দিদার আদরযত্নে হয়েছিলেন 'মোটা', ফিট রাখতে শুরু জ্যাভলিন থ্রোয়িং, সেই নীরজ আজ অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন

গ্যারি কালবার্টের হাত ধরে চলতে থাকে নীরজের প্রশিক্ষণ। যেই গল্প পরিপূর্ণতা পেল টোকিওর ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। গেমসে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে নীরজের হাত ধরে ভারতের প্রথম সোনা জয়ের মধ্যে দিয়ে।

সোনার পদক নিয়ে নীরজ চোপড়া (ছবি:পিটিআই)

শুভব্রত মুখার্জি: ভারতীয় পরিবারের কাছে সন্তান মানেই ভীষণ আদরের একথা স্বাভাবিক। বাবা-মা'র থেকে নাতি -নাতনীদের বেশি আদর দিয়ে সাধারণত বড় করে থাকেন ঠাকুমা-ঠাকুর্দারা। ভারতের অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন নীরজের ক্ষেত্রেও গল্পটা অনেকটা একই রকম। ছোটবেলায় দিদা প্রচন্ড আদর যত্নে বড় করেছেন নীরজকে। যা খেতে চাইতেন তার প্রিয় সমস্ত খাবার তাকে সময় মতো পৌঁছে দিতেন তিনি। তেল, ঝাল, মসলা দিয়ে কষিয়ে করা রান্না খেতে ভীষণ পছন্দ করতেন নীরজ।

ফলস্বরুপ তার ওজনও বাড়তে থাকে। ফলে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে বাবা-মা'র। ছেলেকে ফিট রাখতে খেলাধূলায় মনোযোগি করে তোলার চেষ্টা করেন তার বাবা। ২০১১ সালে তার প্রতিভা প্রথম বুঝতে পারেন জ্যাভলিন থ্রোয়ার জাইভির অফ বিনঝোল। সেই সময় নীরজ পানিপথের শিবাজি স্টেডিয়ামে জগিং করছিলেন তার ঘাম ঝরাতে বা বলা ভাল ওজন ঝরাতে। ৬ ফুট ১ ইঞ্চির লম্বা এই তরুণের সেই সময় দৈহিক ওজন ছিল ৮৫ কেজি।

এরপরেই শুরু হয়ে নীরজের জ্যাভলিন থ্রোয়ার হয়ে ওঠা। অত্যন্ত ছোট বয়সেই তিনি ২০১৮ সালে জাকার্তা এশিয়ান গেমসে জ্যাভলিন থ্রোয়ে সোনা জিতে সবার নজরে চলে আসেন। গ্যারি কালবার্টের হাত ধরে চলতে থাকে নীরজের প্রশিক্ষণ। যেই গল্প পরিপূর্ণতা পেল টোকিওর ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। গেমসে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে নীরজের হাত ধরে ভারতের প্রথম সোনা জয়ের মধ্যে দিয়ে।