চতুর্থ দিনের শেষে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে ৫৪৭ রানের লিড রয়েছে বাংলার। পাহাড় সমান স্কোর। ফাইনাল নিশ্চিত। যদি না অলোকিক কিছু ঘটে। বাংলা রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে ওঠা মানেই, ঘরের মাঠ তারা খেলার সুযোগ পাবে। সে ক্ষেত্রে ইডেন গার্ডেন্সে সৌরাষ্ট্রের মুখোমুখি হবেন মনোজ তিওয়ারিরা।
এত সবের পরেও বাংলা শিবিরে ক্ষোভের আগুন। কীসের জন্য? আম্পায়ার অনিল চৌধুরীর ভুল সিদ্ধান্তে নাকি ব্যক্তিগত ৮০ রানে আউট হয়ে যান অনুষ্টুপ মজুমদারকে। বাংলা শিবিরের দাবি, কুমার কার্তিকয়ের যে ডেলিভারিতে তাঁকে আউট দেওয়া হয়, সেই বল প্যাডে লাগেনি। বরং ব্যাটের কানায় লেগে ফাইন লেগের দিকে গিয়েছে। খালি চোখে সেটা দেখে গেলেও, আন্তর্জাতিক মঞ্চের আম্পায়ার অনুষ্টুপের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত দেন। আর এতেই রাগে গজগজ করছে বাংলা শিবির। ঘরোয়া ক্রিকেটে কেন ডিআরএস থাকবে না, তা নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে খেলতে হলে ফুটওয়ার্ক ঠিক রাখতে হবে- ঘুরিয়ে অজি ব্যাটারদের কটাক্ষ রোহিতের
চতুর্থ দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর অনুষ্টুপ বলেন, ‘খেলার শেষে অনিল চৌধুরী আমাকে এবং মনোজকে সরি বলেছেন। তবে ব্যাপারটা কিন্তু এখানেই মিটছে না। আমার মতে, রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই ডিআরএস রাখা উচিত। কারণ আম্পায়ারের একটা ভুল সিদ্ধান্ত খেলা বদলে দেয়। এর আগে সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রঞ্জি ফাইনালে অর্পিত ভাসাবাদা-কে আউট না দেওয়ার জন্য আমাদের ভুগতে হয়েছিল।’
মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের প্রথম ইনিংসের মতোই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যাটিং করছিলেন অনুষ্টুপ। তবে বাংলার কৌশলগত কারণে একটু ধীরগতিতে দ্বিতীয় ইনিংসে রান যোগ করছিলেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। কিন্তু ব্যক্তিগত ৮০ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরতে হয়ে অনুষ্টুপকে।
আরও পড়ুন: হাতে মলম লাগানোর জন্য জাদেজাকে শাস্তি, জরিমানা এবং ডিমেরিট পয়েন্ট দিল ICC
প্রথম দিন থেকেই বল টার্ন করছিল। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ দিন হোলকার স্টেডিয়ামে পিচে খেলতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল ব্যাটারদের। বাংলার দ্বিতীয় ইনিংসে অভিমন্যু ঈশ্বরন থেকে মনোজ তিওয়ারি, করণ লালদের সেট হয়েও সাজঘরে ফিরে যেতে হয়। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের দুই স্পিনারের বিরুদ্ধে আত্মবিশ্বাসী লেগেছে অনুষ্টুপকে। বাঁ-হাতের বুড়ো আঙুলের চোট নিয়েই কিন্তু তিনি দুরন্ত ছন্দে ব্যাট করতে থাকেন। আর তাঁর জন্যই বাংলার পাহাড় সমান লিড গড়তে পারে।
তবে অনুষ্টুপ একা নন। বড় রানের লিড পেতে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাকে সাহায্য করেছেন সুদীপ ঘরামী এবং প্রদীপ্ত প্রামাণিকও। ৪১ করে আউট হন সুদীপ। চতুর্থ দিনের শেষে ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন প্রদীপ্ত।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৪৩৮ রান তোলে বাংলা। প্রথম ইনিংসে শতরান করেন অনুষ্টুপ এবং সুদীপ। আকাশ দীপের দাপটে মধ্যপ্রদেশের প্রথম ইনিংস মাত্র ১৭০ রানেই শেষ হয়ে যায়। পাঁচ উইকেট নেন বাংলার পেসার। ফলো অন না করিয়ে আবার ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মনোজ তিওয়ারি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলার রান ২৭৯।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।