শুভব্রত মুখার্জি
পরপর দুটি ম্যাচ একেবারে হেরে যাওয়া পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ জিতেছে কেকেআর। আইপিএল ২০২০-এর শুরুটা ভালো না করলেও এবার ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে কেকেআর। বর্তমানে আট পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে তারা রয়েছে তৃতীয় স্থানে। দলের ব্যাটিং বা বোলিং একেবারে নিখুঁতভাবে না এগোলেও সঠিক সময় জ্বলে উঠে ম্যাচ বের করে নিচ্ছেন নাইটরা। তাতে প্লে-অফে যাওয়ার বিষয়ে অত্যন্ত আশাবাদী শাহরুখ খানের দল।
কেকেআরের অন্যতম মাথা ব্যথার কারণ ছিল দুটি - ব্যাটিং অর্ডার এবং ব্যাট হাতে অধিনায়ক দীনেশ কার্তিকের অফ-ফর্ম। বিশেষত আন্দ্রে রাসেলের অফ-ফর্মে কার্তিকের ব্যাট থেকে রান আসাটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছিল। কিংস ইলেভন পঞ্জাবের ম্যাচের আগে ব্যাট হাতে আহামরি পারফরম্যান্স ছিল না। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ২৩ বলে ৩০ রান করেছিলেন। কিন্তু চাপের মুখে দলকে ভরসা দিতে পারেননি। ব্যাট হাতে তাঁকে বেশ নড়বড়ে দেখাচ্ছিল।
কিন্তু শনিবার আবুধাবিতে ছবিটা একেবারে বদলে যায়। এই ম্যাচে ব্যাট করতে যখন তিনি নামেন তখন দলের স্কোর বোর্ডে তেমন রান ওঠেনি। প্রথম কয়েকটা বল দেখে খেলার পরেই মুজিবুর রহমানের বলে লং-অনের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকানোর পরেই ফর্ম ফিরে পেতে শুরু করেন তিনি। এরপর আর তাঁকে থামাতে পারেনি পঞ্জাবের বোলাররা। ঝোড়ো ইনিংস উপহার দেন তিনি। ২২ বলে সম্পূর্ণ করেন অর্ধশতরান। পরে ৫৮ রান করে রান আউট হয়ে যখন থামলেন তখন দলের স্কোর পৌঁছে গিয়েছেন ১৬৪-তে। মূলত তাঁর ইনিংসে ভর করে সম্মানজনক রান তোলে কেকেআর।
অনেকের মতে, কার্তিকের ব্যাট হাতে এই ফর্মে কারণ হল অধিনায়কত্বের সাফল্য। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচে একের পর এক সঠিক বোলিং বদলানোর সিদ্ধান্ত নেন। মূলত শেষের দিকে যেভাবে ফিল্ডিং সাজাচ্ছিলেন, সেভাবেই বোলারদের দিয়ে বল করিয়ে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে জয় হাসিল করেন। ১১ ওভার পর্যন্ত সুনীল নারিনকে লুকিয়ে রাখার সিদ্ধান্তও ফলপ্রসূ হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবেই অধিনায়ক হিসেবে নেওয়া একের পর এক সিদ্ধান্ত সঠিক হওয়ার ফলে আত্মবিশ্বাস ফিরে পান তিনি। যা অবশেষে তাঁর ব্যাটে ফিরিয়ে আনে রান।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।