অন্যান্য খেলার তুলনায় ক্রিকেটে ক্যাপ্টেনের ভূমিকা হয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন ক্যাপ্টেনের বিচক্ষণতা ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে ক্রিকেটে। তা সে বোলিং পরিবর্তনেই হোক, ফিল্ড প্লেসমেন্টেই হোক, অথবা ব্যাটিং অর্ডারে ছোটখাটো রদবদল, ক্যাপ্টেনের একটা সিদ্ধান্ত ম্যাচের নিয়ন্ত্রক হয়ে দেখা দিতে পারে এই খেলায়।
ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন অনেক ক্যাপ্টেন রয়েছেন, যাঁরা শুধুমাত্র নেতৃত্বের গুণে দলকে সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে গিয়েছেন। ক্লাইভ লয়েড থেকে শুরু করে কপিল দেব, ইমরান খান, স্টিভ ওয়া, রিকি পন্টিং, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় পর্যন্ত দীর্ঘ একটা তালিকা তৈরি করা যায় সফল অধিনায়কদের। তবে ক্রিকেটের ইতিহাসের সর্বকালের সেরা দলনায়ক হিসেবে যদি কোনও একজনকে বেছে নিতে বলা হয়, কাজটা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। সেই কঠিন কাজটিই করতে বলা হয়েছিল প্রাক্তন ইংল্যান্ড তারকা কেভিন পিটারসেনকে, যিনি নিজেও অল্প সময়ের জন্য নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতীয় দলকে। এক্ষেত্রে পিটারসেন অস্বীকার করতে পারলেন না মহেন্দ্র সিং ধোনির কৃতিত্বকে। ইতিহাসের সেরা অধিনায়ক হিসেবে 'ক্যাপ্টেন কুল'কেই বেছে নেন কেপি।
স্টার স্পোর্টসে ধোনিকে নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে পিটারসেন বলেন, 'প্রত্যাশার চাপ নিয়ে ধোনি যেটা করে দেখিয়েছে, তা অস্বীকার করা কঠিন হবে। শুধুমাত্র সকলের প্রত্যাশার জন্যই ও নিজের জীবন কীভাবে কাটিয়েছে এবং ভারত ও চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়কত্বের সময় কোন পর্যায় দিয়ে যেতে হয়েছে ওকে!'
ধোনির নেতৃত্বে ভারতের সাফল্যের ইতিহাস অত্যন্ত উজ্জ্বল। ২০০৭ সালে ভারতকে টি-২০ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেন মাহি। ২০১১ সালে ঘরের মাঠে ধোনির নেতৃত্বে দ্বিতীয়বারের জন্য ওয়ান ডে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় টিম ইন্ডিয়া। ২০১৩ সালে ধোনি দেশকে এনে দেন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তাঁর নেতৃত্বেই ভারত টেস্টের এক নম্বর দল হিসেবে উঠে আসে। এছাড়া ধোনির ক্যাপ্টেন্সিতে চেন্নাই সুপার কিংস ৩ বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।