শুভব্রত মুখার্জি
হাতে রয়েছে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই ৯ই এপ্রিল থেকে ভারতের বুকে শুরু হতে চলেছে আইপিএলের ১৪তম সংস্করণ। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের প্রতি আলাদা প্রত্যাশা থাকবে তাদের সমর্থকদের। রোহিত বাহিনীর সামনে রয়েছে আইপিএলের ইতিহাসে নজির গড়ার সুবর্ণ সুযোগ। এই মরশুমে যদি মুম্বই দল আইপিএলের ট্রফি জিততে পারে তবে টুর্নামেন্টের ১৪ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার তারা প্রথম দল হিসেবে পরপর তিনবার ট্রফি জিতে আক্ষরিক অর্থেই হ্যাটট্রিক সম্পন্ন করবে। প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংস ও ২০২০ সালের ফাইনালে দিল্লিকে হারিয়েছিল তারা।
ইতিমধ্যেই মুম্বই প্রস্ততি শুরু করে দিয়েছে। আসন্ন আইপিএলে তাদের প্রথম ম্যাচ আবার শক্ত প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বিরাটের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ম্যাচে নামার আগে একনজরে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করা যাক মুম্বই দলের শক্তি, দুর্বলতার জায়গাগুলি।
∆ শক্তি:-
মুম্বইয়ের ওপেনিং জুটিতে রোহিত ও কুইন্টন ডি'ককের জুটি বরাবর তাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। পাওয়ার প্লে'তে মুম্বইয়ের স্কোর বোর্ডকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যান এই দুই ব্যাটসম্যান। মিডল অর্ডারে তাদের স্কোয়াডে রয়েছেন ঈশান কিষাণ এবং সূর্যকুমার যাদবের মতো দু'জন অসম্ভব ট্যালেন্টেড ব্যাটসম্যান। ব্যাট হাতে যারা আইপিএলের মঞ্চে শেষ কয়েক বছরে একাধিক ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছেন। সদ্য শেষ হওয়া ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে কিষাণ এবং সূর্যকুমার দুজনের অভিষেক হয়েছে জাতীয় দলের হয়ে। সেখানেও ব্যাট হাতে তাঁদের বিক্রম দেখেছে গোটা বিশ্ব। ভালো শুরুর পরে ইনিংসকে ভালোভাবে শেষ করার জন্য রয়েছেন দুজন পাওয়ার হিটার দুই ভাই হার্দিক পান্ডিয়া এবং ক্রুণাল পান্ডিয়া।
ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি পেস বোলিং বিভাগ মুম্বই দলের বড় শক্তি। এখানে রয়েছেন বুমরাহ, ট্রেন্ট বোল্টের মতো দুই পেসার। আইপিএলে বুমরাহের ইকোনমি রেট ৬.৭৩, বোল্টের ৭.৯৭ রান প্রতি ওভার।
∆ দুর্বলতা :-
মুম্বইয়ের স্পিন বিভাগ তাদের সবথেকে বড় দুর্বলতার জায়গা হতে পারে। রাহুল চাহার এবং ক্রুণাল পান্ডিয়া এই বিভাগের দায়িত্ব সামলাবেন আসন্ন আইপিএলে। তবে তাঁদের ব্যাকআপ জয়ন্ত যাদব এবং অনুকূল রায়ের অনভিজ্ঞতা মুম্বইয়ের চিন্তা বাড়াতে পারে। চোট সারিয়ে ফেরা হার্দিকের ওয়ার্কলোড ম্যানেজ করাও অধিনায়কের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ থাকবে। তাঁকে দিয়ে ঠিক কত ওভার বল করানো হবে বা আদৌ হবে কিনা সেই সিদ্ধান্তও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
সবশেষে বলা যেতে পারে শক্তিশালী স্কোয়াড নিয়ে আরব সাগরের তীরে নীল ব্রিগেডের ঘরে ট্রফি পরপর তিনবার ঢুকতে দেখলে অবাক হওয়ার কিন্তু কিছু নেই।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।