের
৪৮ মিনিটে কুশ ছেত্রী পুরো বল সাজিয়ে গোলের সামনে দিয়েছিলেন। পায়ের টোকা দিলেই গোল হত। কিন্তু সহজতম সুযোগ নষ্ট করেন মহম্মদ নিয়াস। এর ঠিক আগেও একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেছে লাল-হলুদ।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। ইস্টবেঙ্গল কি পারবে গোল করতে? পারবে জয় দিয়ে শুরু করতে?
বিরতি
বিরতির আগে পর্যন্ত চূড়ান্ত ম্যাড়ম্যাড়ে পারফরম্যান্স ইস্টবেঙ্গলের। দু'-চারটে গোলের সুযোগ যাও বা পেয়েছে তারা, সেটাও মিস করেছে। গোল করার লোকও নেই। বরং রেনবো অনেক স্বচ্ছন্দ ছিল। যাইহোক বিরতিতে কোনও দলই গোলের মুখ খুলতে পারেনি। খেলার ফল প্রথমার্ধ শেষে গোলশূন্য।
দুরন্ত সেভ নিশাদের
অসাধারণ সেভ করলেন নিশাদ। বিরতির আগেই নয়তো রেনবো ১-০ করে ফেলতে পারত। কিন্তু ক্ষিপ্রতার সঙ্গে সেভ করে লাল-হলুদকে স্বস্তি দিলেন নিশাদ।
বিরতির আগে বড় সুযোগ
ইস্টবেঙ্গল ফের সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু গোল করার লোকের অভাব স্পষ্ট। বারবার মিস করছে তারা। সার্থক গলুই ভালো শট নিয়েছিলেন। কিন্তু একটুর জন্য মিস করেন।
ফের চোট পান রেনবো কিপার
বল বাঁচাতে গিয়ে ফের চোট পান রেনবোর কিপার সত্যব্রত মান্না। তবে প্রাথমিক শুশ্রুষার পর ফের তিনি কিপিং শুরু করেছেন।
প্রথমার্ধের নির্দিষ্ট সময়ের খেলা শেষ, ৮ মিনিট ইনজুরি টাইম
প্রথমার্ধের নির্দিষ্ট সময়ের খেলার ফল ০-০। রেনবো দুরন্ত লড়াই করছে। লাল-হলুদ বরং চাপে। ৮ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে।
ইস্টবেঙ্গলের মিস
৪৪ মিনিটে সহজ সুযোগ চলে এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের। পারল না ইস্টবেঙ্গল সেই সুযোগ কাজে লাগাতে। তন্ময় মিস করেন সেই সুযোগ। বিরতির আগে যদি ১-০ করতে পারত লাল-হলুদ, তবে কিছুটা হলেও অক্সিজেন পেত তারা।
রেনবো চাপে রেখেছে ইস্টবেঙ্গলকে
খেলার ৩৫ মিনিট হয়ে গিয়েছে। রেনবোে যতটা মরিয়া লড়াই করতে গিয়েছে, ততটা মরিয়া ভাব নেই লাল-হলুদের। বরং তারা খুব চাপে রয়েছে।
ফের রেনবোর সুযোগ
খেলার ২৪ মিনিটে রেনবো ফের একটি সুযোগ তৈরি করেছিল। তবে দুরন্ত সেভ করেন নিশাদ। তিনি না সেভ করলে হয়তো গোলটা হয়ে যেত।
২১ মিনিটেই ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার বদল
চোটের কারণে আদিত্যকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ২১ মিনিটে উঠে যেতে হল। কনকাশনের কারণে তিনি মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। রিজার্ভ গোলকিপার নিশাদ নামেন পরিবর্তে।
রেনবোর সুযোগ
ম্যাচের ১৬ মিনিট নাগাদ রেনবো ফের সুযোগ তৈরি করেছিল। ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ ভেঙে গোলের কাছে পৌঁছেও সহজ সুযোগ নষ্ট করে তারা। বারের উপর দিয়ে বল মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেয়।
সহজ সুযোগ নষ্ট ইস্টবেঙ্গলের
ম্যাচের ৯ মিনিট নাগাদ সহজ সুযোগ তৈরি করেছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে গোলের মুখে দাঁড়িয়ে তিন বারের চেষ্টাতেও গোলের মুখ খুলতে পারল না তারা। এরকম সুযোগ নষ্ট হওয়া মানে ম্যাচে চাপে থাকবে লাল-হলুদ। এদিকে বল বাঁচাতে গিয়ে রেনবোর কিপার সত্যব্রত মান্না চোট পায়। মাঠে ফিজিয়ো আসতে হয়। তবে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তিনি ফের কিপিং করছেন।
শুরুতেই লাল-হলুদ কিপারের চোট।
খেলার শুরুতেই রেনবোর শট বাঁচাতে গিয়ে আহত হন লাল-হলুদের কিপার আদিত্য পাত্র। বহুক্ষণ তাঁকে মাঠে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ফিজিয়ো এসে প্রাথমিক চিকিৎসা করলে ফের তিনি উঠে দাঁড়ান। তবে রেনবো সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করল। ইস্টবেঙ্গলকে কিন্তু চাপেই ফেলে দিয়েছিল রেনবো।
খেলা শুরু
ইস্টবেঙ্গল-রেনবোর খেলা শুরু। মোহনবাগান, মহমেডানের মতোই জয় দিয়ে শুরু করতে পারবে লাল-হলুদ?
বিনো জর্জের দাবি
ম্যাচের আগের দিন বিনো জর্জ বলেছেন, ‘আমরা লিগের শুরুটা ভালো করার বিষয়ে আশাবাদী। এবারের কলকাতা লিগে অসংখ্য ম্যাচ রয়েছে। যা তরুণদের নিজেদের তৈরি করতে সুবিধা হবে। ক্লাবের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা। আমরা নিজেদের সেরাটাই দেব।’
ইস্টবেঙ্গলের হাল
ডেভলপমেন্ট লিগে ভালো খেললেও, এই মরশুমে দল কার্যত ভেঙে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। ফলে নতুন করে ট্রায়াল দিয়ে ফুটবলার সই করাতে হয়েছে। যে ট্রায়াল চলেছে কিছু দিন আগে অবধিও। যা ইস্টবেঙ্গলের মতো দলের ক্ষেত্রে ভাবাই যায় না। গোল করার কেউই নেই দলে। তবুও নতুন মরশুমে আশায় বুক বাঁধছেন সমর্থকরা। হতাশা ঝেড়ে, নতুন মরশুমে কলকাতা লিগ জেতাই এখন লক্ষ্য লাল-হলুদের।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।