ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে কার্যত এক তরফাই খেলছে ভারত। যে কারণে ভুরি ভুরি রেকর্ড গড়ছেন টিম ইন্ডিয়ার প্লেয়াররা। এর মাঝেই দ্বিতীয় টেস্টে সবচেয়ে বড় রেকর্ড গড়েছেন বিরাট কোহলি। তিনি তাঁর ৫০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচে সেঞ্চুরি করে গড়ে ফেলেছেন নজির।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে বিরাট কোহলির ৭৬তম সেঞ্চুরির পর একটি সংবাদমাধ্যমে নিজের কলামে সুলীল গাভাসকরে লিখেছেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই আক্রমণের বিরুদ্ধে রোহিত এবং কোহলির করা রান প্রশ্ন তুলেছে, নির্বাচকেরা কী শিখেছেন, যা তাঁরা এখনও জানেন না। কিছু তরুণ প্লেয়ারকে কি পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া ভালো হতো না, তারা টেস্ট ক্রিকেটে কী ভাবে নিচ্ছে, সেটা দেখে নেওয়া যেত মা, নাকি নির্বাচকেরা তরুণদের থেকে প্রতিষ্ঠিত খেলোয়াড়দের জন্য কোনও ধরনের চ্যালেঞ্জ চান না।’
গাভাসকরের দাবি ভুল নয়। কারণ দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেয়ে ভারত তাদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করছে। উইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট অভিষেক ম্যাচেই যশস্বী জয়সওয়াল ১৫০-র বেশি রান করেছিলেন। রোহিত শর্মা সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। সেই টেস্টে কোহলি অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন। ভারত প্রথম টেস্টে ইনিংস এবং ১৪১ রানে বিশাল বড় জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল।
দ্বিতীয় টেস্টে আবার কোহলি সেঞ্চুরি হাঁকালেন। দুই ইনিংসে রোহিত দাপটের সঙ্গে ব্যাট করেছেন। মোদ্দা কথা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভারতের দাদাগিরি চলছে। দ্বিতীয় টেস্টে বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেস্তে না গেলে, বা কোনও বড় অঘটন না ঘটলে, ভারত এটিও জিতবে।
প্রথম ইনিংসে ভারতের ৪৩৮ রানের জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৫৫ রানে অলআউট হয়ে যায়। তৃতীয় দিনের শেষে পাঁচ উইকেটে ২২৯ রান ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। চতুর্থ দিন মাত্র ৭.৪ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাকি পাঁচ উইকেট ফেলে দেন ভারতীয় পেসাররা। প্রথমে মুকেশ কুমার আউট করেন অলিক অ্যাথানেজকে। পরের চারটি উইকেট তুলে নেন সিরাজ। মাত্র ২৬ রানের মধ্যে বাকি ৫ উইকেট হারিয়ে বসে থাকে উইন্ডিজ।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামলে প্রথমে রোহিত শর্মা এবং যশস্বী মিলে মারার মেজাজেই ছিলেন। কারণ রোহিতের মাথায় চলছিল, যে ভাবে বারবার বৃষ্টি হয়ে খেলা বন্ধ হচ্ছে, তাতে চতুর্থ ইনিংসে বোলাররা পর্যাপ্ত সময় না পেলে ১০ উইকেট ফেলতে পারবেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজের। যে কারণে শুরু থেকে টি-টোয়েন্টির মেজাজে ছিলেন রোহিত শর্মা এবং যশস্বী জয়সওয়াল। রোহিত ৪৪ বলে ৫৭ করে আউট হন। ৩০ বলে ৩৮ করেন যশস্বী। শুভমন গিল অবশ্য ৩৭ বলে ২৯ করে অপরাজিত থাকেন। তবে ইশান কিষাণ ৩৪ বলে ঝোড়ো ৫২ করে অপরাজিত থাকেন। ভারত ২ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রানেই ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করে দেয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ৩৬৫ রানের লক্ষ্য দেয় ভারত।
এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামলে ভারত ৭৬ রানে ২ উইকেটে ফেলে দিয়েছে তাদের। ২৮ রান করে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে সুইপ মারতে গিয়ে আউট হন অধিনায়ক ব্রেথওয়েট। তিনে ব্যাট করতে নামা কির্ক ম্যাকেঞ্জি রান পাননি। শূন্য রানে তাঁকে ফেরান অশ্বিন। চন্দ্রপল ২৪ ও ব্ল্য়াকউড ২০ রানে অপরাজিত রয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে করতে হবে আরও ২৮৯ রান। ভারতকে নিতে হবে ৮ উইকেট। বৃষ্টিতে পঞ্চম দিনের খেলা ভেসে গেলে আর কিছু করার নেই।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।