ভারতের প্রাক্তন লেগ স্পিনার লক্ষ্মণ রামকৃষ্ণান, তাঁর অভিযোগ, তিনি নাকি সারা জীবন বর্ণবাদের মুখোমুখি হয়েছেন। যা নাকি তার নিজের দেশেও করা হয়েছে। শিবরামকৃষ্ণন ভারতের হয়ে নয়টি টেস্ট এবং ১৬টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। ক্রিকেটার হিসাবে অবসর নিয়ে নিয়ে তিনি ধারাভাষ্যকার হিসাবে বেশ জনপ্রিয় হয়েছেন। বর্তমানে রাজনীতিতেও নেমেছেন। এবার তিনি বর্ণবাদ নিয়ে মুখ খুললেন।
ইংল্যান্ড ক্রিকেটে যখন বর্ণবাদ নিয়ে ঝড় উঠেছে তখন লক্ষ্মণ শিবরামকৃষ্ণন নিজের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন। শিবরামকৃষ্ণন তার টুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘রঙের কারণে আমি সারাজীবন বৈষম্য ও সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছি, তাই এটা আমাকে আর বিরক্ত করে না। দুর্ভাগ্যবশত এটা আমার নিজের দেশে ঘটেছে।’ ভারতের প্রাক্তন লেগ-স্পিনারের এই টুইটার পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছিলেন যা ধারাভাষ্যকারদের দ্বারা অনলাইন ট্রোলিংয়ের ইঙ্গিত করেছিল। শিবরামকৃষ্ণনই একমাত্র ভারতীয় খেলোয়াড় নন যিনি বৈষম্যের কথা বলেছেন। প্রকৃতপক্ষে, তামিলনাড়ুর ওপেনার অভিনব মুকুন্দও ২০১৭ সালে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন। মুকুন্দ ভারতের হয়ে সাতটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। তিনি তার টুইটার পেজে একটি বিবৃতি পোস্ট করেছিলেন, যেখানে লেখা ছিল, ‘আমি ১৫ বছর বয়স থেকে দেশে এবং বাইরে ভ্রমণ করছি। আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন থেকেই আমার গায়ের রঙের প্রতি মানুষের উন্মাদনা সবসময়ই ছিল। সেটা আমার কাছে রহস্য হয়ে রয়েছে।’
বিবৃতিতে তিনি বলেছিলেন, ‘যে ক্রিকেটকে যারা অনুসরণ করবে তারাই বুঝবে। আমি সারাদিন রোদে ট্রেনিং করছি এবং খেলছি এবং একবারও ট্যান পেয়ে আফসোস করিনি। এর কারণ আমি যা করি তা আমি পছন্দ করি এবং ঘন্টার পর ঘন্টা অনুশীলনের পরেই আমি কিছু জিনিস অর্জন করেছি।
আমি চেন্নাই থেকে এসেছি যা দেশের অন্যতম উষ্ণ স্থান।’ গত বছর, প্রাক্তন ভারতীয় এবং কর্ণাটক ফাস্ট বোলার ডোডা গণেশও তার জাতিগত বৈষম্যের অভিজ্ঞতার কথা বলেছিলেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।