KKR যে ফাইনালে সেটা ভাবতেই পারেননি, সরল স্বীকারোক্তি আকাশ চোপড়ার

বুধবার শেষ ২ বলে ৬ রান করতে হত কলকাতাকে। আগের দু'টি বলে দুই উইকেট হারিয়েছিল তারা। সেখান থেকে চাপের মধ্যেও ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ১৯.৫ ওভারে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে কলকাতাকে জিতিয়ে দেন রাহুল ত্রিপাঠি। তিনি হয়ে যান বাজিগর। সেই সঙ্গে আইপিএল থেকে ছিটকে যায় দিল্লি ক্যাপিটালস।

দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে কলকাতা নাইট রাইডার্স।

আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে সকলকে কিছুটা চমকে দিয়েই দুরন্ত ছন্দে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। শুধু যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তা তো নয়, একেবারে আইপিএলের ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে তারা। কলকাতার টিম যে ফাইনালে পৌঁছে যাবে, সেটা অনেক বিশেষজ্ঞই ভাবতে পারেননি। যেমনটা ভাবতে পারেননি আকাশ চোপড়াও।

তিনি এই নিয়ে লুকোছাপা না করে বরং সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘কলকাতা যে ফাইনালে উঠবে আমি নিজেও ভাবতে পারেননি।’ কিন্তু কলকাতার এই সাফল্যে তিনি উচ্ছ্বসিত। বলেছেন, ‘বিরতির পর কলকাতা জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ। একেবারে ম্যাজিক করে দিয়েছে। যখন আইপিএল আবার নতুন করে শুরু হল, তখন আমি তো বটেই, কেউই ভাবতে পারেনি, কলকাতা ফাইনালে পৌঁছবে। তখন ব্যাপারটা এম ছিল, কলকাতা ফাইনালে উঠবে? মজা করছো নাকি?’

কলকাতার তরুণ ব্রিগেডকে এর কৃতিত্ব দিয়েছেন আকাশ চোপড়া। তিনি বলেছেন, ‘কী অসাধারণ খেলেছে, কী ভাবে ঘুর দাঁড়াল ওরা। ভেঙ্কটেশ আইয়ার, রাহুল ত্রিপাঠি, শুভমন গিল, বরুণ চক্রবর্তী, লকি ফার্গুসন, নীতিশ রানা, শিবম মাভি শেষ পর্যন্ত অসাধারণ খেলেছে প্রত্যেকে। এই তরুণরাই কলকাতার খোলনলচে একেবারে বদলে দিয়েছে।’

বুধবার টসে জিতে দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল কলকাতার অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৩৫ রান করে দিল্লি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১২.২ ওভারে ৯৬ রানে ১ উইকেট থেকে ১৯.৪ ওভারে ১৩০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে থাকে কলকাতা। তার মধ্যে আবার ১৮-২০ ওভারের মধ্যে তারা চার উইকেট হারায়।

শেষ ২ বলে ৬ রান করতে হত কলকাতাকে। আগের দু'টি বলে দুই উইকেট হারিয়েছিল তারা। সেখান থেকে চাপের মধ্যেও ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ১৯.৫ ওভারে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে কলকাতাকে জিতিয়ে দেন রাহুল ত্রিপাঠি। তিনি হয়ে যান বাজিগর। সেই সঙ্গে আইপিএল থেকে ছিটকে যায় দিল্লি ক্যাপিটালস।