এফসি গোয়াকে হারিয়ে, ডার্বির আগে অফফর্মের হায়দরাবাদের মুখোমুখি হয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। তবে ম্যাচে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়ল লাল হলুদ। ৪-০ গোলে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে লিগ শীর্ষে পৌঁছল নিজামের শহরের দল। অপরদিকে, রক্ষণে অরিন্দম এবং আদিলের ব্যক্তিগত ভুল এবং ওগবেচে ও অনিকেতে ব্যক্তিগত দক্ষতায় ম্যাচ হারল ইস্টবেঙ্গল। এই পরাজয়ের ফলে গোলপার্থক্যে ফের একবার আইএসএলের লাস্টবয় এসসি ইস্টবেঙ্গল।
ম্যাচের নায়ক ওগবেচে
ম্যাচ শেষে
ডার্বির আগে ৪-০ ব্যবধানে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দুরমুশ হতে হল এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। রক্ষণে ব্যক্তিগত ভুল এবং কিছুটা ব্যক্তিগত দক্ষতাই হায়দরাবাদকে ম্যাচ জিতিয়ে দিল।
৯০+২ মিনিট- অনবদ্য অরিন্দম
পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে সিভোরিয়োর শট অনবদ্যভাবে রুখে দেন ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষম অরিন্দম। ফিরতি বল থেকে শট গোলে রাখতে পারেননি চিয়ানেজে।
৮৯ মিনিট- নামতের শট মিস
পেনাল্টি বক্সের বাঁ-দিক থেকে নামতের শট হায়দরাবাদ গোলের ধারেকাছেও ছিল না।
৮৫ মিনিট- পেনাল্টি মিস পর্চের
মাঠে নেমেই নিজের অভিষেক ম্যাচে দলকে পেনাল্টি এনে দিয়েছিলেন রিবেইরো। যদিও সিদ্ধান্তটি বেশ বিতর্কিতই ছিল। তবে ফ্রানিও পর্চের পেনাল্টি ডান দিকে ঝাঁপিয়ে দারুণভাবে বাঁচিয়ে দেন কাট্টিমানি।
৮৩ মিনিট- ফের সুযোগ হাতছাড়া সিভোরিয়োর
আবার চিয়ানেজে-সিভোরিয়োর যুগলবন্দিতে গোল করার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল হায়দরাবাদ। তবে আজ মনে হয় সিভেরিয়ো গোল পাবেন না। তাঁর হেডার গোলপোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়।
৮১ মিনিট- একগুচ্ছ বদল দুই দলের
আকাশ মিশ্রে ও আশিস রাইয়ের জায়গায় হায়দরাবাদের হয়ে নামলেন প্রীতম এবং নিম দর্জে। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে মহম্মদ রফিক, পেরোসেভিচ বদলে মাঠে এলেন জ্যাকিচাঁদ সিং এবং লালরিনলিয়ানা নামতে।
অল্পের জন্য রেহাই ইস্টবেঙ্গলের
বাঁ-দিক থেকে চিয়ানেজে দারুণ কয়েকটা স্টেপ ওভারে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সকে খানিকটা ভ্যাবাচাকা খাইয়ে দারুণ ক্রস করেছিলেন। পেনাল্টি বক্সে ট্যাপ ইনের জন্য অপেক্ষাই করছিলেন সিভেরিয়ো। তবে আদিলের সামান্য টাচে তাঁর পায়ে বল পেলেও তার সঙ্গে সংযোগ ঘটাতে পারেননি সিভেরিয়ো।
