শুভব্রত মুখার্জি:- অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে টানা ৩৩ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পরে হারের মুখ দেখতে হয়েছে নোভাক জকোভিচকে। টানা ২,১৯৫ দিন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অপরাজিত থাকার পরে থেমেছে নোভাকের অশ্বমেধের ঘোড়া। আর তার এই জয়রথ থামিয়ে নায়ক বনে গিয়েছেন ইতালিয়ান তারকা ইয়ানিক সিনার। টেনিসের 'ওপেন এরা'-তে প্রথম ইতালিয়ান খেলোয়াড় হিসেবে গ্র্যান্ডস্ল্যামের ফাইনালে খেলার নজির গড়েছেন তিনি। কীভাবে সম্ভব হল এই অবিশ্বাস্য জয়? কোন জাদুতে নোভাক জকোভিচকে হারানো সম্ভব হল। পুরো বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন ইয়ানিক সিনার।
ম্যাচ শেষে জিম কুরিয়ারকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময়ে সিনার জানিয়েছেন, 'জকোভিচকে কয়েক বছর আগে আমার কোচ জিজ্ঞাসা করেছিল যে কীভাবে আমার খেলার উন্নতি ঘটানো যায়। আপনি জিজ্ঞাসা করুন (নোভাককে)। আমি ২০২১ সালে মন্টেকার্লোতে প্রথমবার জকোভিচের বিরুদ্ধে খেলেছি। সেই সময়ে ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে আমার কোচ জিজ্ঞাসা করেছিল নোভাককে। ম্যাচ শেষে কোচ নোভাকের কাছে গিয়ে বলেছিল তুমি কি কয়েকটা জায়গা বলতে পারবে, যেখানে ইয়ানিক নিজের উন্নতি করতে পারে। নোভাক একজন অসাধারণ স্পোর্টসম্যান। ও সেদিন আমার কোচকে বিষয়টা বলেছিল যে আমাকে কী কী করতে হবে। '
এরপরেই কুরিয়ার সিনারকে প্রশ্ন করেন তোমার কি মনে রয়েছে তোমার কোচকে তিনটি-চারটি কি পয়েন্ট বলেছিলেন জকোভিচ? উত্তরে সিনার বলেন, ‘হ্যাঁ এই গল্পটা (নোভাকের উপদেশ দেওয়ার) সত্যি। আমি যখন খুব ছোট ছিলাম, তখন আমার এই সৌভাগ্য হয়েছে। তখন আমার বয়স ১৬ কিংবা ১৭ হবে। আমি মোনাকোতে সেই সময়ে অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছিলাম। আমি মনে করি, যখন এই ঘটনা ঘটেছে ততক্ষণে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের থেকে আমার শেখার কাজটা শুরু হয়ে গিয়েছিল। তবে ম্যাচে খেলাটা আলাদা একটা বিষয়। আমাকে ম্যাচ শেষে নোভাক সেদিন বলেছিল বলকে কোর্টে আরও বেশি মুভ করাতে হবে। আমি কী করছি বা করছি না, সেটা যেন বিপক্ষ বুঝতে না পারে। আমি সেই চেষ্টাটাই করছি। হ্যা আমার সার্ভটা আগের থেকে অনেকটাই উন্নত হয়েছে। তবে আমার এখন ও মনে হয় এখনও অনেক উন্নতি বাকি রয়েছে। আমার কোচিং দল দুর্দান্ত। তারা সবসময় আমাকে পুশ করে আরও ভালো করতে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।