রবিবার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলতি এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলবে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। তার আগে একই মাঠে দু'দল সুপার ফোরের লড়াইয়ে সম্মুখসমরে নামে। উভয় দল আগেই খেতাবি লড়াইয়ের টিকিট অর্জন করেছে। সুতরাং, এই ম্যাচটি ছিল নিছক নিয়মরক্ষার।
যদিও পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার কাছে এটি ফাইনালের স্টেজ রিহার্সাল হিসেবে বিবেচিত হয়। একে অপরের শক্তি-দুর্বলতা জানা ছাড়াও ফাইনালের আগে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়ার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেদিক থেকে শ্রীলঙ্কা মানসিকভাবে এগিয়ে রইল বলা যায়। কেননা সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানকে দাপটের সঙ্গে পরাজিত করেন দাসুন শানাকারা।
প্রথমত, পাকিস্তানকে অল্প রানে অল-আউট করে দেওয়া নিঃসন্দেহে শ্রীলঙ্কার কাছে ইতিবাচক দিক হিসেবে বিবেচিত হবে।
দ্বিতীয়ত, রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল দ্বীপরাষ্ট্র। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ জেতা নিঃসন্দেহে কৃতিত্বের।
তাছাড়া ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্সের দিকে নজর দিলে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও পাথুম নিশঙ্কা দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াবেন নিশ্চিত। ম্যাচে পাকিস্তানের একমাত্র প্রাপ্তি বলতে বাবর আজম ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দেন অবশেষে।
দুবাইয়ে টস জিতে পাকিস্তানকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। ১৯.১ ওভারে পাকিস্তান ১২১ রানে অল-আউট হয়ে যায়। পালটা ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা একসময় ২৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে। তবে শেষমেশ ১৭ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১২৪ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায় তারা। ১৮ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় শ্রীলঙ্কা।
পাকিস্তানের হয়ে সব থেকে বেশি ৩০ রান করেন বাবর আজম। এছাড়া ২৬ রানের যোগদান রাখেন মহম্মদ নওয়াজ। মহম্মদ রিজওয়ান ১৪, ফখর জামান ১৩, ইফতিকার আহমেদ ১৩, খুশদিল শাহ ৪, উসমান কাদির ৩ ও হ্যারিস রউফ ১ রান করেন। খাতা খুলতে পারেননি আসিফ আলি, হাসান আলি ও মহম্মদ হাসনাইন।
আরও পড়ুন:- PAK vs SL Super 4: চওড়া কপাল ফখর জামানের, ‘বোল্ড’ হয়েও বাঁচলেন ভাগ্যের জোরে, ভিডিয়ো
শ্রীলঙ্কার হয়ে ২১ রানে ৩টি উইকেট নেন হাসারাঙ্গা। ২টি করে উইকেট দখল করেন মাহিশ থিকসানা ও প্রমোদ মদুশান। ১টি করে উইকেট পকেটে পোরেন ধনঞ্জয়া ডি'সিলভা ও চামিকা করুণারত্নে।
ব্যাট হাতে শ্রীলঙ্কাকে নির্ভরতা দেন পাথুম নিশঙ্কা। তিনি ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪৮ বলে ৫৫ রান করে নট-আউট থাকেন। ভানুকা রাজাপক্ষে করেন ২৪ রান। দাসুন শানাকার অবদান ২১ এবং হাসারাঙ্গা যোগদান রাখেন ১০ রানের।
২টি করে উইকেট নেন পাকিস্তানের মহম্মদ হাসনাইন ও হ্যারিস রউফ। ১টি উইকেট নেন উসমান কাদির। ম্যাচের সেরা হয়েছেন হাসারাঙ্গা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।