তীরে এসে তরী ডুবেছে বাংলাদেশের। অ্যাডিলেডে হেরে ২০১৬ টি২০ বিশ্বকাপের হারের ক্ষতে কিছুটা মলম দিতে পারত টাইগাররা। উলটে ফের হেরে গেল তারা। এই নিয়ে আইসিসি টুর্নামেন্টে আটটি ম্যাচ ভারতীয়দের বিরুদ্ধে হারল বাংলাদেশ। ম্যাচের শেষে তো শাকিব বলেই ফেললেন ভারতের বিরুদ্ধে বারবার কাছে এসেও আমরা হেরে যাচ্ছি। কিছুতেই জয় আসছে না।
ম্যাচের শেষে ফেক ফিল্ডিং থেকে ডিএলএস, নানা বিষয় নিয়ে জলঘোলা হয়েছে। আইসিসি ভারতকে পক্ষপাতিত্ব করছে সেই অভিযোগও করেছেন পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সমর্থকরা। শাকিব যদিও নিজেদের ওপরই দোষ চাপিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে একমত সুনীল গাভাসকরও। তিনি মনে করেন স্মার্ট ক্রিকেট খেললেই জিতে যেত বাংলাদেশ। তাঁর মতে ভারত যতটা না জিতেছে, তার চেয়ে বেশি ম্যাচটি হেরেছে বাংলাদেশ। তবে রেন ব্রেক যে ভারতকে সুবিধা দিয়েছে সেটাও বলেন তিনি। তাঁর মতে ম্যাচ যখন বন্ধ হয় তখন বাংলাদেশ উড়ছিল। হাতে দশ উইকেট ছিল। এরপর ম্যাচ ১৬ ওভারের হয়ে যায়। টার্গেটও কমে যায় ৩৩ রান, রিকোয়ার্ড রান রেটে হেরফের হয়নি, তবুও প্যানিক করতে শুরু করে বাংলাদেশ।
সুনীল গাভাসকরের মতে সেই সময় বুদ্ধিদীপ্ত ক্রিকেট খেলেনি বাংলাদেশ। তারা প্রতি বলে ছয় মারতে গিয়েছিল স্কোয়ার বাউন্ডারিগুলি ছোটো দেখে। ভারতীয়রাও তখন বুদ্ধি করে বোলিং করেছিল, যাতে বাংলাদেশীরা টেনে টেনে মারতে না পারে। সেই কারণেই লং অন ও ডিপ মিড উইকেটে অত ক্যাচ গিয়েছিল বলে তাঁর মন্তব্য। ওভার পিছু যখন দশ রানই দরকার ছিল, সেই সময় অত না মারার চেষ্টা করে যদি সিঙ্গলস ও ডাবলস নেওয়ার চেষ্টা করত টাইগাররা, তাহলে সহজেই টার্গেটে পৌঁছে যেতেন শাকিবরা বলে মনে করেন গাভাসকর। শেষ পর্যন্ত অনেক উইকেট হারানোর পরেও শেষ ওভার অবধি ম্যাচে ছিল বাংলাদেশ। মাত্র পাঁচ রানে হারে তারা আর্শদীপের ইয়র্কারের সৌজন্যে।
ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েরই আরেকটি করে ম্যাচ বাকি আছে। ভারত জিম্বাবোয়েকে হারালেই শেষ চারে চলে যাবে। অন্যদিকে পাকিস্তানকে হারাতে হবে বাংলাদেশকে। তবে হারালেই হবে না, অন্য ফলাফলগুলি তাদের পক্ষে গেলেই জিততে পারবে তারা। ফলে সেমির পথ অনেকটাই বন্ধুর শাকিবদের।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।