বড় ম্যাচ এবার আরও বড় মঞ্চে। কলকাতা ডার্বি নিয়ে সমর্থকদের আবেগ ভারতীয় ফুটবলের রূপকথায় চিরস্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। এবার ইন্ডিয়ান সুপার লিগের আঙিনায় নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করছে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের মাঠের বৈরিতা। আইএসএলে প্রথম কলকাতা ডার্বি তাই বাড়তি মাত্রা পাচ্ছে ফুটবলমহলে।
পরপর জয়
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে পরপর দু'টি ম্যাচে জয় তুলে নেয় এটিকে-মোহনবাগান। প্রথম ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সকে ১-০ গোলে পরাজিত করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। দ্বিতীয় ম্যাচে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে ২-০ গোলে হারিয়ে দেয় সবুজ-মেরুন শিবির।
ম্যাচ শেষ
লম্বা বাঁশি বাজিয়ে রেফারি জানিয়ে দিলেন, আইএসএলের প্রথম কলকাতা ডার্বি শেষ। ২-০ গোলে ম্যাচ জিতে ৩ পয়েন্ট পকেটে পোরে সবুজ-মেরুন শিবির।
ইনজুরি টাইম
দ্বিতীয়ার্ধে ৪ মিনিটের ইনজুরি টাইম যোগ হয়।
বাগানের জোড়া পরিবর্ত
৯০ মিনিটে কৃষ্ণাকে তুলে নেন হাবাস। মাঠে নামেন ইনম্যান। প্রবীরের বদলে মাঠে নামেন সুমীত রথী।
মনবীরের গোলে ব্যবধান বাড়াল এটিকে-মোহনবাগান
৮৫ মিনিটে মনবীর সিংয়ের গোলে ব্যবধান বাড়িয়ে ২-০ করল এটিকে-মোহনবাগান।
বাগানের পরিবর্ত
৮৪ মিনিটে জাভির বদলে মাঠে নামেন গ্লেন।
পরিবর্ত
৭৯ মিনিটে লোকেনকে তুলে নিয়ে লুয়াংকে মাঠে নামান ইস্টবেঙ্গল কোচ রবি ফাওলার।
কুলিং ব্রেক
৭৬ মিনিটে ম্যাচে দ্বিতীয়বার কুলিং ব্রেক পেয়ে যান ফুটবলাররা।
হলুদ কার্ড
৭৫ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখলেন ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক ড্যানি ফক্স।
বিপদ এড়ালেন দেবজিৎ
৭৪ মিনিটে অনবদ্য ক্ষিপ্রতায় বল ক্লিয়ার করেন ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার।
হলুদ কার্ড
৭০ মিনিটে রফিককে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন মোহনবাগান অধিনায়ক প্রীতম কোটাল।
লাল-হলুদের পরিবর্ত
৬৫ মিনিটে বলবন্তের পরিবর্তে মাঠে নামেন মহম্মদ রফিক।
লাল-হলুদের আক্রমণ
৬৪ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল সংঘবদ্ধ আক্রমণে ওঠে। তবে ম্যাঘোমার শট ক্রসবারের উপর দিয়ে উড়ে যায়।
মোহনবাগানের জোড়া পরিবর্ত
৬৩ মিনিটে ডেভিড উইলিয়ামসকে তুলে নিয়ে মনবীরকে মাঠে নামান এটিকে-মোহনবাগান কোচ হাবাস। জয়েসের বদলে মাঠে নামেন প্রণয়।
ইস্টবেঙ্গলের সুযোগ
৫৯ মিনিটে বলবন্ত গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন বটে, তবে বাগান গোলকিপারের যথাযথ পরীক্ষা নিতে ব্যর্থ হন তিনি। তাঁর শট পোস্টের বাইরে বেরিয়ে যায়।
পরিবর্ত
৫৭ মিনিটে রানার পরিবর্তে এসসি ইস্টবেঙ্গল মাঠে নামায় অভিষেক আম্বেকরকে।
হলুদ কার্ড
৫৩ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখলেন ইস্টবেঙ্গলের ম্যাঘোমা।
ডার্বির প্রথম গোল
আইএসএলের প্রথম কলকাতা ডার্বির প্রথম গোল করলেন রয় কৃষ্ণা। ৪৯ মিনিটের মাথায় বাঁ পায়ের শটে ইস্টবেঙ্গলের জালে বল জড়ান এটিকে-মোহনবাগানের ফিজিয়ান তারকা। মোহনবাগান এগিয়ে যায় ১-০ গোলে। টুর্নামেন্টে এটি তাঁর দ্বিতীয় গোল। কৃষ্ণার গোলেই উদ্বোধনী ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে জয় তুলে নেয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
বিরতির পর প্রান্ত বদলে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু। ডান দিক থেকে বাঁ-দিকে আক্রমণ করলে এসসি ইস্টবেঙ্গল। উভয় দলই কোনও খেলোয়াড় পরিবর্তন করেনি।
বিরতি
