বাংলা নিউজ > ময়দান > ফুটবলের মহারণ > ‘স্টার প্লেয়ার, ওরম প্লেয়ার নেই;’ সুরজিৎ সেনগুপ্তের প্রয়াণে কী বললেন প্রসূন-সমরেশ-সুব্রত-বিদেশ

‘স্টার প্লেয়ার, ওরম প্লেয়ার নেই;’ সুরজিৎ সেনগুপ্তের প্রয়াণে কী বললেন প্রসূন-সমরেশ-সুব্রত-বিদেশ

সুরজিৎ সেনগুপ্তের প্রয়াণে কী বললেন প্রসূন-সমরেশ-সুব্রত-বিদেশ (ছবি:ফেসবুক SC ইস্টবেঙ্গল)

করোনা আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।

প্রাক্তন ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত প্রয়াত। সেটা বিশ্বাস করতে পারছেন না প্রাক্তন ফুটবলার তথা সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। ২৩ জানুয়ারি থেকে হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সুস্থ করা গেল না প্রাক্তন কিংবদন্তি ফুটবলারকে। সুরজিৎ সেনগুপ্তের প্রয়াণে প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি আর সুরজিৎ দুই ভাই ছিলাম। ভাবা যায় না সুরজিৎ নেই। স্টার প্লেয়ার। ওরম প্লেয়ার নেই। যেমন খেলোয়াড়, তেমন ভালো পড়াশোনায়, তেমন ভালোবাসার লোক। কোনও চাহিদা ছিল না ওর।’

করোনা আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। ১৯৭২ সাল থেকে ২ বছর মোহনবাগানের হয়ে মাঠে নামেন তিনি। শোনা যায় যে, ১৯৭৪ সালে তাঁকে রীতিমতো ‘হাইজ্যাক’ করে সই করিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই থেকে টানা ৬ বছর ইস্টবেঙ্গলে ছিলেন সুরজিৎ। পরে ১৯৮০ সালে মহমেডানে সই করেন। পরের মোহনবাগানে ফিরে আরও তিন বছর কাটিয়েছিলেন সবুজ-মেরুন জার্সিতে। 

সুরজিৎ সেনগুপ্তর প্রয়াণে প্রাক্তন ফুটবলার সমরেশ চৌধুরী বলেন, ‘সুরজিৎ সেনগুপ্ত মানে আমার কাছে বিরাট মাপের মানুষ। ভর্তির দিন থেকে ছেলেকে জিজ্ঞাসা করতাম কেমন আছে? ওঁর সঙ্গে আমার বিরাট সম্পর্ক। আমাকে ক্যাপ্টেন ক্যাপ্টেন বলে ডাকত। ওঁর সঙ্গে সমস্ত রকম আলোচনা হত। খেলাধুলো, গান, সাহিত্য। ওঁর সম্বন্ধে কেউ খারাপ কথা বললে, রেগে যেতাম।’

প্রাক্তন ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, ‘হঠাৎ করে ফুটবলাররা চলে যাচ্ছেন কেন? ফুটবল খেলার সময়ে তাঁদের মধ্যে যে মানসিকতা থাকে, খেলা ছাড়ার পরের দিন থেকে অন্য রাস্তায় চলতে হয়। এটি মানসিকভাবে প্রভাব ফেলে। কোন জায়গায় এত বড় ফুটবলারদের রেখেছে ক্লাব বা আইএফএ?’

সুরজিৎ সেনগুপ্তর প্রয়াণে প্রাক্তন ফুটবলার বিদেশ বসু বলেন, ‘কী বলব, এমন মানুষ এমন খেলোয়াড় চলে যাচ্ছে, এসব ভালো লাগছে না। রোজ ডাক্তার আমায় মেডিকেল বুলেটিন পাঠাত, আর ভাবতাম সুরজিৎ দা ভালো হবে। আজ এই চরম আঘাত নিতে পারছি না। কত ম্যাচ খেলেছি সুরজিৎ দার সঙ্গে। ওনার আর বৌদির সঙ্গে আলাদা সম্পর্ক ছিল।’

বন্ধ করুন