তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে ভারতীয় দল কেবল আইসিসি ব়্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে আসে এমন নয়। বরং বিশ্বকাপের প্রস্তুতির কথা মাথায় রেখে এই সিরিজ থেকে বেশ কিছু প্রাপ্তি চোখে পড়েছে টিম ইন্ডিয়ার। দেখে নেওয়া যাক এমনই তিনটি উল্লেখযোগ্য বিষয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রবি বিষ্ণোইয়ের আবির্ভাব: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয় রবি বিষ্ণোইয়ের। অভিষেক ম্যাচে ১৭ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট দখল করেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে ৩০ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট নেন বিষ্ণোই। তৃতীয় ম্যাচে উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে খরচ করেন ২৯ রান। সব মিলিয়ে ২৫.৩৩ গড়ে সিরিজে মোট ৩টি উইকেট নেন রবি। ইকনমি রেট ৬.৩৩। টি-২০ বিশেষজ্ঞে ভরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অভিষেক সিরিজে রবির এমন পারফর্ম্যান্স টিম ইন্ডিয়াকে নিঃসন্দেহে আশার আলো দেখাচ্ছে।
ফিনিশারের ভূমিকায় বেঙ্কটেশ আইয়ার: নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিজের অভিষেক টি-২০ সিরিজের তিন ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে বেঙ্কটেশ আইয়ার যথাক্রমে ৪, অপরাজিত ১২ ও ২০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। সঙ্গে একটি ম্যাচে বল করে ১টি উইকেট নেন তিনি। তবে এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে তুলনায় চমকপ্রদ পারফর্ম্যান্স উপহার দেন তিনি। তিন ম্যাচে বেঙ্কটেশ সংগ্রহ করেন যথাক্রমে অপরাজিত ২৪, ৩৩ ও অপরাজিত ৩৫ রান। সেই সঙ্গে সিরিজে ২টি উইকেটও নিয়েছেন তিনি। ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে পরিণত করে তোলা এবং অল-রাউন্ডার হিসেবে সম্ভাবনা জাগানো ছাড়াও বেঙ্কটেশ আইয়ারের ম্যাচ ফিনিশ করে আসার দক্ষতাও লক্ষ্য করা গিয়েছে এই সিরিজে।
সূর্যকুমার যাদবের চাপ নেওয়ার ক্ষমতা: সূর্যকুমার যাদব আরও একবার প্রমাণ করলেন নিজের চাপ নেওয়ার ক্ষমতা। পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, নিজের স্বাভাবিক খেলা থেকে একচুলও সরতে দেখা যায়নি তাঁকে। তিন ম্যাচের সিরিজে ৫৩.৫০ গড়ে ১০৭ রান সংগ্রহ করেন সূর্যকুমার। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, তাঁর স্ট্রাইক-রেট ছিল ১৯৪.৫৪। সুতরাং, টি-২০ ক্রিকেটে ভারতীয় দল চোখ বন্ধ করে ভরসা করতে পারে সূর্যকুমারের উপর।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।