অজি সরকারের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধে’ জিতেও Australian Open-এ জকোভিচের অংশগ্রহণ ঘিরে সংশয়

গত বুধবার সার্বিয়া থেকে রওনা হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পা দেওযার পরই টিকা না নেওয়ায় জকোভিচকে আটক করে তাঁর ভিসা বাতিল করে অস্ট্রেলিয়া সরকার।

নোভাক জকোভিচ। ছবি- রয়টার্স।

অস্ট্রেলিয়ান সরকারের সঙ্গে নোভাক জকোভিচের আইনি লড়াইয়ে দুরন্ত জয় পেলেন টেনিস তারকা। সোমবার (১০ ডিসেম্বর) মেলবোর্নে জকোভিচের মামলার শুনানি শেষে ফেডারেল বিচারক, সার্বিয়ান তারকাকে অস্ট্রেলিয়া থেকে বিতাড়িত করার প্রচেষ্টার জল ঢেলে, তাঁকে ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে ছাড়ার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর ভিসা স্বীকৃত করারও নির্দেশ দেন।

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশগ্রহণ করার উদ্দেশ্যে জকোভিচ গত বুধবার সার্বিয়া থেকে রওনা দেন। তবে অস্ট্রেলিয়ায় পা দেওয়ার পরই তাঁকে এয়ারপোর্টে দীর্ঘক্ষণ আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর অস্ট্রেলিয়ার কড়া করোনাবিধির জেরে তাঁর করোনা টিকা না থাকার কারণে ভিসা বাতিল করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে জকোভিচকে এক ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। করোনা টিকা না নেওয়া জকোভিচের উকিলদের তরফে তাঁর সম্প্রতি ডিসেম্বর মাসে করোনা হওয়ার কথা জানিয়ে মেডিক্যাল ছাড়পত্র পেশ করা হলেও, তা যথেষ্ট প্রমাণসাপেক্ষ নয় বলেই জানায় অস্ট্রেলিয়ান কর্তৃপক্ষ। এমনকী অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশগ্রহণের পূর্বে যাতে তিনি অনুশীলন চালু রাখতে পারেন, তার জন্য অন্য কোনো হোটেলে তাঁকে স্থানান্তরিত করার আবেদনও নাকচ করা হয়। 

এমন পরিস্থিতিতে জকোভিচ আদালতে আপিল করেন এবং তাঁর শুনানি শেষে তিনি অস্ট্রেলিয়ান সরকারের বিরুদ্ধে জয়ী হন। প্রথমে ফেডারেল বিচারক অ্যান্থনি কেলি জকোভিচের অস্ট্রেলিয়ায় থাকার সময়কাল শেষ হয়ে আসার মাত্র কিছুক্ষণ আগেই ফের তাঁর অজিভূজে থাকার সময়সীমা বাড়িয়ে সোমবার রাত পর্যন্ত তাঁকে অস্ট্রেলিয়ায় থাকার অনুমতি দেন। এরপরে শুনানির সময়, জকোভিচের কাছে মেডিক্যাল ছাড়পত্রের আবেদনের জন্য একজন প্রফেসার এবং একজন ফিজিশিয়ানের রিপোর্ট থাকা সত্ত্বেও তাঁকে আটকানোয় ক্ষোভও প্রকাশ করেন। 

কেলি টেনিস তারকার পক্ষে সওয়াল করে প্রশ্ন করেন, ‘মেডিক্যাল ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য এর থেকে বেশি উনি আর কী করতে পারেন?’ ৩৪ বছর বয়সী সার্বিয়ান তারকার সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের জন্যও তিনি ক্ষুব্ধ হন। এরপরেই দীর্ঘ শুনানির পর বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকার পক্ষেই রায় ঘোষণা করে আদালত। তবে এই জয় জকোভিচের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশগ্রহণের পথ খুলে দিয়েছে বলে মনে হলেও, অস্ট্রেলিয়ান সরকারপক্ষের তরফে ইতিমধ্যেই কোর্টের নির্দেশের পরেও দ্বিতীয়বার জকোভিচের ভিসা বাতিল করার হুশিয়ারি দিয়ে রাখা হয়েছে।