শুভব্রত মুখার্জি: ওডিআই বিশ্বকাপের আবহেই ভারতীয় ফুটবলে বৃহস্পতিবার নেমে এল চরম এক লজ্জা। ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলকে ৭-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দিল জাপান। উজবেকিস্তানের তাসখন্দে এদিন মুখোমুখি হয়েছিল ভারত এবং জাপান। এএফসি আয়োজিত মহিলাদের অলিম্পিক্স কোয়ালিফায়ারের দ্বিতীয় রাউন্ডের লড়াই ছিল এই ম্যাচটি । সেই ম্যাচেই এত বড় ব্যবধানে হারের লজ্জার সামনে পড়তে হল ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলকে। লোকোমোটিভ স্টেডিয়ামে এদিন ভারতীয় দলকে নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করে ৭-০ গোলে হারিয়ে দিল জাপান।
থমাস ডেনেব্রি এদিন তাঁর ফর্মেশনে ডিফেন্সে জোর দিয়েছিলেন। ভারতীয় দলকে এদিন তিনি খেলান ৫-৩-২ ছকে। আর তা করতে গিয়েই মিডফিল্ডে অনেক ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়ে যায়। যার ভরপুর লাভ উঠিয়েছে জাপান দল। মিডফিল্ডকে পুরোপুরি নিজেদের দখলে এনে বারবার তারা চাপ বাড়িয়েছে বিপক্ষের ডিফেন্সে। শেষ পর্যন্ত মুহুর্মুহু আক্রমণে ভেঙে পড়েছে ভারতীয় ডিফেন্স। প্রথম ৪৫ মিনিটে ভারতীর কোচের ডিফেন্সিভ পরিকল্পনা কাজে দিলেও, দ্বিতীয়ার্ধে তা খড়কুটোর মতন ভেঙে পড়ে। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা ভারতীয় দল, শেষ পর্যন্ত ৭-০ গোলে পর্যুদস্ত হয়।
ডিফেন্সে এদিন আশালতা দেবী, সুইটি দেবী, রিতু রানি এবং মিডফিল্ডে সঙ্গীতা বাসফোড়, সিল্কি দেবীরা তুল্যমূল্য লড়াই চালান। তবে প্রথমার্ধে তাদের দাঁত চাপা লড়াই দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে কোথাও যেন তাদের ক্লান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। জাপানের হয়ে এদিন প্রথম গোলটি করেন ইয়োসিনো নাকাশিমা। ম্যাচের ১৭তম মিনিটে গোল করে দলকে লিড এনে দেন তিনি। ভারতের গোলে এদিন শ্রেয়া হুডা ভালো না খেললে, ভারতের হারের ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ভারতীয় ডিফেন্সে আছড়ে পরে জাপানের আক্রমণের সুনামি। মাত্র ১১ মিনিটে চার গোল হজম করে ম্যাচ থেকেই ছিটকে যায় তারা। নাকাশিমা ম্যাচে তার দ্বিতীয় গোলটি করেন এই সময়েই। দলের হয়ে তৃতীয় গোল হোনোকা হায়াসির। চতুর্থ গোলটি করেন মিনা তানাকা। ৫৬ তম মিনিটে জাপানের হয়ে পঞ্চম গোলটি করেন মিয়াবি মরিয়া। এর পর কিকো সেইকে এবং হিকারু নাওমোতো গোল করে ভারতের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।