দিল্লির নিয়ন্ত্রিত বোলিং, বিশেষ করে অমিত মিশ্রর ২৪ রানে ৪ উইকেট এবং ঠান্ডা মাথায় ক্যাপিটালসের রান তাড়া করাই পন্তদের জয়ের অন্যতম কারণ সন্দেহ নেই। তবে মুম্বইয়ের খামতির দিকে নজর দিলে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের ম্যাচ হারার জন্য তিনটি প্রধান কারণ চিহ্নিত করা যায়।
১. তিন বিদেশির একসঙ্গে ব্যর্থ হওয়া: বাড়তি স্পিনার হিসেবে জয়ন্ত যাদবকে প্রথম একাদশে জায়গা করে দিতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স একজন বিদেশি কম খেলায়। তিনজন বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে মাঠে নামে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। তবে দলের তিন বিদেশিই দিল্লির বিরুদ্ধে এই ম্যাচে ব্যর্থ হন। ডি'কক ২ রান করে আউট হন। পোলার্ড ব্যাট হাতে মাত্র ২ রান করেন। বোল্ট করেন ১ রান। বল হাতে বোল্ট ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান খরচ করলেও উইকেট তুলতে পারেননি। লো-স্কোরিং ম্যাচে উইকেট তুলতে না পারলে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখা সম্ভব নয়। পোলার্ড একেবারে শেষ বেলায় ১.১ ওভার বল করেন। ৯ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট নিলেও দিল্লি ততক্ষণে ম্যাচ নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়।
২. মিডল অর্ডার পুরোপুরি ব্যর্থ: ব্যাটিং অর্ডারের তিন ও চার নম্বরে সূর্যকুমার ও ইশান যথাক্রমে ১৫ বলে ২৪ ও ২৮ বলে ২৬ রান করেন। তবে তার পর আর কেউ রান করতে পারেননি। হার্দিক পান্ডিয়া ০, ক্রুণাল পান্ডিয়া ১ ও কায়রন পোলার্ড ২ রান করেন। লোয়ার অর্ডারে জয়ন্ত যাদব ২৩ রান করলেও ২২ বল খরচ করেন। তাঁর কাছ থেকে আগ্রাসী ব্যাটিং অবশ্য কেউই আশা করেন না।
৩. ধাওয়ান-স্মিথের জুটি ভাঙতে না পারা: মুম্বই শুরুতেই পৃথ্বী শ'র উইকেট তুলে নিলেও শিখর ধাওয়ান ও স্টিভ স্মিথ আতশীয় ব্যাটিংয়ের বদলে ধীরে সুস্থে দলকে জয়ের মঞ্চে বসিয়ে দেন। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে দু'জনে যোগ করেন ৫৩ রান। ললিতকে সঙ্গে নিয়ে গব্বর তৃতীয় উইকেটের জুটিতে আরও ৩৬ রান যোগ করেন। দ্রুত জুটি ভাঙতে না পারার মাশুল দিতে হয় মুম্বইকে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।