বুধবার কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে দুটি রেকর্ড গড়ে ফেলেছিলেন। ম্যাচেও দুর্দান্ত খেলেন। তিনি মেসি। লিওনেল মেসি। নিজে গোল করেন। সতীর্থকে দিয়ে গোলও করান। গোল করে বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক লোথার ম্যাথাউসের রেকর্ড স্পর্শ করেন। সব পরিসংখ্যান একদিকে। তবে মেসির জাদু, যা দেখার জন্য রাত জাগা, তা যেন অন্য এক বিশ্বের। কম বয়সি মেসির সেই ড্রিবলিং মঙ্গল রাতে দেখা যায় লুসাইল স্টেডিয়ামে। ক্রোয়েশিয়ার ২০ বছর বয়সি ডিফেন্ডার জস্কো গওয়ার্ডিওলকে রীতিমতো বোকা বানিয়ে সতীর্থ আলভারেসের জন্য ঠিকানা লেখা পাস বাড়িয়েছিলেন মেসি। (আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল জিতে অবসর ঘোষণা ‘GOAT’ মেসির! কী বললেন লিও?)
উল্লেখ্য, কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে খেলতে নেমেই সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করেন লিও। ফাইালে সেই রেকর্ড ভেঙেও দেবেন। এদিকে অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপের মঞ্চে সর্বাধিক ম্যাচ খেলে ফেলেছেন মেসি। তাছাড়া বিশ্বকাপের মঞ্চে আর্জেন্তিনার হয়ে সর্বাধিক গোল শিকারি হয়ে গিয়েছেন মেসি। আগের ম্যাচেই গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার রেকর্ড ছুঁয়েছিলেন। এই ম্যাচে বিশ্বকাপে নিজের ১১তম গোল করে সেই রেকর্ড ভেঙে দেন এলএম১০।
চলতি বিশ্বকাপে ইতিমধ্যেই ৫টি গোল এবং তিনটি অ্যাসিস্ট নিজের নামে করেছেন লিওনেল মেসি। গতরাতের ম্যাচের ৩৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন মেসি। আর্জেন্তিনার হয়ে গতকাল অপর দুটি গোল করেন আলভারেস। তার মধ্যে আলভারেসের দ্বিতীয় গোলে যেন সর্বোচ্চ কৃতিত্ব মেসির। মাঠের ডান দিকের লাইন ঘেঁষে ডিফেন্ডারের সঙ্গে স্প্রিন্ট করে বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে ডি-বক্সে ঢোকেন মেসি। খুব সূক্ষ্ম কোণ থেকে বলটিকে পাস দেন আলভারেস। সেখান থেকে আলভারেসের জন্য গোল করা খুবই সহজ হয়ে যায়। তবে ৩৫ বছর বয়সের মেসি যেভাবে ‘স্প্রিন্ট’ এবং নিজের দক্ষতা দিয়ে ২০ বছর বয়সি তরুণ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে এগিয়ে যান, তা দেখে মুগ্ধ ফুটবলপ্রেমীরা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।