৭৮ মিনিট- সুযোগ হাতছাড়া করলেন ওগবেচে
ম্যাচে যত সময় যাচ্ছে সিভেরিয়ো ততোই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছেন। তাঁর পাস থেকেই ম্যাচে নিজের চতুর্থ গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন ওগবেচে। তবে শট গোলে রাখতে পারেননি তিনি। তাঁর চোখে মুখে স্পষ্টই হতাশা দেখা যাচ্ছে।
৭৭ মিনিট- ভাল সেভ অরিন্দমের
পেনাল্টি বক্সের ডান দিক থেকে সিভেরিয়োর শটে ভাল সেভ করেন অরিন্দম।
৭৪ মিনিট- হ্যাটট্রিক হিরো ওগবেচে
সিভেরিয়োর শট কোনোরকমে ব্লক করলেও বল পৌঁছয় ওগবেচের পায়ে। বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে এই মরশুমে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন ওগবেচে।
৭২ মিনিট- ইস্টবেঙ্গলের বদল
সৌরভ দাসের বদলে মাঠ নামলেন আঙুসানা।
৭০ মিনিট- হায়দরাবাদের পরিবর্তন
দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্সের পর সৌভিক চক্রবর্তী মাঠ ছাড়লেন। তাঁর বদলে মাঠে নামলেন সাহিল তাভোরা।
৬৩ মিনিট- হায়দরাবাদের পরিবর্তন
হায়দরাবাদের গোটা ম্যাচে উইংয়ে দুরন্ত খেলা অনিকেতকে তুলে নিলেন কোচ মার্কেজ। তাঁর বদলে মাঠে নামলেন জোয়েল চিয়ানেজে।
৬১ মিনিট- বড় সুযোগ হাতছাড়া সিভেরিয়োর
ইস্টবেঙ্গল পেনাল্টি বক্সে বল পেয়ে গিয়েছিলেন সিভোরিয়ো। তবে ডিফেন্ডারের প্রেসারে নিজের শট গোলে রাখতে পারেননি তিনি।
৫৯ মিনিট- লাল হলুদের হয়ে রিবেইরার অভিষেক
সেম্বয় হাওকিপের বদলে প্রথমবার লাল হলুদের হয়ে মাঠে নামলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মার্সেলো রিবেইরা। অঙ্কিতের বদলে আসলেন হীরা মন্ডল।
৫৭ মিনিট- মহেশের শট
পেরোসেভিচের পাস থেকে পেনাল্টি বক্সের সামনে বাইরে বল পায়ে পান মহেশ। তবে তাঁর দুর্বল শট সহজেই সেভ করে দেন কাট্টিমানি।
৫৫ মিনিট- দাপট দেখাচ্ছে হায়দরাবাদ
বাঁ-দিকের উইং ধরে অনিকেত দুর্ধর্ষ রান নিয়ে বারবার ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সকে সমস্যায় ফেলছেন। বল দখলের লড়াইয়েও এগিয়েই তারাই।
৪৯ মিনিট- ফের ভাল প্রচেষ্টা অনিকেতের
প্রথমার্ধের গোলের মতোই ফের একবার বাঁ-দিক থেকে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সকে কাটিয়ে গোলে শট নিয়েছিলেন অনিকেত। তাঁর শট সোজা অরিন্দমের হাতে ছিল। বল ধরতে একটু সমস্যা হলেও কাছাকাছি কোনো হায়দরাবাদ ফুটবলার না থাকায় সমস্যা হয়নি তাঁর। দ্বিতীয়বারে বল দস্তানাবদ্ধ করেন অরিন্দম।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
তিন গোলে পিছিয়ে ইস্টবেঙ্গল কি ম্যাচে ফিরতে পারবে?
