৩৯ বছরেও ১৮-র তরুণের মতো টগবগ করে ফুটছেন। বয়স তাঁর কাছে নেহাৎ-ই সংখ্যা মাত্র। ভারতের বিরুদ্ধে জেমস অ্যান্ডারসনের পারফরম্যান্স দেখার পর চমকে গিয়েছে ক্রিকেট বিশ্ব। এখনও এত আগুন রয়েছে জিমির মধ্যে! এখনও বুড়ো হাড়ে ভেল্কি দেখিয়ে চলেছেন অ্যান্ডারসন। ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজের পর অনেকেই ভেবেছিল, হয়তো নিজের অবসরের কথা জানাবেন অ্যান্ডারসন। কিন্তু সে রকম কিছুই ঘটছে না। উল্টে তিনি দাবি করেছেন, আরও একটা বছর তিনি খেলা চালিয়ে যেতে চান।
একটি সংবাদপত্রে নিজের কলামে অ্যান্ডারসন লিখেছেন, ‘টেস্ট সিরিজ শুরু হওয়ার আগে আমি ভাবিনি সবকটি ম্যাচ খেলব। সম্প্রতি বিভিন্ন সিরিজে বোলারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলাচ্ছে আমাদের টিম। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি সেটা হতে দেয়নি। ওভালে দ্বিতীয় ইনিংস টানা বোলিং-এর জন্য একেবারেই আদর্শ ছিল না। কিন্তু কয়েক দিনের বিশ্রাম এবং নিজেকে পুনরায় তৈরি করতে পেরে আত্মবিশ্বাসী লাগছে যে, আমি আবারও খেলতে পারব।’
এই কলামটি অ্যান্ডারসন ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট বাতিল হওয়ার আগে লিখেছেন। তাঁর লেখার মাধ্যমে তিনি জানিয়েছিলেন, ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টেই যে শুধু তিনি নতুন উদ্যোমে শুরু করতে চান, এমনটা কিন্তু নয়। তিনি আরও এক বছর খেলে যাওয়ার কথা ভাবছেন। তিনি তাই লিখেছেন, ‘আমি ভাল ছন্দে রয়েছি, আমার গতি ভাল ছিল। আমার বলের গতিবেগ ৮৫ মাইল (প্রায় ১৩৬ কিলোমিটার) স্পর্শ করেছে। যেটা আমার দক্ষতা দেখানোর জন্য যথেষ্ট। নতুন যে সমস্ত প্লেয়ার, যেমন অলি রবিনসন, ওদের সঙ্গে খেলাটা আমি খুবই উপভোগ করছি।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি আরও একটি গ্রীষ্ম খেলতে চাই। এর মানেই হল শীতে অ্যাসেজেও খেলতে চাই। পরের বছর মার্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পরিকল্পনা রয়েছে ইংল্যান্ডের। সেটাও আমার ভাবনায় রয়েছে। বুধবার দিন পরের বছরের গ্রীষ্মের ক্রীড়াসূচি প্রকাশিত হয়েছে। গ্রীষ্মের শুরুতেই তিনটি টেস্ট রয়েছে। মাঝে অনেকটা গ্যাপ রয়েছে। গ্রীষ্মের শেষের দিকে আবার তিনটে টেস্ট রয়েছে। আমার পক্ষে এটা ম্যানেজ করা সম্ভব। তবে অ্যাসেজে খেলতে পরিবার নিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র পাওয়ার উপরেই সবটা নির্ভর করছে। তাই ওই সিরিজ নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা রয়েছে।’