IPL 2020: সৌরভের উপস্থিতিতে দুরন্ত ক্যাচ 'চোট থাকা' রোহিতের, ক্রমশ বাড়ছে হিটম্যান-বিতর্ক

ক্যাচ ধরার সময় রোহিতকে দেখে একেবারেই মনে হয়নি যে তাঁর কোনওরকম সমস্যা হচ্ছে।

বক্সে বসে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং ম্যাচ জয়ের পর রোহিত শর্মা (ছবি সৌজন্য আইপিএল)

চোটের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সফরের বিমানে ঠাঁই পাননি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, রোহিতের চোট আছে। অথচ সেই রোহিতই চোট থেকে ফিরে আইপিএলে দুটি ম্যাচ খেলে ফেললেন। তাও আবার সৌরভের সামনে প্রথম কোয়ালিফায়ারে দুর্দান্ত ক্যাচ নিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক।

অস্ট্রেলিয়া সফরের দলে রোহিত না থাকায় এমনি বিতর্ক তৈরি হয়। চোটের বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানানো না হওয়ায় আরও ধন্দ বেড়েছিল। বিশেষত দল ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মুম্বইয়ের তরফে রোহিতের অনুশীলনের ভিডিয়ো পোস্ট করায় সেই বিতর্ক আরও মাথাচাড়া দেয়। সবারই একটা প্রশ্ন ছিল - রোহিতকে তো নেটে দেখে মোটামুটি স্বচ্ছন্দ মনে হচ্ছে। তাহলে কেন তাঁকে দলে রাখা হল না?

সে বিষয়ে পরে মুখ খোলেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে একটি সাক্ষাৎকারে সৌরভ বলেন, 'এই মুহূর্তে রোহিতের চোট আছে। নাহলে কেন ওর মতো খেলোয়াড়কে আমরা বাদ দেব? ও জাতীয় দলের (সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটে) সহ-অধিনায়ক। ওর পরিস্থিতির মূল্যায়ন করতে হবে আমাদের। আমি জানি না (ও কখন ফিরতে পারবে)। চোট পাওয়ার পর এখনও পর্যন্ত খেলেনি ও। আমরা চাই, ও সেরে উঠুক।'

সৌরভের সেই মন্তব্যের পর সেদিন (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামেন রোহিত। পরে জানান, পুরোপুরি সুস্থ আছেন তিনি। তারপর বৃহস্পতিবার প্রথম কোয়ালিফায়ারেও দলকে নেতৃত্ব দেন। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের দুরন্ত ক্যাচ নেন।

৩.৫ ওভারে জসপ্রীত বুমরাহের বলে কভারের উপর দিয়ে চার মারতে গিয়েছিলেন শ্রেয়স। ভালো টাইমিং হয়েছিল। দ্রুত বল গেলেও একেবারে নিখুঁত সময় লাফিয়ে ভালো ক্যাচ ধরেন রোহিত। তখন তাঁকে দেখে একেবারেই মনে হয়নি যে কোনওরকম সমস্যা হচ্ছে। আর তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই ম্যাচ দেখতে দুবাইয়ের স্টেডিয়ামে হাজির ছিলেন স্বয়ং সৌরভ।

তারপর স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি এবার অস্ট্রেলিয়ার দলে রোহিতকে রাখা হবে? কারণ সৌরভ তো নিজেই জানিয়েছিলেন, ফিট থাকলে রোহিত দলে থাকবেন। সে বিষয়ে বোর্ডের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে রোহিতের চোট বিতর্কের রেশ যে এখনই মিটছে না, তা একেবারে পরিষ্কার।