হাফ টাইম
প্রথমার্ধ শেষে ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়ল ইস্টবেঙ্গল। প্রথম দুই গোলে অরিন্দম এবং আদিলের ভুল থাকলেও, তৃতীয় গোলটি ছিল অনিকেতের ব্যক্তিগত দক্ষতার পরিচয়বাহক।
৪৫+১ মিনিট- অবিশ্বাস্য গোল অনিকেতের
বাঁ-দিকের উইং ধরে আক্রমণে উঠে এসে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সকে বোকা বানাতে সক্ষম হন অনিকেত। তাঁর ডান পায়ে নিখুঁত বাঁক খাওয়ানো শট সেভ করার কোনো সুযোগই ছিল না অরিন্দমের কাছে। ৩-০ পিছিয়ে পড়ল এসসি ইস্টবেঙ্গল।
৪৪ মিনিট- ওগবেচের দ্বিতীয় গোল
আদিল খানের বাজে ক্লিয়ারেন্সে বল পেয়ে যান সিভেরিয়ো, মাঝ মাঠ থেকে তাঁর পাস পায়ে পেয়ে যান ওগবেচে। তাঁর শক্তির সামনে আদিলরা পেরে উঠেননি। অরিন্দমকে কাটিয়ে ফাঁকা গোলে বল জড়িয়ে দান ওগবেচে। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ল ইস্টবেঙ্গল।
৪০ মিনিট- দুর্ধুর্ষ এন্ড টু এন্ড প্লে
রফিকের ঠিকানা লেখা ফ্রি-কিক থেকে সেম্বয় হাওকিপের হেডার প্রথমে সেভ করেন কাট্টিমানি এবং দ্বিতীয়বার জাও ভিক্টর গোললাইনে ক্লিয়ার করেন। তবে পরবর্তীতে সঙ্গে সঙ্গেই কাউন্টার অ্যাটাকে ঝাঁপায় হায়দরাবাদ। অনিকেত যাদব ইস্টবেঙ্গল পেনাল্টি বক্সে পৌঁছে গেলেও তাঁর শট গোলের ওপর দিয়ে চলে যায়।
৩৮ মিনিট- হলুদ কার্ড
হ্যান্ড বলের জন্য হলুদ কার্ড দেখেন আশিস রাই।
৩৭ মিনিট- পেরোসেভিচের দূরপাল্লার শট
আদিলের পাসে বল পায়ে পেয়ে মাঝমাঠ একটু ওপর থেকে পেরোসেভিচ হায়দরাবাদের গোলরক্ষক কাট্টিমানিকে একটু উপরে দেখে শট নেন। তবে শট গোলের বেশ বাইরে দিয়েই বেরিয়ে যায়।
৩৫ মিনিট- সানার ব্লক
পেনাল্টি বক্সের সামান্য বাইরে থেকে বেশ জোরালো গোলমুখী শট নিয়েছিলেন মহেশ সিং। তবে তা হায়দরাবাদের চিঙলেনসানা সিং ব্লক করে দেন।
২৯ মিনিট- ফ্রি-কিক কাজে লাগাতে ব্যর্থ লাল হলুদ
বেশ ভাল জায়গায় ফ্রি-কিক পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। পেরোসেভিচের ফ্রি-কিক সোজা হায়দরাবাদ ওয়ালে লাগে।
২৮ মিনিট- বড় সুযোগ হায়দরাবাদের
মাঝমাঠ থেকে সৌভিকের থ্রু বলে ইস্টবেঙ্গল বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন হাভি সিভেরিয়া। তাঁর কাটব্যাক থেকে ওগবেচের শট গোলের অনেক ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
২৬ মিনিট- ম্য়াচের প্রথম হলুদ কার্ড
বাজে ফাউলের করে হলুদ কার্ড দেখলেন ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার অঙ্কিত মুখার্জি।
২২ মিনিট- জঘন্য় গোলকিপিংয়ে পিছিয়ে পড়ল ইস্টবেঙ্গল
ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর এক কর্ণারে ইস্টবেঙ্গলকে সমস্যায় ফেলছিল হায়দরাবাদ। অবশেষে তার সুফল মিলল। সৌভিক চক্রবর্তীর কর্ণার থেকে ওগবেচে বক্সে বল হেড করেন। বল হাওকিপের গায়ে লেগে অরিন্দমের হাতে গেলেও, তা দস্তানাবদ্ধ করা তো দূর, বরং গোলে ঠেলে দেন অরিন্দম। এখনও অবশ্য ওগবেচেকেই গোলস্কোরার হিসেবে ধরা হয়েছে।
১৯ মিনিট- অনিকেতের হেডার সেভ
হায়দরাবাদের হয়ে দ্বিতীয় শট অন টার্গেট। দুর্দান্ত ক্রস থেকে অনিকেত বল হেড করেন। তবে বলে তেমন গতি না থাকায় সহজেই তা সেভ করে দেন অরিন্দম।
