নিজে খুব একটা আশ্বস্ত ছিলেন না। বোলারদের জোরাজুরিতে তিনটি রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনটিই বৃথা যায়। যদিও সেই বোলারদের সৌজন্যে চেন্নাইয়ের দ্বিতীয় টেস্টের ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস সময় হা-হুতাশ করতে হয়নি বিরাট কোহলিকে।
এমনিতেই বিরাটের ডিআরএস রেকর্ড খুব একটা ভালো নয়। তারইমধ্যে রবিবার সেই রেকর্ড আরও কিছু খারাপ হয়েছে। চেন্নাইয়ে ১৫.৪ ওভারে বেন স্টোকসকে দুর্দান্ত একটি বল করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অনফিল্ড আম্পায়ার আউট দেননি। কিন্তু অশ্বিন রিভিউ নিতে জোরাজুরি করেন। রিভিউয়ে দেখা যায়, অফ স্টাম্পের উপর দিকে চলে যাচ্ছে বল। তাতে কোহলিকে একেবারেই সন্তুষ্ট দেখায়নি।
তবে শেষবার ২০১৬ সালে যখন ইংল্যান্ড ভারতে এসেছিল, তখন কার্যত একই কায়দায় স্টোকসকে আউট করেছিলেন অশ্বিন। সেখানেও অনফিল্ড আউট দেননি। তবে রিভিউ নিয়েছিলেন কোহলি। প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়েছিল ইংরেজ অলরাউন্ডার। এবার সেই একই বলে উইকেট না পেলেও স্টোকসের বিরুদ্ধে শেষ হাসি হেসেছেন অশ্বিনই। দুর্দান্ত একটা বলে স্টোটসকে পুরো ভ্যাবাচাকা খাইয়ে বোল্ড করেন।
যদিও রিভিউয়ের দিক থেকে রবিবার একেবারে অশ্বিনের দিন ছিল না। ৪৫.৩ ওভারে অশ্বিনের একটি ফুল বল অনেকটা ঘুরে যায়। তা মিস করেন ইংল্যান্ডের উইকেটকিপার বেন ফোকস। আবারও অশ্বিনের জোরাজুরিতে রিভিউ নেন কোহলি। কিন্তু বল উইকেটের দিয়ে বেরিয়ে যায়।
তবে শুধু অশ্বিন নয়, অক্ষর প্যাটেলও জোরাজুরি করার পর রিভিউ খুইয়েছে ভারত। ২৮.৪ ওভারে ফোকসের জোরালো আপিলে সাড়া দেননি অনফিল্ড আম্পায়ার। রিভিউ নেওয়ার আগে কিছুক্ষণ ভাবনাচিন্তা করেন কোহলি। শেষপর্যন্ত রিভিউ নেন। কিন্তু সেটাও ভারতের পক্ষে যায়নি। বল ট্র্যাকিংয়ে ধরা পড়ে, অক্ষরের বল লেগ স্টাম্পের উপর দিয়ে বেরিয়ে যেত। রিভিউয়ের সময় সেই বল স্টাম্পে না লাগার বিষয়টিই যেন বোঝাচ্ছিলেন। তবে ভারতের দুরন্ত বোলিংয়ের কারণে সেই ডিআরএস খামতি চাপা পড়ে গিয়েছে। ক্রিকেট মহলের একাংশের অবশ্য মত, ডিআরএসের ক্ষেত্রে আরও বেশি নিখুঁত হতে হবে ভারতীয়দের। বিশেষত রবিবার ৬০ ওভারের কমেই রিভিউ শূন্য হয়ে যায় ভারত। যা অন্য ম্যাচে বড়সড় সমস্যার হয়ে দাঁড়াতে পারত।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।