উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচেও ফের হারল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। মঙ্গলবার রাতে গালাতাসারের কাছে ২-৩ হারল ম্যান ইউনাইটেড। পরপর দুই ম্যাচ হেরে চাপে পড়ে গেল ইউনাইটেড। লেন্সের কাছে ১-২ গোলে হেরে গেল আর্সেনালও। তবে নাপোলিকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এছাড়া বেনফিকাকে ১-০ হারিয়েছে ইন্টার মিলান। কোপেনহেগেনের বিরুদ্ধে ২-১ জয় পেয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। । পিএসভি আইন্দহোভেন এবং সেভিয়ার ম্যাচ ২-২ ড্র হয়েছে। ব্রাগার কাছে ২-৩ গোলে হেরেছে ইউনিয়ন বার্লিন। আর বি স্যালজবার্গকে ২-০ হারিয়ে দিয়েছে রিয়াল সোসিয়েদাদ।
ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড বনাম গালাতাসারে
দুঃসময় যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের। প্রিমিয়ার লিগে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিরুদ্ধে হারের পর, এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অপেক্ষাকৃত দুর্বল তুরস্কের দল গালাতাসারের বিরুদ্ধেও হারতে হল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে। ঘরের মাঠে ২-১ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরেও, অপ্রত্যাশিত ভাবে ২-৩ হারতে হল এরিক টেন হ্যাগের দলকে। শেষ দিকে মিডফিল্ডার ক্যাসেমিরোর লালকার্ড ইউনাইটেডের হারের হতাশা আরও বাড়িয়েছে। তিনি মাঠ ছাড়তেই দশ জনের ইউনাইটেড পেয়ে ৩-২ করে গালাতাসারে। রাসমাস হয়লুনের জোড়া গোল এদিন জলে যায়।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে এদিন ম্যাচটি শুরু থেকে ছিল আক্রমণ এবং পাল্টা আক্রমণে ভরপুর। ১৭ মিনিটে হেডে আসাধরাণ গোল করে ইউনাইটেডকে এগিয়ে দেন রাসমাস হয়লুন। তবে ২৩ মিনিটেই সমতা ফেরান গালাতাসারের উইলফ্রেড জাহা। বিরতিতে ম্যাচের ফল ছিল ১-১। দ্বিতীয়ার্ধে ফের শুরু হয় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ৬৭ মিনিটে ফের গোল করে ম্যান ইউনাইটেডকে এগিয়ে দেন রাসমাস।তবে এবারও লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ইউনাইটেড। চার মিনিট পরেই সমতা ফেরান মহম্মদ করিম আকতুরকোগলু। ৭৭ মিনিটে লালকার্ড দেখেন ক্যাসেমিরো। ফলে বাকি সময়টা ১০ জনে খেলতে হয় এরিক টেন হ্যাগের দলকে। এই সুযোগে আক্রমণ বাড়ায় গালতাসারে। ৮১তম মিনিটে গালাতাসারের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন মাউরো ইকার্ডি। এই নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম দুই ম্যাচেই হেরে বসে থাকল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। যার ফলে এরিক টেন হ্যাগের দলের পক্ষে গ্রুপ টপকানো কঠিন হয়ে গেল।
আর্সেনাম বনাম লেন্স
উত্তর ফ্রান্সের দল লেন্সের কাছে মুখ থুবড়ে পড়ল শক্তিশালী আর্সেনাল।অপেক্ষাকৃত দুর্বল লেন্স ২-১ ব্যবধানে হারায় আর্সেনালকে। এটাই মরশুমের প্রথম পরাজয় আর্সেনালের। তবে ম্যাচের একেবারে শুরুতে গ্যাব্রিয়েল জেসুস আর্সেনালকে একটি আদর্শ সূচনা দিয়েছিলেন। তিনি ১৪তম মিনিটেই এগিয়ে দেন দলকে। তবে জেসুসের গোলের ১১ মিনিটের মধ্যেই লেন্সের আদ্রিয়ান থমসন সমতা ফেরান। অদ্ভূত ভাবে পিছিয়ে পড়ার পরে বিরতির আগেই ম্যাচের ৩৪ মিনিটের মাথায় বুকায়ো সাকাকে তুলে নেয় আর্সেনাল। নামানো হয় মিডফিল্ডার ফ্যাবিয়ো ভিয়েরাকে। তবে তাতেও ভাগ্যের চাকা ঘোরেনি আর্সেনালের। বরং রক্ষণাত্মক মানসিকতা নিয়ে খেলতে গিয়ে আরও একটি গোল হজম করে তারা।
বিরতিতে খেলার ফল ছিল ১-১। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আর্সেনাল আহামরি প্রভাব ফেলতে পারেনি। বরং ম্যাচের ৬৯ মিনিটের মাথায় ২০ বছরের স্ট্রাইকার এলি ওয়াহির গোলে লেন্স ২-১ করে ফেলেন। এর পর আর গোলশোধ করতে পারেনি আর্সেনাল। এই জয়ের হাত ধরে আর্সেনাল টপকে লেন্স চার পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ বি-র শীর্ষে উঠে এল।
রিয়াল মাদ্রিদ বনাম নাপোলি
জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদও। তারা ৩-২ গোলে হারিয়েছে নাপোলিকে। তবে নাপোলির বিরুদ্ধে জয় পেতে রিয়ালকে বেশ পরিশ্রম করতে হল। ম্যাচের শুরুতে পিছিয়ে পড়েছিল রিয়াল মাদ্রিদই। ১৯ মিনিটে প্রথম গোল করে ইতালির দলটিকে এগিয়ে দেন লিও স্কিরি অস্টিগার্ড। ২৭ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরান ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ৩৪ মিনিটে রিয়ালকে এগিয়ে দেন জুড বেলিংহ্যাম। তবে ৫৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে নাপোলিকে সমতায় ফেরান পিওতর জিয়েলেনস্কি। কিন্তু ৭৮ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করে বসেন অ্যালেক্স মেরেট।
বায়ার্ন বনাম কোপেনহেগেন
কোপেনহেগেনের বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্ত ভাবে প্রত্যাবর্তন ঘটাল বায়ার্ন মিউনিখ। ৫৫ মিনিটে প্রথম গোল করে কোপেনহেগেনকে এগিয়ে দেন লুকাস লেরাগার। ৬৭ মিনিটে সমতা ফেরান জামাল মুসিয়ালা। ৮৩ মিনিটে জয়সূচক গোল করেন ম্যাথিয়াস টেল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।