প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০০ ম্যাচ, ৭০০০-র বেশি রান, চিনে নিন প্রোটিয়া সফরে ভারতের নবতম সংযোজন প্রিয়ঙ্ককে

২০১৬-১৭ মরশুম থেকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পাঞ্চালই ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

প্রোটিয়া সফরে ভারতীয় দলের নবতম সংযোজন প্রিয়ঙ্ক পাঞ্চাল। ছবি- পিটিআই।

দক্ষিণ আফ্রিকার সফরের ঠিক আগেই ভারতীয় দলকে বিরাট ধাক্কা দিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে গোটা টেস্ট সিরজ থেকেই ছিটকে গিয়েছেন রোহিত শর্মা। সোমবারই (১৩ ডিসেম্বর) সেই কথা জানিয়ে বিসিসিআইয়ের তরফে প্রোটিয়া সফরের জন্য রোহিতের বদলি হিসেবে প্রিয়ঙ্ক পাঞ্চালের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। কে এই প্রিয়ঙ্ক পাঞ্চাল, কীসের ভিত্তিতেই বা ভারতীয় দলে সুযোগ পেলেন?

ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেট দেখা দর্শকদের জন্য পাঞ্চাল অতিপরিচিত এক নাম। নিয়মিত ৩১ বছর বয়সী ওপেনিং ব্যাটার গুজরাতের হয়ে বিগত পাঁচ বছর ধরে নিরন্তরভাবে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল পারফর্ম করে যাচ্ছেন। ২০১৬ মরশুম থেকে তিনিই ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে ১০০টি ম্যাচ খেলে ৪৫.৫২-র গড়ে ২৪টি শতরানসহ মোট ৭০১১ রান করেছেন তিনি। ব্যাটের পাশাপাশি বলও হাতে ২২ উইকেট রয়েছে গুজরাতের তারকার নামে।

গুজরাতের প্রথম রঞ্জি জয়ী ২০১৬-১৭ মরশুমে পাঞ্চালের ব্যাটের ঝলক প্রথমবার ভারতীয় নির্বাচকদের নজর কাড়ে। ১৩০০ রান করে মরশুমের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন তিনি। এরপর ২০১৭-১৮ সাত ম্যাচে ৫৪২, ১৮-১৯ মরশুমে নয় ম্যাচে মোট ৮৯৮ রান করে ধারাবাহিকভাবে ভারতীয় দলের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করেন তিনি। ১৮-১৯ মরশুমেই বিজয় হাজারেতে মোট ৩৬৭ রান এবং সৈয়দ মুস্তাক আলিতে মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ১৩৪ রানও করেন ডান হাতি ব্যাটার। ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে নিয়মিত খেলা পাঞ্চাল সম্প্রতি প্রোটিয়া সফরেও ‘এ’ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। 

‘এ’ দলের হয়ে খেলায় রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে তাঁর পরিচিতি বহুদিনের। ২০২০ সালে নিউজিল্যান্ডের হেগলি ওভালে শুভমন গিল দ্বিশতরান করে সব নজর কেড়ে নিলেও পাঞ্চালও একই ম্যাচে ১৩৪ রান করেন। ২০১৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পোর্ট অফ স্পেনে সম্ভবত তাঁর ‘এ’ দলের হয়ে সেরা পারফরম্যান্সটি আসে। একদিনে যেখানে মোট ১৯টি উইকেট পড়ে, সেখানে পাঞ্চাল দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৫৮ এবং ৬৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কার ছিনিয়ে নেন। মোটের ওপর বলতে গেলে একদিনে হঠাৎ করে নয়, দীর্ঘদিনের ঘরোয়া ক্রিকেটের তাপে পুড়ে গড়ে ওঠা এক মজবুত দাবিদারকে ভারতীয় নির্বাচকরা দ্বিতীয়বার (ইংল্যান্ডের সাম্প্রতিক ভারত সফরেও দলের অংশ ছিলেন তিনি) জাতীয় দলে সুযোগ দিয়েছেন।