কলকাতা নাইট রাইডার্সের আর চারটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। তাদের ১৬ পয়েন্ট শেষ করতে হলে অবশ্যই সব ম্যাচই জিততে হবে। প্রতিটি ম্যাচই এখন নাইটদের কাছে ফাইনাল। তাই সোমবার ঘরের মাঠে পঞ্জাব কিংসকে হারাতেই হবে নাইটদের।
গত বছরের আইপিএলে প্লে-অফে যাওয়ার ম্যাজিক ফিগার ছিল ১৬ পয়েন্ট। সেই নিরিখেই এ বারও যাবতীয় অঙ্ক কষা চলছে। যা পরিস্থিতি তাতে ম্যাচ জেতার পাশাপাশি দুই দলকেই বড় জয় ছিনিয়ে নিতে হবে। কারণ নেট রানরেটের কথাও মাথায় রাখতে হবে। আসলে ১৬ পয়েন্টে যদি একাধিক দলের থাকে, তা হলে গুরুত্বপূর্ণ হবে এই নেট রানরেট।
পঞ্জাব কিংসের অবশ্য কলকাতার দলের মতো হাল নয়। তারা যদি আরও একটি ম্যাচ হারে, তাতেও ১৬ পয়েন্টে পৌঁছতে পারবে। যে কারণে শিখর ধাওয়ানের দল অনেক বেশি খোলামেলা মনে খেলতে পারবে। তবে এ দিন যদি পঞ্জাব জেতে, তবে তাদের পরিস্থিতি দম বন্ধকর হবে না। আর যদি হারে, তবে শিখরদেরও পরের সব ম্যাচে জেতার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে। পাশাপাশি তাদের দুর্বল নেট রানরেট বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। যে কারণে বড় ব্যবধানে জয় প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: মোখা নয়, প্যাচপ্যাচে গরমে নীতীশ-শিখরদের নাজেহাল অবস্থা হতে পারে
ঘরের মাঠে কেকেআর খুব স্বস্তিতে নেই। ইডেনে তাদের শেষ তিন ম্যাচে হারতে হয়েছে নাইটদের। এবং তাদের ওপেনার জেসন রয় এবং রহমানুল্লাহ গুরবাজ খুব ধারাবাহিক নয়। বা আহামরি ছন্দেও নেই। কেকেআর-এর মূল সমস্যাই তাদের টপ অর্ডার। টপ অর্ডারের কেউই সে ভাবে রান করতে পারছে না। নাইটদের সমস্যা হল টিমটা একেবারেই ধারাবাহিক নয়। কে কেমন খেলবেন, বোঝা দায়। বেঙ্কটেশ আইয়ার, নীতীশ রানা, রিঙ্কু সিং, আন্দ্রে রাসেলরা নড়বড় করছে। কোনও কোনও দিন হয়তো কেউ একজন আগুনে মেজাজে থাকছে, সেই দিন সাফল্য এসে যাচ্ছে কোনও মতে। নাইট বোলারদের দশা একই। সুনীল নারিনকে খেলানো হবে কিনা তা নিয়েও চর্চা রয়েছে। তবে নারিনকে ছেঁটে ফেলার বিলাসিতা দেখানোর জায়গাতেও নেই কেকেআর। কারণ ধারাবাহিক না হলেও নারিনের অভিজ্ঞতাকে হেলাফেলা করার সুযোগ নেই। খাদের কিনারে থাকা দলের হয়তো সেরা অস্ত্র হয়ে উঠলেন সুনীল নারিনই।
যদিও সুয়াশ শর্মা এ বার কেকেআর-এর দ্বিতীয়-সেরা বোলার। তবে প্রথমে ব্যাটিং নিলে অলরাউন্ড বিকল্প হিসেবে বাঁহাতি স্পিনার অনুকূল রায়কে একাদশে রাখা হতে পারে। কেকেআর রান তাড়া করলে, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের কাজের জন্য সুয়াশই ফেভারিট।
আরও পড়ুন: জয়পুরে ইতিহাস গড়ল SRH, প্লে-অফের লড়াইয়ে এখনও টিকে সব দল
পঞ্জাব কিংসের সঙ্গে খুব বেশি পার্থক্য নেই কলকাতা নাইট রাইডার্সের। তবে যে দলে শিখর ধাওয়ানের মতো বিধ্বংসী ব্যাটার থাকেন, সঙ্গে লিয়াম লিভিংস্টোন, অথর্ব তাইডে, জিতেশ শর্মারা রয়েছে, সেই দলকে কিছুটা হলেও এগিয়ে রাখতে হবে। এ দিকে না স্যাম কারান, কাগিসো রাবাডা, রাহুল চাহার, ঋষি ধাওয়ানরা পঞ্জাবের বোলিং আক্রমণকে শক্তিশালী করেছে। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার প্রভসিমরান সিং-এর সঙ্গে একজন বিদেশি পেস বোলারকে অদলবদল করা হবে।
দুই দল মোট ৩১বার মুখোমুখি হয়েছে। কেকেআর জিতেছে ২০টিতে, পঞ্জাব জিতেছে ১১টিতে। মোহালিতে এবারের আইপিএলে নাইটরা প্রথম ম্যাচ খেলেছিল। বৃষ্টিবিঘ্নিত সেই ম্যাচে হেরেছিলেন নীতীশ রানারা।
দুই দলের শেষ পাঁচটি দ্বৈরথে পঞ্জাবের জয় তিনটিতে, কেকেআর জিতেছে ২টি ম্যাচ। ইডেনে কেকেআর বনাম পাঞ্জাব দ্বৈরথ হয়েছে ১১টি। তার মধ্যে নাইটরা জিতেছে ৮টিতে, পঞ্জাব জিতেছে তিনটিতে। ২০১৮ সালে শেষবার ইডেনে কেকেআরকে হারিয়েছিল পঞ্জাব।
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার সহ কেকেআর-এর সম্ভাব্য দ্বাদশ: জেসন রায়, রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), বেঙ্কটেশ আইয়ার, নীতীশ রানা, রিংকু সিং, আন্দ্রে রাসেল, শার্দুল ঠাকুর, সুনীল নারিন, হর্ষিত রানা, বৈভব অরোরা, বরুণ চক্রবর্তী, সুয়াশ শর্মা/ অনুকূল রায়।ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার সহ কেকেআর-এর সম্ভাব্য দ্বাদশ:
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার সহ পিবিকেএস-এর সম্ভাব্য দ্বাদশ: শিখর ধাওয়ান, প্রভসিমরান সিং, ম্যাথিউ শর্ট/সিকান্দার রাজা, লিয়াম লিভিংস্টোন, জিতেশ শর্মা (উইকেটরক্ষক), স্যাম কারান, এম শাহরুখ খান, ঋষি ধাওয়ান, হরপ্রীত ব্রার, রাহুল চাহার, আর্শদীপ সিং, নাথান এলিস/কাগিসো রাবাদা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।