প্রথমার্ধের খেলা শেষ। ম্যাচ এখনও গোলশূন্য। অর্থাৎ বিরতিতে ম্যাচের স্কোর-লাইন ০-০।
ইনজুরি টাইম
প্রথমার্ধে ২ মিনিট ইনজুরি টাইম যোগ হয়।
হলুদ কার্ড
৪৫ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন জয়েস রানে।
বারের উপর দিয়ে শট রানার
৪২ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে শট নেন রানা ঘরামি। তাঁর শট ক্রসবারের উপর দিয়ে উড়ে যায়।
ইস্টবেঙ্গলের দারুণ আক্রমণ
৩৮ মিনিটে সুরচন্দ্রর বাড়ানো বলে ফিনিশিং চাট দিতে পারলেন না বলবন্ত। লম্বা পা বাড়িয়েও বল নাগালে পেলেন না বলবন্ত।
দুরন্ত সেভ
৩৬ মিনিটে হার্নান্ডেজের শট বাঁ-দিকে ঝাঁপিয়ে ক্লিয়ার করেন দেবজিৎ। এযাত্রায় বিপদ থেকে রক্ষা পায় ইস্টবেঙ্গল।
ইস্টবেঙ্গলের কর্ণার
৩৪ মিনিটে লোকেন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে প্রথম কর্ণার আদায় করে নেন। তাঁর শট ম্যাকহিউ হেডে মাঠের বাইরে বার করে দেন। নারায়ন দাসের কর্ণার শেষমেশ মোহনবাগান রক্ষণে প্রতিহত হয়।
কুলিং ব্রেক
৩০ মিনিটের খেলা অতিক্রান্ত। খেলোয়াড়রা ১ মিনিটের জন্য জলপানের বিরতি পেয়ে যায়।
গোলের সুযোগ
২৯ মিনিটে নারায়ন দাসের ক্রস থেকে ম্যাঘোমার হেডার পোস্টের বাইরে বেরিয়ে যায়।
কর্ণার
২৬ মিনিটের মাথায় কর্ণার পেয়ে যায় এটিকে-মোহনবাগান। প্রবীর দাস সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি।
হলুদ কার্ড
২২ মিনিটের মাথায় জাভি হার্নান্ডেজকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখলেন ইস্টবেঙ্গলের বলবন্ত সিং।
মোহনবাগানের গোল লক্ষ্য করে পিলকিংটনের শট
১৯ মিনিটের মাথায় মোহনবাগানের গোল লক্ষ্য করে পিলকিংটনের শট সরাসরি গোলরক্ষকের কাছে পৌঁছয়। অরিন্দম বিপদ হতে দেননি।
ফ্রি-কিক
১০ মিনিটের মাথায় জাভি হার্নান্ডেজকে ফাউল করলে ফ্রি-কিক পেয়ে যায় এটিকে-মোহনবাগান। সেট পিস থেকে গোল করতে পারেনি মোহনবাগান। বল মাঝমাঠ ঘুরে পুনরায় ইস্টবেঙ্গল বক্সে ফিরে এলে দেবজিৎ মজুমদারের নির্ভরযোগ্য দস্তানায় গিয়ে জমা পড়ে।
ফাউল
৫ মিনিটের মাথায় স্কট নেভিল ডেভিড উইলিয়ামসকে ঠেলে দিলে রেফারি ফাউলের নির্দেশ দেন। যদিও কোনও কার্ড দেখাননি।
ম্যাচ শুরু
টস জিতে কিক-অফের সিদ্ধান্ত নেয় ইস্টবেঙ্গল। বাঁ-দিক থেকে ডান দিকে আক্রমণ শানাবে লাল-হলুদ শিবির। রেফারির বাঁশিতে আইএসএলের মঞ্চে বাঙালির আবেগের বড় ম্যাচ শুরু।
নীরবতা পালন
প্রয়াত পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের ও চুনি গোস্বামীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করে দু'দল।
ম্যাচের আগে রয় কৃষ্ণা জানালেন
‘আমরা ইস্টবেঙ্গলের কথা ভাবছি না। নিজেদের পারফর্ম্যান্সে নজর থাকবে আমাদের।’
এসসি ইস্টবেঙ্গলের পরিবর্ত
শঙ্কর রায়, মহম্মদ রফিক, জেজে লালপেখলুয়া, ওয়াহেংবাম অঙ্গৌসানা লুয়াং, ইউজেনসন লিংডো, এন রোহেন সিং, অভিষেক আম্বেকর, হাওবাম সিং, মহম্মদ ইর্শাদ।
এটিকে-মোহনবাগানের পরিবর্ত
ধীরাজ সিং, সুমীত রথী, মনবীর সিং, ব্র্যাড ইনমান, অভিলাষ পাল, গ্লেন মার্টিন্স, মাইকেল সুসাইরাজ, মাইকেল রেগিন, বরিস সিং।
এসসি ইস্টবেঙ্গলের প্রথম একাদশ
দেবজিৎ মজুমদার (গোলকিপার), স্কট নেভিল, ড্যানিয়েল ফক্স (ক্যাপ্টেন), রানা ঘরামি, নারায়ন দাস, অ্যান্থনি পিলকিংটন, মাত্তি স্টেনম্যান, জ্যাকস ম্যাঘোমা, সুরচন্দ্র সিং, লোকেন মিতেই, বলবন্ত সিং।
এটিকে-মোহনবাগানের প্রথম একাদশ
অরিন্দম ভট্টাচার্য (গোলকিপার), সন্দেশ ঝিঙ্গান, শুভাশিস বোস, প্রবীর দাস, প্রীতম কোটাল (ক্যাপ্টেন), তিরি, জাভি হার্নান্ডেজ, কার্ল ম্যাকহিউ, জয়েস রানে, এডু গার্সিয়া, রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামস।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।