৩৫ রানে ৩ উইকেট ফেলে দিয়ে ইংল্যান্ডের ব্য়াটিং অর্ডারে তখন কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ১০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৪৭ রান ছিল ইংল্যান্ডের। সেখান থেকে দুরন্ত লড়াই চালালেন জোস বাটলার। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। বাকি দশ ওভারে ১১৬ রান হয় ইংল্যান্ডের।
প্রথম দশ ওভারে যেখানে ইংল্যান্ডের রানরেট পাঁচের নীচে ছিল, সেখানে শেষ দশ ওভারে দশের উপর রানরেট রাখেন বাটলার এবং মর্গ্যান জুটি। ওপেন করতে নেমে অপরজিত থেকে দুরন্ত একটি শতরান করেন বাটলার। ৬৭ বলে ১০১ রান করেন তিনি। ৩৬ বলে ৪০ রান করেন মর্গ্যান। ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানে শেষ হয় ইংল্যান্ডের ইনিংস।
এই রান করে এ দিন ভারত এবং অস্ট্রেলিয়াকে ছাপিয়ে গিয়েছে ইংল্যান্ড। এ বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াও প্রথম ১০ ওভারে ৪১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল। ম্যাচটি ছিল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। সেখান থেকে ১২৫ রান করে অস্ট্রেলিয়া। তবে ম্যাচটি তারা হেরে যায়। এ দিকে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতও প্রথম দশ ওভারে ৩ উইকেটে হারিয়ে ৪৭ করেছিল। ভারতের ইনিংস শেষ হয় ১১০ রানে। ৮ উইকেটে ম্যাচটি হেরে যান বিরাট কোহলিরা। সেই দিক থেকে সফল ইংল্যান্ডই।
শ্রীলঙ্কা টসে জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল। শুরুটা মোটেও ভাল করেনি ব্রিটিশ টিম। ১৩ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পড়ে ইংল্যান্ডের। সেখান থেকে ১০১ রান করেন বাটলার। তাও ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে শতরান পূরণ করেন তিনি। বাটলার এই ইনিংসটা না খেললে ইংল্যান্ডকেও কিন্তু ভারতের মতোই বড় সমস্যায় পড়তে হতে পারত। যাইহোক ইংল্যান্ডের ১৬৩ রানের মধ্যে বাটলারই করেছেন ১০১ রান। আর ইয়ন মর্গ্যান করেছেন ৪০ রান। বাকিরা মিলে করেছেন মাত্র ২২ রান।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।