দেশকে পিটি ঊষার মতো অ্যাথলিট উপহার দেওয়া কিংবদন্তি কোচ ওএম নামবিয়ার প্রয়াত

কোচের মৃত্যুতে শোকাহত পিটি ঊষা।

কোচের সঙ্গে পিটি ঊষা। ছবি- টুইটার।

পিটি ঊষাকে আন্তর্জাতিক মানের স্প্রিন্টারে পরিণত করার পিছনে সবথেকে বড় ভূমিকা নেওয়া কিংবদন্তি কোচ ওএম নামবিয়ার প্রয়াত হলেন। বৃহস্পতিবার রাতে মারা গিয়েছেন প্রখ্যাত অ্যাথলেটিক্স কোচ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। সোশ্যাল মিডিয়ায় পিটি ঊষাই কোচের মৃত্যুর খবর জানান অনুরাগীদের।

কোচের মৃত্যুতে পিটি ঊষা টুইট করে শোক জ্ঞাপন করেন। তিনি লেখেন, 'আমার গুরু, কোচ ও পথপ্রদর্শকের মৃত্যুতে অসীম শূন্যতার সৃষ্টি হল, যা আর কখনও পূরণ হবে না। আমার জীবনে ওনার অবদান কতটা, তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আমি অত্যন্ত শোকাহত। আপনাকে মিস করব নামবিয়ার স্যার। আপনার আত্মার শান্তি কামনা করি।'

অ্যাথলিট হিসেবে নিজেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জোরালোভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারলেও নামবিয়ার কম বয়সে কোচিংয়ে আসেন। ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা অ্যাথলিট পিটি ঊষাকে খুঁজে বার করাই ছিল তাঁর কোচিং কেরিয়ারের সেরা কৃতিত্ব। ১৯৮৪ অলিম্পিক্সের কয়েক মাস আগে পিটি ঊষাকে ৪০০ মিটারের জন্য প্রস্তুত হওয়ার পরামর্শ দেন তিনিই। তাঁর মনে হয়েছিল ৪০০ মিটারেই পিটি ঊষার পদক জয়ের সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। যদিও সেই সম্ভাবনা অল্পের জন্য বাস্তবায়িত হয়নি। চতুর্থ স্থানে শেষ করে তাঁর ছাত্রী ব্রোঞ্জ পদক হাতছাড়া করেন।

নামবিয়ার দীর্ঘ ১৫ বছর ভারতীয় বায়ুসেনায় কাজ করেছেন। ১৯৭০ সালে তিনি সেনার চাকরি থেকে অবসর নেন। তার আগে ১৯৬৮ সালে পাতিয়ালায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্পোর্টস থেকে তিনি কোচিং ডিপ্লোমা পূর্ণ করেন। ১৯৭১ সালে নামবিয়ার কেরল স্পোর্টস কাউন্সিলে যোগ দেন।

শিনি উইলসন, বন্দনা রাওয়ের মতো অ্যাথলিটদের পরিণত করে তোলার পিছনেও নামবিয়ারের অবদান রয়েছে। ভারতীয় অ্যাথলেটিক্সে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে সর্বভারতীয় অ্যাথলেটিক সংস্থা।