মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশেই ধর্ষকদের ‘অঙ্গচ্ছেদে’র মতো কড়া শাস্তি দেওয়া হয়। তবে কাতারে হয় উলটোটা। এই দেশে ধর্ষিতাকেই দোষী বলে গণ্য করা হয়। আজব শোনালেও এটাই সত্যি। আর বিশ্বকাপের মাঝে এই আইন নিয়েই মাথায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ফিফা। ফুটবলের মহারণ উপভোগ করতে আসা লক্ষ লক্ষ নারীর সুরক্ষার কথা ভেবে এবার তাই কাতারি প্রশাসনকে সতর্ক করল ফিফা। কোনও নির্যাতিতাকে যাতে গ্রেফতার না করা হয়, কাতারি প্রশাসনকে সেই সংক্রান্ত ‘নির্দেশিকা’ পাঠাল ফিফা।
উল্লেখ্য, কাতারে ধর্ষণকে ‘বিবাহ বহির্ভুত যৌন সঙ্গম’ বলে বিবেচনা করা হয়। সেই ক্ষেত্রে ধর্ষক ‘নির্দোষ’। অপরদিকে ধর্ষিতাকেই ‘অপরাধী’ বলে গণ্য করা হয়। এই অদ্ভূত আইনের কারণেই কাতারে ভ্রমণকারী ফুটবলপ্রেমীদের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত ফিফা। কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজন করা নিয়ে এমনিতেই বিশ্বজুড়ে প্রশ্ন উঠেছে। মানবাধিকার সহ সমকামী বিরোধী মনোভাবের মতো ইস্যুতে কাতারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন বহু দেশ। এরই মাঝে কাতারের ‘ধর্ষণ’ আইন নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে বিশ্বকাপের বল গড়ানোর দুই দিন পর।
কাতারি প্রশাসনকে লেখা চিঠিতে ফিফা লিখেছে, ‘কোনও নারীর বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতা বা নির্যাতনের সন্দেহ হলেই আইন প্রণনয়নকারীরা জড়িত হতে পারে।’ চিঠিতে আরও লেখা হয়, ‘নারীরা ধর্ষণ বা যৌন হয়রানি/সহিংসতার অভিযোগ করলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আনা যাবে না।’ এদিকে ফিফার তরফে কাতারি প্রশাসনকে আরও বলা হয়েছে, ‘কোনও অবিবাহিত গর্ভবতীর যদি মেডিক্যাল সাহায্য প্রয়োজন হয়, তাহলে যেন তা প্রদান করা হয়।’ প্রসঙ্গত, কাতারে ধর্ষিতাদের সাত বছর কারাদণ্ড এবং ১০০টি চাবুকের বাড়ির শাস্তি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে গতবছর বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির এক সদস্য নিজের সহকর্মীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন। এরপরই কাতারি প্রশাসন অধিযোগকারীকে সেই ধর্ষককে বিয়ে করার নিদান দেয়। তাছাড়া সেই ধর্ষককেও ‘নির্দোষ’ আখ্যা দেয়। এরপর কাতারি প্রশাসনের শাস্তি থেকে বাঁচতে দেশ ছাড়তে হয়েছিল নির্যাতিতাকে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।