প্রথম ইনিংসে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর, ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে টপ অর্ডারের দুরন্ত ব্যাটিংয়ের সুবাদে ম্যাচে ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছে ভারত। রোহিত শর্মার শতরানের পাশাপাশি চেতেশ্বর পূজারার অর্ধশতরান ওপর ভিত্তি করেই তৃতীয় দিনের শেষে ভারত ২৭০ রান করতে সক্ষম হয়। দ্বিতীয় উইকেটে পূজারা ও রোহিত ১৫৩ রানের পার্টনারশিপ করার পর দিনের শেষে দুইজনকে দুইজনকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন।
ওভালেও ইনিংসের শুরুতে নতুন আগ্রাসী চেতেশ্বর পূজারার দেখা পাওয়া যায়। একের পর এক বাউন্ডারির সাহায্যে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেন তিনি। গোটা সিরিজে পূজারার ফর্ম নিয়ে প্রচুর চর্চা হয়। তবে হেডিংলেতে ৯১ রানের দুরন্ত ইনিংসের সুবাদে ফের ফর্মে ফেরেন ভারতীয় টেস্ট দলের ব্যাটিং স্তম্ভ। সাধারণত সময় নিয়ে সেট হয়ে তারপর শট খেলা পছন্দ করেন পূজারা। তবে নটিংহ্যামে চতুর্থ দিন হোক বা হেডিংলের দ্বিতীয় ইনিংস, ভারতের তিন নম্বর ব্যাটসম্যানকে শুরুতেই বেশ কিছু শট খেলতে দেখা গেছে।
ওভালেও একই ছবি ধরা পড়ে। পূজারার এই নতুন অবতারে সমর্থকদের পাশপাশি বিস্মিত ও আপ্লুত রোহিতও। BCCI-র আপলোড করা এক ভিডিয়োয় তৃতীয় দিনের শেষে রোহিতের সাক্ষাৎকার নিতে দেখা যায় পূজারাকে। সেখানেই রোহিত বলেন, ‘তুমি (পূজারা) রান পাওয়ায় আমি খুবই খুশি। একজন আমায় বলল, ইনিংসে একসময় নাকি তোমার ৫০ বলে ৩৫ রান ছিল। আমাদের ভূমিকা তো একেবারেই বদল গিয়েছে। সাধারণত আমি বাউন্ডারি মেরে দ্রুত রান করার লক্ষ্যে থাকি এবং তুমি নিজের সময় নেয়। তবে স্পষ্টতই আমাদের ভূমিকা বলে গিয়েছে।’
জবাবে সদা বিনয়ী পূজারা কিন্তু রোহিত ও রাহুলের ওপেনিং পার্টনারশিপকেই তাঁর কাজ সহজ করে দেওয়ার জন্য কৃতিত্ব দেন। তিনি জানান, ‘তোমাদের (রোহিত ও রাহুল) সৌজন্যে দল ভালভাবেই ইনিংসটা শুরু করেছিল। আমি যতক্ষণে নামি ততক্ষণে বলটাও একটু পুরনো হয়ে গিয়েছিল, ফলে শট খেলতে সুবিধাই হয়। ওই সেশনে ব্যাট করা খানিকটা হলেও সহজ ছিল।’ তবে দ্বিতীয় নতুন বল আসার পরেই রোহিত ও পূজারা দুইজনেই প্রথম ওভারেই আউট হয়ে যান। তাঁদের তৈরি করা ভীতকে কাজে লাগিয়ে ভারত বড় রান করতে পারে কি না, এথন সেটাই দেখার।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।