ক্রিকেট মাঠে ব্যান্টার বা রসিকতার প্রবর্তক অজিরাই। নিজেদের মনোরঞ্জনের জন্য ও বিপক্ষকে বিব্রত করার জন্য হালকা চালে স্লেজিং করে এসেছেন প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। তাই অজিরা বিপাকে পড়লে তাদের নিয়ে রসিকতা করার সুযোগ ছাড়তে চান না বিপক্ষের ক্রিকেটাররা, এমনকী অবসরপ্রাপ্তরাও। নাগপুর টেস্টের আগে অজিদের মধ্যে যে পিচ নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল কিউরেটরের কীর্তিকলাপ দেখে, এবার সেটাকে ঠুকে টুইট করলেন প্রোটিয়া কিংবদন্তি ডেল স্টেইন। অজিদের অবশ্য তিনি উল্লেখ করেননি টুইটে। কিন্তু এক ইনিংস ও ১৩২ রানে গোহারান হারা প্যাট কামিন্সের দলই যে তাঁর টুইটের নিশানায়, সেটা বলাই বাহুল্য।
ডেইল স্টেইট পোস্ট করেন-একটা ছোট্টো প্রশ্ন ক্রিকেট জ্ঞানীদের জন্য। আপনারা পিচ পরখ করেন কীভাবে। আপনারা কি হাঁটু গেড়ে বসে প্রায় শুঁকে দেখেন পিচে কী হচ্ছে না কী দূর থেকেই পিচ জরিপ করেন। আর সবচেয়ে বড় যে জিজ্ঞাস্য সেটা হল, এসব করে আদৌ কোনও লাভ হয়?
প্রসঙ্গত, ম্যাচ শুরুর আগে বেশ কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছিল যেখানে কার্যত শুয়ে পড়ে পিচটি বোঝার চেষ্টা করছিলেন অজি ম্যানেজমেন্ট। অন্যদিকে কেন পিচের দুটি দিকে গুড লেংথ স্পটগুলিতে জল দেওয়া হচ্ছে না সেই নিয়ে জলঘোলা করে অজি মিডিয়া। কোনও কোনও বিশেষজ্ঞ তো একেবারে আইসিসি-র হস্তক্ষেপের দাবি জানান। তবে বাস্তবে দেখা যায় যে অজিরা হাবুডুবু খেলেও ভারতীয়রা খুব সহজেই এই পিচে ব্যাটিং করেন। এর থেকে এটা স্পষ্ট যে পিচে তেমন কোনও জুজু ছিল না। ম্যাচের শেষে সেকথা স্বীকার করে নিতে বাধ্য হন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। প্রত্যাশার থেকে পিচ যে ভালো খেলেছে একথা বলেন অজি বিশেষজ্ঞরাও। সব মিলিয়ে কোনও ভাবেই ভারতীয় জয়ে পিচের কৃতিত্ব দেওয়া যাবে না। ভারতীয় পিচে ব্যাটিং করতে যে বিশেষ টেকনিক দিয়ে খেলা উচিত, সেটা ম্যাচের শেষে বলেও দেন রোহিত শর্মা। প্রায় তিন দশক ক্রিকেট বিশ্ব রাজ করার পর অস্তাচলে অজিদের সাম্রাজ্য। তাই সুযোগ পেয়েই মজা লুটতে কার্পণ্য করছে না বাকিরা। ডেল স্টেইনের টুইটের নির্যাস হয়তো সেটাই।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।