ভারতের ইতিহাসে সম্ভবত সেরা ক্রীড়াবিদ। শেষ কয়েক বছরে যখনই ট্র্যাকে নেমেছেন, তখনই দেশকে গৌরবান্বিত করেছেন। ইতিহাস গড়ে বিভিন্ন ইভেন্টে প্রথম ভারতীয় হিসেবে জিতেছেন পদক। পেয়েছেন ঐতিহাসিক সোনা। সেই তালিকায় যেমন অলিম্পিক্সের সোনা আছে, তেমনই আছে এশিয়ান গেমসের সোনা, বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ জয়, ডায়লন্ড লিগ জয়। তবে সেইসব সাফল্য সত্ত্বেও তিনি যে বাস্তবের মাটিতে পা রেখে চলেছেন, তা বোঝালেন নীরজ চোপড়া। ‘হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিট’-এ তিনি স্পষ্ট জানালেন যে একদিনেই সাফল্য পাননি। একদিনেই পদক জেতেননি। ব্যর্থতার মধ্যে দিয়েই সাফল্যের সরণিতে পৌঁছেছেন তিনি। আর তিনি এমন একটা খেলাধুলোর সঙ্গে যুক্ত, যেখানে যে কোনওদিন যে কোনও ফলাফল হতে পারে। নিজের সেরাটা দিলেই যে সাফল্য মিলবে, এমনটা হলফ করে করে বলা যায় না। কারণ সেদিন হয়ত অপর একজন নিজেকে অন্য এক উচ্চতায় তুলে নিয়ে গিয়ে পদক ছিনিয়ে নিতে পারেন। অর্থাৎ তাঁকে যে ‘অপরাজেয়’ তকমা দেওয়া হয়, সেটা কিছু লঘু করে দেখিয়েছেন ভারতের ‘সোনার ছেলে’।
শুক্রবার ‘হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিট’-এ নীরজ বলেন, ‘হারের মধ্যে দিয়েই আমি এই জায়গায় পৌঁছেছি। ডায়মন্ড লিগের হাত ধরে ২০১৭ সালে আমি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নামতে শুরু করেছিলাম। অর্থাৎ ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আমি হেরে যাচ্ছিল। ২০২২ সালের ডায়মন্ড লিগে প্রথমবার আমি প্রথমবার পোডিয়ামে উঠতে পেরেছিলাম। অর্থাৎ আচমকা জিততে শুরু করিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘চোটের কারণে ২০১৯ সালের পুরোটা খেলতে পারিনি আমি। তারপর কোভিড এসে গেল। সেটার পরে ২০২১ সালে অলিম্পিক্স (টোকিয়ো অলিম্পিক্স) হল। ধীরে-ধীরে আমার পারফরম্যান্সের গ্রাফ উঠতে থাকে। সেইসঙ্গে আমার আত্মবিশ্বাসও বাড়তে পারে। সেই কারণে আমি এখন যে পরপর জিতছি, সেটা আমার উপরে কোনও প্রভাব ফেলেনি। আমি হারের মুখে পড়েছি। আমি সেটা মেনে নিতেও শিখেছি।'
আরও পড়ুন: Asian Games-এখনও নিজের সেরাটা পারফর্ম করতে পারিনি- জানালেন সোনা জয়ী নীরজ চোপড়া
সেইসঙ্গে ‘হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিট’-র মঞ্চ থেকে ভারতের ‘সোনার ছেলে’ স্মরণ করিয়ে দেন, ‘খেলাধুলোর ক্ষেত্রে আপনি জানেন যে কোনদিন কী হবে। আপনি যদি নিজের সেরাটাও দেন, অন্য অ্যাথলিটের দিনটা হয়ত আরও ভালো থাকবে। এমন অনেক কিছু জিনিস আছে, যা আমাদের হাতে নেই।’
বিষয়টি আরও ব্যাখ্যা করে নীরজ বলেন, 'যখন আমরা কোনও প্রতিযোগিতায় নামি, তখন ৩০-৩৫ জন অ্যাথলিট থাকেন। প্রথম একটা কোয়ালিফিকেশন রাউন্ড হয়। সেখান থেকে ১২ জনকে বেছে নেওয়া হয়। তারপর (ফাইনালে) তিনটি প্রচেষ্টার জন্য চারজন ছিটকে যায়। মাত্র তিনজন পদক জেতে। তাই অত্যন্ত আনন্দিত যে শেষ দু'বছরে আমার পক্ষে যাচ্ছে ফলাফল।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।