সাত ওভারে ১০৮ রান তুলে ফেলেছিল তামিলনাড়ু। চার ওভারে দরকার ছিল মাত্র ৩৬ রান। কিন্তু আলোর অভাবে কারণে আর ম্যাচ চালিয়ে যেতে চাননি আম্পায়াররা। তার জেরে রঞ্জি ট্রফিতে নিশ্চিত (কার্যত অবশ্যই) জয় থেকে বঞ্চিত হল তামিলনাড়ু। আর হারের মুখ থেকে বেঁচে গেল হায়দরাবাদ।
শুক্রবার হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ইনিংসে হায়দরাবাদকে ২৫৮ রানে অল-আউট করে দেয় তামিলনাড়ু। একটা সময় হায়দরাবাদের স্কোর ছিল পাঁচ উইকেটে ২০৪ রান। সেখান থেকে সাই কিশোরের জাদুতে হায়দরাবাদ ২৫৮ রানে অল-আউট হয়ে যাওয়ায় তামিলনাডৃ়ুর সামনে জয়ের একটা সুযোগ চলে আসে। কিন্তু কাজটা মারাত্মক কঠিন ছিল।
মাত্র ১১ ওভারে তামিলনাড়ুর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৪৪ রান। সেই পরিস্থিতিতে তামিলনাড়ুর দুই ব্যাটার - সাই সুদর্শন এবং এন জগদীশন কীভাবে খেলেন, সেদিকেই নজর ছিল ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের। আর শুরু থেকেই ঝড় তোলেন তামিলনাড়ুরা ওপেনাররা। অনভিজ্ঞ হায়দরাবাদের বোলারদের বিরুদ্ধে শাসন করতে থাকেন। পুরো টি-টোয়েন্টি খেলতে থাকেন তাঁরা। মনে হচ্ছিল, রঞ্জি ট্রফির শেষদিনের ম্যাচ নয়, আইপিএলে যেন চেন্নাই সুপার কিংস এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মধ্যে খেলা চলছে।
আরও পড়ুন: Ranji Trophy 2022: তৃতীয় দিনেই ৯ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিল মুম্বই, দেখুন রঞ্জি ট্রফির বাকি ম্য়াচের খবর
সুদর্শন ও জগদীশন যেন ছক্কা ছাড়া কিছু বুঝছিলেন না। তাঁরা এমনই খেলতে থাকেন যে হায়দরাবাদের মধ্যে ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ার ভয় ঢুকে গিয়েছিল। তাঁরা রীতিমতো সময় নষ্ট করতে থাকেন। যা নিয়ে আম্পায়ারদের আরও কিছুটা সতর্ক থাকা উচিত ছিল বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের। তারইমধ্যে তামিলনাড়ুর ঝড় চলতে থাকে। ছয় ওভারে ৯৩ রান তুলে ফেলে তামিলনাড়ু। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে আউট হন সুদর্শন। ২০ বলে ৪২ রান করেন তিনি। মারেন পাঁচটি ছক্কা। স্ট্রাইক রেট ছিল ২১০।
আরও পড়ুন: BEN vs UP Ranji Trophy; অভিমন্যুর পরিবর্তে অভিষেক পুরো ফ্লপ! রঞ্জিতে জিতেও চটে লাল বাংলার অধিনায়ক
সুদর্শন আউট হলেও নিজের ছন্দ ধরে রাখেন জগদীশন। শেষপর্যন্ত সাত ওভারের এক উইকেটে ১০৮ রান তুলে ফেলে তামিলনাড়ু। কিন্তু তারপরই আলোর অভাবে খেলা বন্ধ করে দেন আম্পায়ার। সেইসময় চার ওভারে তামিলনাড়ুর স্কোর ছিল ৩৬ রান। ২২ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন জগদীশন। স্ট্রাইক রেট ছিল ২৬৮.১৮। একাংশের দাবি, তামিলনাড়ুর সঙ্গে অবিচার হয়েছে। ওই সময় ম্যাচ বন্ধ না হলে নিশ্চিতভাবে জিতত তামিলনাড়ু। কিন্তু শেষপর্যন্ত ড্র'তেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।