জাপানে লিওনেল মেসির খেলা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। ভক্তরাও মনে করেছিলেন যে হয়তো মেসির খেলাটা দেখা হবে না। চোটের কারণে গত সপ্তাহেই যে হংকংয়ের প্রীতি ম্যাচে খেলেননি আর্জেন্তাইন মহাতারকা। তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে শেষ পর্যন্ত টোকিওতে ঠিকই মাঠে নামলেন ইন্টার মায়ামি অধিনায়ক। তাঁকে খেলতে দেখে উচ্ছ্বাসের ঢেউ বয়ে গেল গ্যালারিতে। অন্যদিকে হংকংয়ের ভক্তেরা আরও চটলেন। তবে ম্যাচ খেললেও জাপানের ক্লাবের বিরুদ্ধে জিততে পারেনি মেসির দল। জাপানের জে-লিগের দল ভিসেল কোবের বিরুদ্ধে বুধবার প্রীতি ম্যাচ খেলে মেজর লিগ সকারের দল মায়ামি।
প্রথমার্ধে এ করকম নিশ্চুপই ছিল স্টেডিয়াম। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে যখন লিওনেল মেসিকে গা গরম করতে দেখেন দর্শকরা, উল্লাসে ফেটে পড়েন তারা। ম্যাচের ৬০তম মিনিটে মাঠে নামেন আর্জেন্ত নার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। গোলশূন্য ড্র হওয়ার পর পেনাল্টি শুটআউটে ৪-৩ ব্যবধানে হারে ইন্টার মায়ামি। রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি অর জয়ী ৩৬ বছর বয়সী মেসি টাইব্রেকারে কোনও শট নেননি।
গত শনিবার হংকং একাদশের বিরুদ্ধে খেলেছিল মায়ামি। মেসিকে দেখতে সে দিনও কানায় কানায় পূর্ণ ছিল হংকং স্টেডিয়ামের গ্যালারি। বিক্রি হয়ে গিয়েছিল সব টিকিট। কিন্তু সকলেই সে দিন হতাশ হয়েছিলেন, কারণ সেই দিনে মাঠে নামেননি লিওনেল মেসি। তারপর থেকেই হংকংয়ে মেসিকে নিয়ে ক্ষোভের আগুন একটু একটু করে প্রশমিত হতে শুরু করেছিল। কিন্তু লিওনেল মেসিকে জাপানে খেলতে দেখে সেই আগুনেই আবার যেন ঘি পড়েছে। হংকংয়ের মাঠে মেসির খেলা দেখতে না পাওয়ার ‘বঞ্চনা’ মানতে পারছেন না সেখানকার সংবাদমাধ্যম ও ফুটবলপ্রেমীরা। ব্যাখ্যা দাবি করা হয়েছে এমনকি হংকংয়ের সরকারের পক্ষ থেকেও।
১২৪ কোটির বেশি ব্যয় করে হংকং একাদশের বিরুদ্ধে খেলতে ডাকা হয়েছিল ইন্টার মায়ামিকে। ওই চুক্তিতে স্বাভাবিক ভাবে মেসির খেলার ব্য়াপারটাও ছিল। টোকিওতে ভিসাল কোবের বিরুদ্ধে খেলতে দেখা যেতে পারে তাঁকে। হংকং ম্যাচে খেলতে না পারার আক্ষেপ রয়েছে মেসিরও। আর্জেন্তিনার নায়ক বলেছেন, ‘আশা করি ওখানে আবার কখনও ম্যাচ খেলব আমরা। আমিও খেলব সেই ম্য়াচটা। কিন্তু সত্যিটা মেনে নিতেই হবে যে, আমি ওই ম্যাচটাতে নামতে পারিনি। কয়েক দিন আগে আমার যা পরিস্থিতি ছিল, তার থেকে এখন অনেক ভালো আছি। তবে পরের ম্যাচ খেলব কিনা, সেটা ট্রেনিংয়ের উপর নির্ভর করছে। আমি যদি সত্যি বলি, তা হলে বলব, আমি জানি না, খেলতে পারব কিনা পরের ম্যাচটা। তবে আগের থেকে ভালো আছি।’
লিওনেল মেসি বলেছেন, ‘হংকংয়ে সে দিন খেলতে পারিনি দুর্ভাগ্যের কারণে। ফুটবলে যে কোনও ম্যাচের আগেই এ রকম হতে পারে। হঠাৎ করে চোট লেগে যেতে পারে। খুব লজ্জার ব্যাপার। কারণ আমি সব সময়ে ম্যাচে খেলতে চাই। যখন আমরা দূরে কোনও দেশে গিয়ে খেলি এবং যাঁরা আমাদের দেখতে মুখিয়ে থাকেন তাঁদের কথা ভেবে খারাপ লাগে।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত ফুটবলে এমন ঘটনা যখন-তখন ঘটতে পারে। যে কোনও ম্যাচ আমরা চোট পেতে পারি। তেমনই ঘটেছে আমার সঙ্গে। হংকং ম্যাচ যে কারণে খেলতে পারিনি। এটা আমার কাছেও অত্যন্ত খারাপ লাগার ব্যাপার। কারণ, আমি সব সময় খেলতে ভালোবাসি। আমিও ফুটবল ম্যাচটা খেলতে চেয়েছিলাম। খুব ভালো করে জানি, ওই ম্য়াচটা দেখার জন্য মুখিয়ে ছিল সবাই। খারাপ লাগছে খেলতে পারিনি বলে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।