১১ মিনিট- দুর্দান্ত ক্রস পূজারির
ডান দিক থেকে উইং ধরে নিখিল পূজারি ইস্টবেঙ্গল রক্ষণকে চাপে ফেলছেন। তাঁর দুর্ধর্ষ একটি ক্রসে একটু জন্য হায়দরাবাদ ফরোয়ার্ড পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন। অন্যথা শুরুতেই পিছিয়ে পড়ত লাল হলুদ।
৮ মিনিট- প্রথম গোলে শট হায়দরাবাদের
ভাল ফ্রি-কিক থেকে অরিন্দমকে শট সেভ করতে বাধ্য করেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক জাও ভিক্টর। তবে গোলের একেবারে মাঝেই থাকায় সহজ সেভ করেন অরিন্দম। ফিরতি বল থেকে তেমন কোনো সুযোগ তৈরি হয়নি।
৫ মিনিট- গোলশূন্য ম্যাচ
ম্যাচে এখনও কোনো গোল বা বড় সুযোগ তৈরি করতে না পারলেও, দুই দলের মধ্যে প্রতিটি ৫০-৫০ জয়ের খিদে সাফ চোখে পড়ছে।
ম্যাচ শুরু
লাল হলুদ জার্সি পরে ডান দিক থেকে বাঁ-দিকে আক্রমণ করছে ইস্টবেঙ্গল, নিজেদের চেঞ্জড নীল জার্সিতে মাঠে নেমেছে হায়দরাবাদ।
ম্যাচের আগে সুভাষ ভৌমিককে সম্মান
প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার তথা কোচ সুভাষ ভৌমিকের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। কালো আর্মব্যান্ড পরে নেমেছে দুই দল।
ইস্টবেঙ্গল দলে ফিরলেন পেরোসেভিচ
এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের প্রথম এগারোয় এক পরিবর্তন ঘটিয়ে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। নির্বাসন কাটিয়ে দলে ফিরলেন আন্তোনিও পেরোসেভিচ। তাঁর জন্য জায়গা ছাড়লেন আঙ্গুসানা ওয়াহেংবাম।
হায়দরাবাদ দলে দুই পরিবর্তন
চেন্নাইনের বিরুদ্ধে গত ম্যাচের প্রথম এগারোয় দুই পরিবর্তন আনলেন হায়দরাবাদ কোচ মার্কেজ। প্রথম এগারোয় ফিরলেন হিতেশ শর্মা ও বার্থোলোমিউ ওগবেচে।
ম্যাচ আয়োজনে প্রস্তুত তিলক ময়দান
শেষ সাক্ষাৎ
২৩ ডিসেম্বর এ মরশুমে প্রথমবার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ও হায়দরাবাদ। সেদিন মাত্র ২০ মিনিটেই আমির দার্ভিসেভিচের গোলে লাল-হলুদ এগিয়ে গেলেও, হায়দরাবাদের হয়ে সমতা ফেরান বার্থোলোমিউ ওগবেচে। ম্যাচ ১-১ স্কোরলাইনেই শেষ হয়।
হায়দরাবাদের সাম্প্রতিক ফর্ম
গত পাঁচ ম্যাচের মাত্র একটিতে তিন পয়েন্টের স্বাদ পেয়েছে নিজামের শহরের দল। জয়ের সরণীতে ফিরতে নিশ্চয়ই মরিয়া হবে হায়দরাবাদ এফসি। বাড়তি উদ্যম জোগাতে এই ম্যাচ জিতে লিগ শীর্ষে পৌঁছে যাওয়ার হাতছানিও রয়েছে তাদের সামনে। বর্তমানে হায়দরাবাদ চারটি জয়, দুটি হার এবং পাঁচটি ড্রয়ের সুবাদে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় চারে রয়েছে। তবে ম্যাচ জিতলে গোলপার্থক্যে কেরালা ব্লাস্টার্সকে পিছনে ফেলে লিগ শীর্ষে চলে যাবে ম্যানুয়েল মার্কেজের দল।
ইস্টবেঙ্গলের সাম্প্রতিক ফর্ম
গত ম্যাচে এফসি গোয়াকে ২-১ হারিয়ে অবশেষে এই মরশুমে প্রথম জয় পেয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। বর্তমানে ১২ ম্যাচ খেলে একটি জয়, ছয়টি ড্র এবং পাঁচটি হারের জেরে, নয় পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় ১০ নম্বরে রয়েছে লাল হলুদ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।